দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর

ভাবসম্প্রসারণ করো: দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর লও যত লৌহ, লোষ্ট্র, কাষ্ঠ ও প্রস্তর।

“দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর
লও যত লৌহ, লোষ্ট্র, কাষ্ঠ ও প্রস্তর।”

আদিম মানুষের বাস ছিল অরণ্যের কোলে। ধাত্রী মায়ের মত অরণ্যই ছিল আদিম মানুষের প্রতিপালিকা। অরণ্যের বিস্তার ছিল তার বিচরণ ক্ষেত্র, অরণ্যের ফলমূল ছিল তার খাদ্য, অরণ্যের বিশুদ্ধ বাতাস ছিল তার সুস্থ জীবনের সম্পদ। কালক্রমে মানুষ চাষাবাদ করতে শিখলো, সভ্য হল, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নত হাতিয়ার পেয়ে নগরের পত্তন করল, কলকারখানার উদ্ধত চিমনি আকাশে তুলে নগর সভ্যতার ভোগ সর্বস্বতায় গা ভাসাতে লাগল। এভাবে মানুষ একদিকে যেমন অরণ্যের স্নেহাশ্রয় থেকে দূরে সরে এলো, অপরদিকে তেমনি দূষণভারে পরিবেশকে গড়ে তুলল জর্জরিত।
লোহা, কাঠ, ইট আর পাথরের খাচায় বন্দী মানুষ কীট গুটিপোকার মতই নিজের সৃষ্টির মাঝে রচনা করলো নিজের কবর। তখন দূষিত পরিবেশের অভিশাপ ধীরে ধীরে বুঝতে পারল মানুষ। তাই ঈশ্বরের কাছে তার একাগ্র কামনা, তিনি যেন মানুষের গড়া নগর ফিরিয়ে নিয়ে মানুষকে দেন আদিম জীবনের প্রতিপালিকা অরণ্য আর দূষণমুক্ত আরণ্যক পরিবেশ। কিন্তু প্রশ্ন হল তা কি আর কোনদিন সম্ভব? নগরায়ন ও শিল্পায়নের হাত ধরে সভ্যতার যে জয়জয়কার, যে অভ্যস্ত জীবনযাত্রা, তা থেকে অরণ্যে ফিরে যাওয়ার বাসনা বাতুলতামাত্র। বরং অরণ্যের স্নেহ ছায়াকে ফিরিয়ে আনা হোক নগরায়ন ও শিল্পায়নের সহযোগী করে। পরিবেশ পরিষেবায় অরণ্য নিক কার্যকরী ভূমিকা।

প্রশ্ন: দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর কার লেখা?
উত্তর: “দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর” এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সভ্যতার প্রতি” থেকে লাইনটি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

তুলসী পাতার উপকারিতা

কুলেখাড়া পাতার উপকারিতা

আমন্ড বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

মেথি খাওয়ার উপকারিতা

👉 Subscribe Our YouTube Channel: Click Here

আরও পড়ুন:

দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার ৮টি বৈজ্ঞানিক উপায়
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা

Keywords:

দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর সারমর্ম | দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর ভাবার্থ | দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর ভাবসম্প্রসারণ Class 9

নবম শ্রেণী বাংলা ভাবসম্প্রসারণ লেখা

Leave a Comment