এখানে গরু রচনা দেওয়া হলো।
গরু রচনা- ১
সূচনা:
গরু একটি গৃহপালিত পশু। গৃহস্থালির কাজে গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে এবং তার দ্বারা অনেক কাজ সাধন করা হয়। প্রাণী হিসেবে গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী।
আকার ও আকৃতি:
গরুর চারটি পা, দুটি লম্বা কান, দুটি শিং, একটি দীর্ঘ মাথা এবং পিছনে একটি লেজ থাকে। উচ্চতায় এটি তিন চার হাত এবং দৈর্ঘ্য পাঁচ ছয় হাত হয়ে থাকে। গরুর সারা শরীর ছোট এবং ঘন লোমে আবৃত থাকে। গরু লাল,কালো, সাদা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এবং বিশ্বের সবজায়গায় পাওয়া যায়।
প্রকৃতি:
গরু, খুব শান্ত ও নিরীহ প্রাণী। এরা সহজেই পোষ মানে।
খাদ্য:
গরু একটি তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস খড় গাছের পাতা গরুর প্রধান খাদ্য। তাছাড়াও ভাতের ফ্যান শুকনো দানা জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে।
উপকারিতা:
আমাদের জীবনে গরুর উপকারিতা অসীম। গরুর দুধ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এই দুধ থেকে দই ছানা মাখন কি ইত্যাদি নানারকম দ্রব্য তৈরি করা হয় যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।আমরা আমাদের জমি চাষ করতে ষাঁড় বা বলদ ব্যবহার করে থাকি।পণ্য পরিবহনের জন্য গরুর গাড়িও ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে গরুর গোবর একটি উত্তম সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
উপসংহার:
গরু নানা গুণ থাকা সত্ত্বেও গরুর প্রতি আমরা যত্নশীল নই। গরুর উপকারিতার দিকে চেয়ে আমাদের সবাইকে গরুর প্রতি সদয় হওয়া দরকার। গরু পালনে আমাদেরকে উৎসাহিত হওয়া দরকার তাহলে নানাভাবে উপকৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।
গরু রচনা- ২
ভূমিকা:
গরু একটি চিরচেনা ও উপকারী গৃহপালিত প্রাণী। এটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পাওয়া যায়। কৃষক পরিবারে গরুর উপস্থিতি অত্যন্ত সাধারণ এবং বহু জায়গায় এটি জীবিকার অন্যতম মাধ্যম।
বিবরণ:
গরুর গঠন অত্যন্ত সহজ ও পরিচিত। এর দুটি চোখ, দুটি কান, একটি লম্বা লেজ এবং মাথার ওপর দুটি শিং থাকে। শরীর মসৃণ লোমে ঢাকা থাকে। গরুর রং সাদা, কালো, লাল কিংবা বিভিন্ন মিশ্র রঙের হতে পারে।
খাদ্য:
গরু সাধারণত ঘাস, খড়, এবং অন্যান্য শাকসবজি খায়। এটি খুবই সহজ খাদ্য গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
উপকারিতা:
গরু মানুষের জীবনে অত্যন্ত উপকারী প্রাণী।
দুধ: গরুর দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর। দুধ থেকে ঘি, মাখন, ছানা, দই ইত্যাদি তৈরি হয়।
চাষাবাদ: কৃষিকাজে গরুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ষাঁড় গরু চাষের কাজে এবং মালবাহী গাড়ি টানার জন্য ব্যবহৃত হয়।
গোবর ও সার: গরুর গোবর জৈব সারের অন্যতম উৎস। এটি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
চামড়া ও হাড়: গরুর চামড়া দিয়ে জুতা, ব্যাগ, মোজা ইত্যাদি তৈরি করা হয়। হাড় রাসায়নিক সার তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার:
গরু মানুষের অন্যতম উপকারী বন্ধু। এটি শুধু কৃষকদেরই নয়, বরং সমাজের সব স্তরের মানুষের কাজে আসে। আমাদের উচিত গরুর যথাযথ যত্ন নেওয়া এবং তাদের সুরক্ষিত রাখা।
আরও রচনা দেখো:
১. ছাত্রজীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রচনা
২. বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা