Class 6 Model Activity Task Bengali September

Class 6 Model Activity Task Bengali September

এখানে শিক্ষাদপ্তর থেকে দেওয়া ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ‘Model Activity Task 2021 3rd Series (September)’ এর প্রশ্নগুলির উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। তোমরা বিষয় ভিত্তিক খাতায় উত্তরগুলো তৈরি করো।

Class 6 Model Activity Task Bengali September, 2021

Class 6 Model Activity Task Bengali September, 2021

১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১.১ ‘ভাদুলি’ ব্রত কখন উদযাপিত হয়?


উত্তর: বর্ষার শেষাশেষি ভাদ্র মাসে মেয়েরা ভাদুলি ব্রত উদযাপন করে। এইসময় মেয়েরা মাটিতে আলপনা আঁকে। সেই আলপনায় থাকে সাত সমুদ্র, তেরো নদী, নদী যাত্রা, কাঁটার পাহাড়।

১.২ সন্ধ্যায় হাটের চিত্রটি কেমন?


উত্তর: হাট কবিতায় বহু দূরের গ্রাম্যজীবনের সামান্য ছবি ফুটে উঠেছে। দূরের গ্রামগুলিতে সন্ধ্যা প্রদীপের আলো জ্বলে উঠলেও নির্জন হাটে কেউ সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালে না। অন্ধকারে একা দাঁড়িয়ে থাকে হাট।

১.৩ কোন তিথিতে রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো-বন্দনা, অলক্ষ্মী বিদায়, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুঁটা প্রভৃতি পালিত হয়?


উত্তর: কার্তিকের অমাবস্যা তিথিতে অর্থাৎ কালীপূজা বা দীপাবলি তিথিতে রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজের প্রাচীন উৎসব গো-বন্দনা, অলক্ষ্মী বিদায়, কাঁড়াখুঁটা, গোরুখুঁটা প্রভৃতি পালিত হয়।

১.৪ ‘কেমন যেন চেনা লাগে ব্যস্ত মধুর চলা’ — কবি কার চলার কথা বলেছেন?


উত্তর: কবি অমিয় চক্রবর্তী তাঁর ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় পিঁপড়েদের চলার কথা বলেছেন। পিঁপড়েদের চলার ছন্দে একটা ব্যস্ততা আছে, আবার সে চলায় ছন্দও আছে বলে দেখতেও ওদের খুব সুন্দর লাগে।

১.৫ ‘সে বাড়ির নিশানা হয়েছে আমগাছটি’ — ‘ফাঁকি’ গল্পে গোপালবাবু কীভাবে তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানাতেন?


উত্তর: গোপালবাবুকে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে, তিনি সবসময় বোঝাতেন, কাঠজোড়ি নদীর ধার বরাবর পুরিঘাট পুলিশের ফাঁড়ির পশ্চিমে যেখানে পাঁচিলের মধ্যে আমগাছ দেখবেন, সেখানেই তার বাড়ি।

১.৬ ‘তুমি যে কাজের লোক ভাই! ওইটেই আসল’। কে, কাকে, কখন একথা বলেছিল?


উত্তর: ঘাসের পাতা পিঁপড়েকে উক্ত কথাটি বলেছিল। বৃষ্টি কমে এলে ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়ায়। কামড় ছেড়ে, নিশ্বাস ছেড়ে পিঁপড়ে পাতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে আজ পাতা ছিল বলেই সে বেঁচে গেল। তখন ঘাসের পাতা উক্ত কথাগুলি বলে।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:

২.১ ‘হঠাৎ একদিন ঝমঝম করে পড়ে বৃষ্টি’ — তখন কৃষকরা কীভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ‘মরশুমের দিনে’ রচনাংশ অনুসরণে লেখো।


উত্তর: ধানের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু বৃষ্টি। বৃষ্টি না হলে ধানের চাষ ভালো হয় না। তাই আকাশের জল চেয়ে চাষির ঘরের বউরা ক্ষেতব্রত করে। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতো বসে থাকে কৃষকরা। তারপর একদিন বৃষ্টি নামে। চাষিদের মুখে হাসি ফোটে। হোগলার তৈরি মাথালে মাথা পিঠ ঢেকে দুরন্ত জলের মধ্যেই গামছা পরে চাষিরা বেরিয়ে পড়ে মাঠের কাজে। ধান রোয়া, আল বাঁধার কাজ তাদের দ্রুত সেরে ফেলতে হবে। ধান ছাড়াও কারো আছে পাটের জমি। সেও ব্যস্ত হয়ে পড়ে কাজে।

২.২ ‘শিশির-বিমল প্রভাতের ফল,
শত হাতে সহি পরখের ছল–
বিকালবেলায় বিকায় হেলায়
সহিয়া নীরব ব্যাথা।’- উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।


উত্তর: কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তাঁর ‘হাট’ কবিতায় একটি হাটের সকাল থেকে সান্ধ্যকালীন ছবি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেছেন। নানা অঞ্চলের ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই তাদের দৈনন্দিন কেনাবেচা করতে হাটে আসে। শিশির সিক্ত সকালে সুন্দর তাজা ফলগুলি নিয়ে হাটে হাজির হয় বিক্রেতারা। সারাদিন অনেক মানুষ পরখ করে, ভালোমন্দ বিচার করে। তারপর একসময় বিকেলবেলায় নীরব ব্যথা সহ্য করে হেলায় বিক্রি হয়ে যায়। এভাবেই কবি বোঝাতে চেয়েছেন জন্মের পর মানুষ পৃথিবীর নাট্যশালায় আসে, হাসিকান্নার অভিনয় করে, আবার জীবনের শেষে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়।

২.৩ ‘….. এমন অভূতপূর্ব অবস্থায় আমায় পড়তে হবে ভাবিনি।’
— গল্পকথক কোন অবস্থায় পড়েছিলেন?


উত্তর: লেখক শিবরাম চক্রবর্তী রাঁচিতে হুড্রুর দিকে সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পথে সাইকেলের টায়ার ফেঁসে যায়। গন্তব্যে পৌঁছতে হলে তাঁকে আরও পাঁচ মাইল যেতে হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর অবশেষে অন্ধকার সন্ধ্যায় ছোট্ট একটি বেবি অস্টিন গাড়ি দেখে তাড়াতাড়ি সেটাতে চেপে বসেন। গাড়িটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। লেখক ড্রাইভারকে তাঁর গন্তব্যের কথা বলতে গিয়ে চমকে উঠেন, ড্রাইভারের জায়গায় কেউ নেই! নিশ্চিত হন তিনি ভূতের পাল্লায় পড়েছেন। তাঁর গলা শুকিয়ে আসে। লেখক এই অবস্থার কথাই বর্ণনা করেছেন।

২.৪ ‘বাঘ বাবা-মা বদলে নিলেন বাড়ি’ — তাদের বাড়ি বদলাতে হয়েছিল কেন?


উত্তর: নবনীতা দেবসেন তার ‘বাঘ’ কবিতায় একটি ছোট্ট হলুদ বাঘের কাহিনী শুনিয়েছেন। বাঘছানাটি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি পাখিরালয়ে থাকতো। তার খুব খিদে, সে পাখিগুলোকে থাবা দিয়ে ধরতে গেলেই তারা উড়ে পালাতো। এরপর খিদের জন্য বাঘছানাটি নদীর পাড়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে নিজেই নাজেহাল হয়। খিদে সহ্য করতে না পেরে বাঘছানা কাদায় নামে মেনিমৎস ধরতে। এই দেখে তার মা লজ্জা পেয়ে তাকে বকেন। শেষ পর্যন্ত বাঘছানার দুঃখ দেখে তার বাবা-মা কে তাদের বাড়ি বদলাতে হয়েছিল।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

৩.১ শব্দজাত, অনুসর্গগুলিকে বাংলায় কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?


উত্তর:

শব্দজাত অনুসর্গগুলিকে বাংলায় তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। যথা-
(১) তৎসম শব্দজাত অনুসর্গ (যেমন- অপেক্ষা,জন্য, দ্বারা, নিকট, নিমিত্ত, প্রতি, বিনা, মধ্যে, সঙ্গে)
(২) তদ্ভব শব্দজাত অনুসর্গ (যেমন আগে, কাছে, পানে, বই, সাথে ইত্যাদি)
(৩) বিদেশি শব্দজাত অনুসর্গ (যেমন বাদে, বরাবর, বদলে ইত্যাদি)

৩.২ উপসর্গের আরেক নাম ‘আদ্যপ্রত্যয়’ কেন?


উত্তর: আদ্য শব্দের অর্থ হলো– আদিতে বা প্রথমে। প্রত্যয় কথার অর্থ হল– মূল শব্দের সঙ্গে যে শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ তৈরি করে। মূল শব্দের আদিতে বা প্রথমে বসে যে প্রত্যয় শব্দটির অর্থ বদলে দেয় তাকে আদ্যপ্রত্যয় বলে। উপসর্গের কাজটিও সেই রকম। — তাই উপসর্গের আরেক নাম আদ্যপ্রত্যয়।

৩.৩ ‘ধাতুবিভক্তি’ বলতে কী বোঝ?


উত্তর: ক্রিয়াপদের মূল অংশকে ধাতু বলে। এই ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গড়ে তুললে সেটিকে আমরা ধাতুবিভক্তি বলি। যেমন – ‘কর’ ধাতুর সঙ্গে ‘এ’ বিভক্তি যুক্ত হয়ে ‘করে’ ধাতু বিভক্তির সৃষ্টি করেছে। 

৩.৪ শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও: আশা/আসা, সর্গ/স্বর্গ


উত্তর:

আশা: ভরসা, আকাঙ্ক্ষা

আসা: আগমন করা

সর্গ: অধ্যায়, গ্রন্থের পরিচ্ছেদ

স্বর্গ: দেবলোক

৩.৫ পদান্তর করো: জগৎ, জটিল


উত্তর: জগৎ:- জাগতিক
জটিল:- জটা

৩.৬ অনধিক ১০০ শব্দে অনুচ্ছেদ রচনা করো: বাংলার উৎসব


উত্তর:

বাংলার উৎসব

কথায় আছে বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ । উৎসব ও পার্বণের দিনগুলিতেই বাঙালির প্রাণের প্রকৃত পরিচয় ফুটে ওঠে। নানান ধর্মের মানুষ বছর জুড়ে নানান সময়ে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে উদযাপন করে থাকেন।

বাংলার উৎসবগুলিকে মােটামুটি চারভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—ধর্মীয় উৎসব, ঋতু উৎসব, সামাজিক উৎসব এবং জাতীয় উৎসব। আমাদের এই বাংলা সবধর্মের মিলন স্থল। ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হিন্দুদের দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, সরস্বতী পূজা, চড়ক উৎসব, রাসযাত্রা প্রভৃতি। মুসলমানদের মহরম, ইদলফেতর, শবেবরাত এবং খ্রিস্টানদের বড়ােদিন, ইস্টার স্যাটারডে, গুড ফ্রাইডে ইত্যাদি। বিভিন্ন ঋতুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই পরিকল্পনা করা হয় ঋতুউৎসব। যেমন- বর্ষামঙ্গল, ধান্যরােপন, নবান্ন, অরন্ধন, পিঠাপার্বন, বসন্ত বা দোল উৎসব ইত্যাদি। সামাজিক উৎসব বাড়ির কোনাে কিছুকে কেন্দ্র করে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন— অন্নপ্রাশন, বিবাহ, ভাতৃদ্বিতীয়া, জামাইষষ্ঠী, জন্মদিন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ইত্যাদি। দেশের বা জাতির বিশেষ স্মরণীয় দিন অর্থাৎ দেশকে যাঁরা গৌরবান্বিত করেছেন তাদেরকে স্মরণ করার জন্য আমরা উৎসবে মেতে উঠি। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, নেতাজীর জন্মদিন, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন এই জাতীয় উৎসবের মধ্যে পড়ে।
উৎসব মানুষের একঘেয়ে জীবনে একটা মুক্তির হাওয়া নিয়ে আসে। সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই চিন্তায় ভাবনায় রােগে-শােকে দারিদ্র্যে কষ্ট পায়। দৈনন্দিন সমস্যায় মানুষের জীবনীশক্তি যখন ফুরিয়ে আসে উৎসব তখন নিয়ে আসে নতুন প্রাণশক্তি।

সমস্ত বিষয়ের উত্তর পেতে: Click Here

1. You may also like: Class 6 Model Activity Task 2021 All Subjects 3rd Series (September)

2. You may also like: কীভাবে ‘Student Credit Card’ এর জন্য আবেদন করতে হবে।

Class 6 Model Activity Task Bengali September, 2021

Official Website: Click Here

Leave a Comment

CLOSE