Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023

Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023

First Unit Test2023
দশম শ্রেণী
বিষয়: ভূগোল
পূর্ণমান: 40 সময়: 90 মিনিট
সিলেবাস:-
◐ প্রাকৃতিক ভূগোল:
১. বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
◐ আঞ্চলিক ভূগোল:
৫. ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ
প্রশ্নমান: ২
১. বার্গস্রুন্ড ও ক্রেভাস কী?

উত্তর:
বার্গস্রুন্ড-পর্বত গাত্রে জমে থাকা বরফস্তূপ ও পার্বত্য হিমবাহের মধ্যে যে সংকীর্ণ ও গভীর ফাটল সৃষ্টি হয়, তাকে জার্মান ভাষায় বার্গস্রুন্ড বলে।
ক্রেভাস– হিমবাহের ওপর সমান্তরাল ও আড়াআড়ি ফাটলকে ক্রেভাস বলা হয়।

২. ফিয়র্ড কাকে বলে?

উত্তর: বিশেষত সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে হিমবাহ তার উপত্যকাগুলিকে এত গভীরভাবে ক্ষয় করে যে সেগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীচু হয়ে যায় এবং বরফ মুক্ত হলে পরে সমুদ্রের জলে ভরে যায়। হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট কিন্তু সমুদ্রের জলপূর্ণ এইরূপ উপত্যকাকে ফিয়র্ড বলে। অগভীর ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিয়র্ডকে ফিয়ার্ড বলে। পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড হল নরওয়ের সােজানে ফিয়র্ড।

৩. মরুদ্যান কী?

উত্তর: মরু অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে অপসারণ ক্ষয়কার্যের ফলে অবনমিত স্থানের সৃষ্টি হলে সেই অবনমিত স্থানে জল জমে যে হ্রদের সৃষ্টি হয়, তাকে মরুদ্যান বা Oasis বলে।

৪. বাজাদা কী?

উত্তর: শুষ্ক মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে অস্থায়ীভাবে জলধারা বাহিত নুড়ি, বালি, কাঁকর, কাদা, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে অসমান ঢালু ভূমিরূপ সৃষ্টি করে তাকে বাজাদা বলে।

৫. কয়াল কী?

উত্তর: ভূ-আলোড়নের প্রভাবে কেরলের মালাবার উপকূলে ভূ-উত্থান ও নিমজ্জনের ফলে অসংখ্য জলাভূমি বা উপহ্রদের সৃষ্টি হয়েছে, এগুলিকে কেরলের স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কয়াল। যেমন- ভেম্বানাদ, অষ্টমুদি ইত্যাদি।

৬. মালনাদ কাকে বলে?

উত্তর: ‘মালনাদ’ শব্দের অর্থ হলো উঁচু-নীচু ভূমি। অর্থাৎ কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমাংশে যে উঁচু-নীচু ঢেউ খেলানো ভূমিভাগ রয়েছে, তাকে বলা হয় মালনাদ।

৭. ভাঙ্গার ও খাদার কাকে বলে?

উত্তর:
ভাঙ্গার: প্রাচীন পলিমৃত্তিকা দিয়ে গঠিত উচ্চভূমিকে বলা ভাঙ্গার। এই মৃত্তিকা কৃষিকার্যের জন্য ততটা সহায়ক নয়।
খাদার: নবীন পলিগঠিত নিম্নভূমিকে বলা হয় খাদার। এই প্রকার মৃত্তিকা খুব উর্বর। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে এই প্রকার মৃত্তিকা দেখা যায়।

৮. শস্যাবর্তন বলতে কী বোঝো?

উত্তর: একই জমিতে এক বা একাধিক ফসল উৎপাদনের ফলে জমির উর্বরাশক্তি হ্রাস পায়। মৃত্তিকার গুণগত মান সঠিক রাখার জন্য বছরের বিভিন্ন সময়ে ফসলের চক্রাকারে চাষাবাদকে শস্যাবর্তন বলা হয়।

প্রশ্নমান:
১. উত্তর ভারত ও দক্ষিণ ভারতের নদীগুলির তুলনামূলক আলোচনা করো।

উত্তর:

বিষয়উত্তর ভারতের নদনদীদক্ষিণ ভারতের নদ নদী
(i) সংজ্ঞাসাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতের উত্তরাংশের নদী গোষ্ঠীকে একত্রে উত্তর ভারতের নদনদী বলে। সাতপুরা ও বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণাংশের নদীগোষ্ঠীকে একত্রে দক্ষিণ ভারতের নদনদী বলে।
(ii) উৎপত্তিউত্তর ভারতের নদনদীগুলির অধিকাংশ হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।দক্ষিণ ভারতের নদনদীগুলি মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।
(iii) প্রকৃতিহিমালয় পর্বত সৃষ্টির আগে উত্তর ভারতের কোন কোন নদনদীর অস্তিত্ব ছিল বলে, এদের পূর্ববর্তী নদী বলে।ভূমির প্রাথমিক ঢাল অনুযায়ী প্রবাহিত হয় বলে দক্ষিণ ভারতের নদনদীগুলিকে অনুগামী নদী বলে।
(iv) দৈর্ঘ্যউত্তর ভারতের নদনদীগুলির দৈর্ঘ্য খুব বেশি।দক্ষিণ ভারতের নদনদীগুলির দৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত কম।
২. ভারতের নগরায়ণের তিনটি সমস্যা লেখো।

উত্তর: ভারতের নগরানের ফলে উদ্ভুত সমস্যা–

(১) অপরিকল্পিত নগরায়ণ:
আমাদের দেশে অধিকাংশ শহর, নগর অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে। এর ফলে রাস্তাঘাটে যানজট, আবর্জনার সঠিক জায়গা না থাকায় রাস্তা ঘাট নোংরা হওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থা প্রায় থাকে না বললেই চলে, স্বল্প বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জল দাঁড়িয়ে যায়, এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রচনা করে ও জনঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদে স্থানাভাব গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করেছে।

(২) মানুষজনের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা:
মূলত উন্নত কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য স্বাচ্ছন্দ্যের তাগিদে বহু মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহর অভিমুখী হয় ফলে অভ্যন্তরীণ পরিব্রাজন ঘটে। এছাড়া বাইরে থেকেও (বিদেশ) বহু মানুষ এই সমস্ত শহরে ভিড় করায় জনগণের চাপ শহরগুলিতে বাড়ে ফলে দূষণ সমস্যা, অতিজনাকীর্ণতা লক্ষ্য করা যায়।

(৩) জলনিকাশির সমস্যা:
অতিরিক্ত নগরায়ণের প্রভাবে সবস্থানে জলনিকাশী ব্যবস্থা গড়ে ওঠে না। ভারতে ৩৫-৪০% পৌরজনসংখ্যার নোংরা জলনিকাশি ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও যথাযথভাবে ভূগর্ভস্থ নদমান নির্মাণ না হওয়ায় গৃস্থলির জল উপচে পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির সময় বেশিরভাগ শহরেই জল| জমে বানভাসি অবস্থার সৃষ্টি হয়।

৩. বহির্জাত প্রক্রিয়ার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে ক্ষয়, পরিবহন ও সঞ্চয় ঘটেছে। ফলস্বরুপ ভূপৃষ্ঠের নানান ধরনের ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়েছে তাকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।
বৈশিষ্ট্য:
(১) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া।
(২) ভূপৃষ্ঠে ও তার উপপৃষ্ঠীয় অংশে বহিজাত প্রক্রিয়ার প্রভাব লক্ষ করা যায়
(৩) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নগ্নীভবন ক্রিয়ায় ( অবরােহণ ) উঁচু স্থান নীচু হয়ে যায় এবং সঞ্চয়কার্যের ( আরােহণ ) দ্বারা নীচু স্থান ভরাট হয়ে উঁচু হয়।

৪. নদী ও হিমবাহ উপত্যকার তিনটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর:

বিষয়নদী উপত্যকাহিমবাহ উপত্যকা
(i) সংজ্ঞানদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যে উপত্যকা সৃষ্টি হয়, তাকে নদী উপত্যকা বলে।, কেলাসিত বরফ বা হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে যে উপত্যকা সৃষ্টি হয় তাকে হিমবাহ কাকে বলে।
(ii) প্রকৃতিনদী উপত্যকার পার্শ্বদেশ খাড়াই এবং তলদেশ সংকীর্ণ হয়।হিমবাহ উপত্যকার পার্শ্বদেশ খাড়াই এবং তলদেশ প্রশস্ত হয়।
(iii) আকৃতিনদী উপত্যকার আকৃতি ইংরাজি “I” অথবা “V” অক্ষরের মতো হয়।হিমবাহ উপত্যকার আকৃতি ইংরাজি “U” অক্ষরের মতো হয়।
প্রশ্নমান: ৫
১. নদীর সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ আলোচনা করো।

উত্তর: পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ পরিবর্তনকারী শক্তিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো নদী ও তার সঞ্চয় কার্য। প্রধানত নদীর নিম্নগতিতে সঞ্চয় কার্য বেশি হলেও মধ্য গতিতেও অল্প পরিমাণে সঞ্চয় কার্য হয়ে থাকে। এই সঞ্চয় কার্যের ফলে গড়ে ওঠে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ ভূমিরূপ। নিম্নে নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলি আলোচনা করা হলো-

(১) পলল ব্যজনী বা পলল শঙ্কু:
পর্বতের পাদদেশে নদীবাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে শঙ্কু আকৃতির ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে পলল শঙ্কু বলে। পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী যখন সমভূমিতে এসে পড়ে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় বলে নদীর জলস্রোতের তীব্রতা হ্রাস পায়। ফলে নদীবাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি ইত্যাদি পর্বতের পাদদেশে শঙ্কুর আকারে সঞ্চিত হয়ে এই পলল শঙ্কু সৃষ্টি হয়। পরবর্তী কালে পলল শঙ্কুর ওপর দিয়ে বিভিন্ন খাতে নদী প্রবাহিত হলে তা অর্ধগোলাকার বা হাত পাখার মত আকৃতিতে বিভক্ত হয়ে। একে পলল ব্যজনী বা পলল পাখা বলে। অনেকগুলি পলল ব্যজনী যুক্ত হয়ে পলি মঞ্চ গঠন করে।

(২) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ:
কোনাে কোনাে নদীতে অসংখ্য বাঁকের সৃষ্টি হলে ঐ বাঁক এত বেশি হয় যে, দু’টি বাঁক নিজেদের খুব কাছাকাছি চলে আসে এবং বাঁকের মাঝের অংশ ক্ষয় পেয়ে বাঁক দুটি আলাদা হয়ে যায়। ফলে নদী সােজা পথে চলতে শুরু করে। ফেলে রাখা বাঁকটি দেখতে অনেকটা অশ্বের ক্ষুরের ন্যায় হয় বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।

(৩) প্লাবন সমভূমি:
নদীর সমভূমি প্রবাহ ও বদ্বীপ প্রবাহে ভূমির ঢাল কম হওয়ায় নদীর গতিবেগ ও বহন ক্ষমতা হ্রাস পায় বলে নদীবাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি, কাদা ইত্যাদি পদার্থ সমূহ নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে। এর ফলে নদীগর্ভ ভরাট হয়ে গিয়ে নদীর গভীরতা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে এবং নদী উপত্যকা অগভীর হয়ে পড়ে।এরপর বর্ষাকালে যখন প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, তখন নদী বর্ষার ওই অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে না পেরে দুকূল প্লাবিত করে। ওই প্লাবিত অঞ্চলের নিচু জমিতে প্লাবন বাহিত নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি, কাদা ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে প্লাবনভূমি সৃষ্টি হয়।

২. হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপের উৎপত্তি আলোচনা করো।

উত্তর:

(১) রসে মতানে:
হিমবাহের প্রবাহ পথে কোন কঠিন শিলাখন্ড ঢিবির আকারে অবস্থান করলে শিলাখণ্ডটির হিমবাহের প্রবাহপথের দিকটি অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে মসৃণ এবং বিপরীত দিকটি উৎপাটন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে অমসৃণ ও এবড়োখেবড়ো হয়। হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট এইরূপ একদিক মসৃণ এবং অপরদিক অমসৃণ, ভগ্ন, খাঁজকাটা ও এবড়োখেবড়ো শিলাখণ্ডকে রসে মতানে বলে।
উদাহরণ- ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর উপনদী লিভারের উপত্যকায় রসে মতানে দেখতে পাওয়া যায়।

রসে মতানে

(২) ক্র্যাগ ও টেল:
হিমবাহের প্রবাহপথে কোন কঠিন শিলাখন্ডের পিছনে কোমল শিলাখন্ড অবস্থান করলে সামনের কঠিন শিলাখন্ডটি পিছনের কোমল শিলাখন্ডটিকে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের হাত থেকে রক্ষা করে। এর ফলে সামনের কঠিন শিলাখন্ডটি উঁচু ঢিবির আকারে এবং পিছনের কোমল শিলাখন্ডটি সরু লেজের আকারে অবস্থান করে। এই কঠিন শিলাখণ্ডটিকে বলা হয় ক্র্যাগ এবং পিছনের সরু লেজের মতো কোমল শিলাখন্ডটিকে বলা হয় টেল।

ক্র্যাগ ও টেল

(৩) ঝুলন্ত উপত্যকা:
প্রধান নদীর সাথে যেমন অনেক ছোট ছোট উপনদী এসে মিলিত হয়, ঠিক তেমনি অনেক সময় পার্বত্য অঞ্চলে প্রধান হিমবাহের দুপাশ থেকে অনেক ছোট ছোট হিমবাহ বা উপ হিমবাহ এসে প্রধান হিমবাহের সাথে মিলিত হয়। প্রধান হিমবাহের ক্ষয়কার্যের পরিমাণ বেশি বলে তার উপত্যকা উপ হিমবাহগুলির উপত্যকা অপেক্ষা অনেক বেশি গভীর হয়। তাই হিমবাহ উপত্যকা থেকে হিমবাহ সরে গেলে মনে হয় যেন ক্ষুদ্রাকার হিমবাহের উপত্যকাগুলি বৃহদাকার হিমবাহ উপত্যকার ওপর ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এইরূপ হিমবাহ উপত্যকাকে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে। এই ঝুলন্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হলে অনেক সময় জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

ঝুলন্ত উপত্যকা
৩. সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তর: সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য যখন নির্ধারিত অরণ্য সীমার বাইরে, অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে বিশেষ বিশেষ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অরণ্য সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।
অধ্যাপক শাহ্ এর মতে, “গ্ৰামীন জনগণের চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে যেকোনো সংস্থার মাধ্যমেই যেকোনো ধরনের জমিতে বৃক্ষরোপণের উদ্যোগকে সামাজিক বনসৃজন বলে।”

সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য:

কৃষি সম্পর্কিত জাতীয় কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী – “সামাজিক বনসৃজনের লক্ষ্য হল প্রাকৃতিকভাবে রিক্ত জমি অর্থাৎ পতিত জমি ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা।”
সামাজিক বনসৃজন বহু উদ্দেশ্য প্রাধান প্রকল্প এর উদ্দেশ্য গুলি হল –
(১) কৃষিজমির আশেপাশে অব্যবহৃত জমিতে কৃষি বনায়নের কাজে হাত দেওয়া।
(২) মিশ্র বনভূমি সৃষ্টির মাধ্যমে জ্বালানি কাঠ, ফলমূল, পশু খাদ্যের যোগান দেওয়া।
(৩) পতিত ও পরিত্যক্ত জমিকে ব্যবহার করা।
(৪) আমোদ প্রমোদের উদ্দেশ্যে বনসৃজন করা।
(৫) জনগণের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানো।

৪. দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয়ের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তর: দৈর্ঘ্য বরাবর হিমালয় পর্বতমালাকে ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু ও মৃত্তিকার পার্থক্য অনুসারে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- (ক) পশ্চিম হিমালয়, (খ) মধ্য হিমালয় এবং (গ) পূর্ব হিমালয় ।

(১) পশ্চিম হিমালয়:

পশ্চিমে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের নাঙ্গা পর্বত থেকে পূর্বে নেপাল সীমান্তে অবস্থিত কালী নদী পর্যন্ত অংশে পশ্চিম হিমালয় পর্বতশ্রেণি বিস্তৃত । ভারতের জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে এই পর্বতশ্রেণিটি বিস্তার লাভ করেছে । এটি ভারতের মধ্যে অবস্থিত হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ও এর উচ্চতা ৮,১২৬ মিটার।
ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে পশ্চিম হিমালয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: (১) কাশ্মীর হিমালয়, (২) হিমাচল হিমালয় এবং (৩) কুমায়ুন হিমালয় । প্রধানত তিনটি পর্বতশ্রেণি নিয়ে পশ্চিম হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলটি গঠিত হয়েছে— (i) লাদাখ পর্বতশ্রেণি (ii) জাস্কর পর্বতশ্রেণি এবং (iii) পিরপিঞ্জল পর্বতশ্রেণি । শ্রীনগরের দক্ষিণে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পিরপিঞ্জল পর্বতশ্রেণি বিস্তৃত। এর উচ্চতা ৩,৫০০ থেকে ৫,০০০ মিটার। পিরপিঞ্জল পর্বতশ্রেণি কাশ্মীর উপত্যকাকে ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কেবলমাত্র বানিহাল বা জহর পাস, পিরপিঞ্জল পাস, বুলন্দপীর প্রভৃতি গিরিপথগুলো দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় প্রবেশ করা যায় । কাশ্মীর হিমালয়ের জোজিলা পাস গিরিপথটি দিয়ে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে লাদাখের রাজধানী লে-তে যাওয়া যায়। এছাড়া কুমায়ুন হিমালয়ের মানাপাস, নিতিপাস প্রভৃতি গিরিপথগুলি দিয়ে ভারতের উত্তরাঞ্চল রাজ্য থেকে তিব্বত যাওয়া যায়।

(২) মধ্য হিমালয়:

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্য এবং নেপালে বিস্তৃত এই পার্বত্য অঞ্চলটিতে মাউন্ট এভারেস্ট, মাকালু, ধবলগিরি, অন্নপূর্ণা, গৌরীশঙ্কর প্রভৃতি পৃথিবীর উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গগুলি অবস্থিত। মধ্য হিমালয় হল পূর্ব হিমালয় ও পশ্চিম হিমালয়ের সীমানা। এটি নেপালের অন্তর্গত।

(৩) পূর্ব হিমালয়:

পশ্চিমে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি থেকে পূর্বে নামচাবারওয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হিমালয়ের পূর্ব দিকের এই অংশটিকে মোটামুটি ভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা:- (১) সিকিম ও দার্জিলিং হিমালয়, (২) ভুটান হিমালয় এবং (৩) অরুণাচল হিমালয়। এই পার্বত্য অঞ্চলটি ভুটান এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যে বিস্তার লাভ করেছে । পূর্ব হিমালয়ের সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলাকে নেপাল থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। এছাড়া সিকিম ও নেপাল সীমান্তে পূর্ব হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গ বিরাজমান। এটি হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ। এর উচ্চতা ৮,৫৯৮ মিটার। কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃঙ্গটি নেপালের ভৌগলিক সীমারেখার মধ্যে অবস্থিত। সিকিম ও দার্জিলিং হিমালয় প্রায় খাড়াভাবে তরাই -এর সমভূমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অনুচ্চ শিবালিক পর্বতশ্রেণি এখানে প্রায় নেই বললেই চলে। পূর্ব হিমালয়ের নাথুলা পাস, জেলেপলা পাস প্রভৃতি গিরিপথ্গুলি দিয়ে তিব্বতের চুম্বি উপত্যকায় যাওয়া যায়।

👉 সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্টের প্রশ্নপত্র : Click Here
👉 আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here

Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023

Class 10 First Unit Test Geography Question Paper Class 10 First Unit Test Geography Suggestion Class 10 Second Unit Test Geography Question Paper Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023

WBBSE Class 10 Model Question Paper Unit Test Question Paper Geography Class X Geography First Unit Test Question Paper pdf Download Madhyamik History Suggestion Class-10 History First Unit Test Suggestion Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023

Official Website: Click Here

দশম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের ভূগোল বিষয়ের প্রশ্নপত্র

Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023 Class-10 Geography First-Unit-Test Question-2023

মাধ্যমিক প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ভূগোল সাজেশন

দশম শ্রেণী প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৩ ভূগোল সাজেশন

Leave a Comment