রচনা শীতকাল
শীতকাল
ভূমিকা:
ভারতবর্ষ ছয় ঋতুর দেশ। পালাক্রমে ছয়টি ঋতু এসে প্রকৃতিকে নবরূপে সাজিয়ে তোলে। সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে তারা আসে আর যায়। বসন্ত ঋতুর আগে শীতের আগমন ঘটে। প্রকৃতিকে কুয়াশার চাদরে জড়িয়ে আবির্ভাব ঘটে শীতকালের।
শীতকালের সময়সীমা:
ছয় ঋতুর মধ্যে পঞ্চম ঋতু হলো শীত। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে শীতকাল। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়ে থাকে।
শীতের সকাল:
কুয়াশার চাদরে মোরা শীতের সকাল হাড় হিম করা ঠান্ডা নিয়ে শুরু হয়। এ সময় এক ফালি রোদ সকলের কাছে বহুল প্রতীক্ষিত। গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গাতেই একটি ভিন্ন আমেজ তৈরি হয় এই শীতকালে। শীতের সকালে এক অজানা অলসতা ভর করে মানুষের মধ্যে। লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকাতেই স্বর্গীয় সুখ অনুভূত হয়।
শীতের উপকারিতা:
শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, সিম, গাজর, বেগুন, পালং শাক ইত্যাদি। চাষিরা মাঠে নতুন ধান কাটে। এ সময় নানা রকম ফুলও ফোটে। কমলালেবুর চাষ হয়। শীতকালীন মনোরম আবহাওয়াতে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাই। ঘরে ঘরে খেজুর গুড়ের পিঠে, পায়েস খেতে ছোট থেকে বড় সবাই পছন্দ করে।
শীতের অসুবিধে:
গরিব ও বয়স্ক মানুষদের জন্য শীতকাল খুব একটা সুখদায়ক ঋতু নয়। অনেক বয়স্ক মানুষ শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পারায় প্রাণহানি ঘটে। আর দরিদ্র গৃহহীন মানুষদের পোশাক, লেপ, কম্বল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সামগ্রির অভাবে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। এ সময় মশার উপদ্রব বাড়ে ডেঙ্গুর মতো প্রাণঘাতিক অসুখ ও ছড়ায়। শীতের শেষে বসন্ত রোগের ও প্রভাব দেখা যায়।
উপসংহার:
বেশিরভাগ মানুষের কাছে প্রিয় ঋতু হলো শীতকাল। শীত আসে আমাদের প্রকৃতিকে বদলে দিতে। নতুন করে প্রকৃতিকে সাজিয়ে দেওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হল শীত। শীতের রিক্ততা পুরনো পাতা ঝরিয়ে দিলেই নতুন পাতা নিয়ে আসে ঋতুরাজ বসন্ত।
আরও পড়ুন:
ছাত্র জীবনে খেলাধূলার প্রয়োজনীয়তা