ময়ূর সম্পর্কে রচনা

ময়ূর সম্পর্কে রচনা

ময়ূর

ভূমিকা:
বর্ষার বাদলদিনে গুরু-গুরু মেঘ গর্জনের সঙ্গে-সঙ্গে ময়ূর পেখম তুলে নাচার দৃশ্য দেখলে বোঝা যায়, ময়ূর কেন জাতীয় পাখির সম্মান পেয়েছে। রূপে লাবণ্যে ময়ূরের মতো পাখি ভারতের মাটিতে আর দেখা যায় না।

বিবরণ:
ময়ূরের গলার রং ঈষৎ সবুজ ও নীলচে ধরণের। মাথায় অপরূপ চূড়া এবং সেখানেও নীলরঙের আভা। হলদে রঙের ঠোঁট, আর সারাদেহে সাতরঙা পালকের বাহার। দেহের তুলনায় এদের লেজ আকারে বড়ো হয়। ময়ূরী আকারে ময়ূরের তুলনায় ছোটো হয়।

স্বভাব:
ময়ূর দল বেঁধে বনে-জঙ্গলে বাস করে। ময়ূর সহজে পোষ মানে। জঙ্গলে বসবাসের সময় একটি দলে একটি ময়ূর ও পাঁচটি ময়ূরী থাকে। এদের বাসা অন্য পাখিদের মতো নয়। এরা মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে শুকনো ঘাস ও খড়কুটো বিছিয়ে বাসা তৈরি করে।

খাদ্য:
ময়ূর সর্বভুক প্রাণী। শস্য, ফলের বীজ, কচিপাতা, ফুলের কুঁড়ি, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি খায়। ছোটো ছোটো সাপ ময়ূরের প্রিয় খাদ্য।

উপকারিতা:
ময়ূর শস্যখেতের পোকামাকড় খেয়ে শস্যের ফলন বাড়ায়। ময়ূরের পেখমের পালক দিয়ে শৌখিন হাতপাখা ও অন্যান্য অনেক জিনিস তৈরী হয়।

প্রাপ্তিস্থান:
বিহার, গুজরাট, রাজস্থান, ওড়িশা প্রভৃতি রাজ্যে ময়ূর বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

উপসংহার:
ময়ূর সাধারণত ৩০-৩৫ বছর বাঁচে। ময়ূরের সৌন্দোর্য নীরস মানুষকেও আকৃষ্ট করে।

👉 সমস্ত রচনা দেখতে: Click Here
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন: Click Here
Subscribe Our YouTube Channel: Click Here

মাধ্যমিক রচনা

বাংলা রচনা ময়ূর রচনা

মাধ্যমিক রচনা সাজেশন | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রবন্ধ রচনা pdf | উচ্চ মাধ্যমিক রচনা সাজেশন |

বাংলা রচনা মাধ্যমিক সাজেশন | বাংলা রচনা | Poribesh Rokhay ChatroChatrider Vumika
গুরুত্বপূর্ণ বাংলা রচনা | প্রবন্ধ রচনা class 10 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা রচনা সাজেশন

ময়ূর সম্পর্কে রচনা

Madhyamik Bengali Suggestion

ময়ূর সম্পর্কে রচনা | ময়ূর রচনা |

ময়ূরের রচনা

Leave a Comment

CLOSE