Class-8 Geography First-Unit-Test Question-2023

Class-8 Geography First-Unit-Test Question-2023

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন: ২০২৩
অষ্টম শ্রেণী
বিষয়: ভূগোল
পূর্ণমান: ১৫ সময়: ৩০ মিনিট
👉সিলেবাস:
◐ ১. পৃথিবীর অন্দরমহল
◐ ২. অবস্থিত পৃথিবী
◐ ৩. শিলা
◐ ৪. ভারতের প্রতিবেশী দেশ সমূহ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক
প্রশ্নমান: ২

১. SAARC এর পুরো নাম কি? এর সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর: SAARC এর পুরো নাম South Asian Association for Regional Co-operation.
SAARC এর সদর দপ্তর নেপালের কাঠমান্ডুতে।

২. কাকে ও কেন ‘দারুচিনির দ্বীপ’ বলা হয়?
উত্তর: শ্রীলঙ্কাকে দারুচিনির দ্বীপ বলা হয়। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে দারুচিনি উৎপাদিত হওয়ায় সারা বিশ্বে তা রপ্তানি করা হয়।

৩. কাকে ‘বজ্রপাতের দেশ’ বলা হয় কেন?
উত্তর: ভুটানকে ‘বজ্রপাতের দেশ’ বলা হয়। কারণ ভুটানে বজ্রপাতসহ প্রবল বৃষ্টি হয় বলে এই দেশকে ‘বজ্রপাতের দেশ’ বলা হয়।

৪. অপসারী পাত সীমানা কে গঠনকারী পাত সীমানা বলা হয় কেন?
উত্তর : অপসারী পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় বলে ফাটলের সৃষ্টি হয়। সেই ফাটল বরাবর ভূ-গর্ভস্থ ম্যাগমা বাইরে বেরিয়ে এসে নতুন ভূমিরূপ গঠিত হয় বলে, অপসারী পাত সীমানা কে গঠনকারী পাত সীমানা বলা হয়।

৫. অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয় কেন?
উত্তর: অভিসারী পাত সীমানা বরাবর দুটি পাত সংঘর্ষে লিপ্ত হলে ভারী পাতটি হালকা পাতের নিচে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীকালে ভারী পাতটি ভূগর্ভের উষ্ণতার সংস্পর্শে এসে গলে ম্যাগমায় পরিনত হয় অর্থাৎ বিলুপ্ত হয়। তাই অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয়।

৬. নিরপেক্ষ পাত সীমানা কাকে বলে?
উত্তর: যে সীমানা বরাবর দুটি পাত পাশাপাশি অগ্রসর হয় কিন্তু তাদের মধ্যে কোন সংঘর্ষ হয় না, তাকে নিরপেক্ষ পাত সীমানা বলে। ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত সান আন্দ্রিজ চ্যুতি এরকম পাত সীমানার উদাহরণ।

৭. প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় উপকূলে অভিসারী পাত সীমানা বরাবর পৃথিবীর বেশির ভাগ আগ্নেয়গিরি অবস্থিত বলে, একে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়ে থাকে। এই অঞ্চলটি আবার পৃথিবীর অন্যতম প্রধান ভূমিকম্প প্রবন অঞ্চল কারণ এখানে পৃথিবীর প্রায় ৭০% ভূমিকম্প হয়ে থাকে।

প্রশ্নমান: ৩
১. ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তর:

বিষয়ম্যাগমালাভা
(i) সংজ্ঞাভূ-অভ্যন্তরের তরল ও গ্যাসীয় খনিজের মিশ্রণ।ভূ-পৃষ্ঠের উপরে নির্গত কঠিন, তরল পদার্থের মিশ্রণ।
(ii) প্রকৃতিতরল প্রকৃতির হয়।সান্দ্র বা অর্ধতরল প্রকৃতির হয়।
(iii) অবস্থানউদবেধী আগ্নেয়শিলায় ম্যাগমা লক্ষ করা যায়।নিঃসারী আগ্নেয়শিলায় লাভা লক্ষ করা যায়।
(iv) ঘনত্ব২.১৮ — ২.৪০ গ্রাম/ঘনসেমি।২.৪ — ৩.০ গ্রাম/ঘনসেমি।
২. ভূমিকম্পের P ও S তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তর:

P তরঙ্গS তরঙ্গ
(i) এই তরঙ্গ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়-এই তিন প্রকার মাধ্যমের মধ্য দিয়েই যেতে পারে।এই তরঙ্গ কেবলমাত্র কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে; তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না।
(ii) যে মাধ্যমের ভেতর দিয়ে প্রাথমিক তরঙ্গ প্রবাহিত হয় সেই মাধ্যমের কণাগুলি তরঙ্গ প্রবাহের দিকে সোজাসুজি কাঁপতে থাকে।যে মাধ্যমের মধ্য দিয়ে এই তরঙ্গ অগ্রসর হয় সেই মাধ্যমের কণাগুলি উলম্বভাবে কাঁপতে থাকে।
(iii) এই তরঙ্গ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ক্রমশ উপরের দিকে সংকুচিত হয় বলে এই তরঙ্গের অপর নাম সংনমন তরঙ্গ।এই তরঙ্গ ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে বলে একে Body Wave বা দেহ তরঙ্গ বলে।
৩. অপসারী ও অভিসারী পাত সীমানার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তর:

অপসারী পাত সীমানাঅভিসারী পাত সীমানা
(i) যে সীমানা বরাবর দুটি ভূত্বকীয় পাত পরস্পর থেকে বিপরীত দিকে সরে যায়, তাকে অপসারী পাত সীমানা বলে।যে সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পর মুখােমুখি এগিয়ে আসে, তাকে অভিসারী পাত সীমানা বলে।
(ii) এই পাত সীমানায় সামুদ্রিক শৈলশিরা, গ্রস্থ উপত্যকা ইত্যাদি ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।এই পাত সীমানায় সমুদ্রের পলিরাশিতে ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়।
(iii) অপসারী পাত সীমানাকে গঠনকারী পাত সীমানা বলে।অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা বলা হয়।
৪. সিয়াল ও সিমার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তর:

সিয়ালসিমা
(i) ভূত্বকের উপরি অংশে লঘু গ্রানাইট জাতীয় আম্লিক শিলা গঠিত স্তরকে সিয়াল বলে।ভূত্বকের নিচের অংশে ভারী ব্যাসল্ট জাতীয় ক্ষারকীয় শিলা গঠিত স্তরকে সিমা বলে।
(ii) সিলিকন (Si) ও অ্যালুমিনিয়াম (Al) এই স্তরের প্রধান উপাদান বলে এর নাম হয়েছে সিয়াল (Sial)।সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এই স্তরের প্রধান উপাদান বলে এর নাম হয়েছে সিমা (Sima)।
(iii) সিয়াল স্তরটি মহাদেশের নিচে গড়ে 60 কিমি গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত।সিমা স্তরটি মহাসাগরের নিচে গড়ে 5 কিমি গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্নমান: ৫
১. আগ্নেয় শিলা কাকে বলে? উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলার শ্রেণীবিভাগ করো।

উত্তর: ভূ-গর্ভের উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠের কোন দুর্বল স্থান ভেদ করে বা ফাটল পথে ভূ-গর্ভের বাইরে বেরিয়ে এসে ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে শীতল ও সঞ্চিত হয়ে যে কঠিন শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা বা আগ্নেয় পদার্থ থেকে সৃষ্টি হয় বলে এই শিলাকে আগ্নেয় শিলা বলা হয়।

উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলা দুরকম। যথা-
(i) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা:
ভূ-অভ্যন্তরের অত্যধিক চাপে উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো দুর্বল ফাটলের মধ্যে দিয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রূপে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে যে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি করে তাকে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা বলে।
যেমন- ব্যাসল্ট, অবসিডিয়ান।
(ii) উদবেধী আগ্নেয় শিলা:
ভূ-অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা ভূত্বকের দুর্বল ফাটল দিয়ে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে না পেরে ভূ-অভ্যন্তরেই ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকে উদবেধী আগ্নেয় শিলা বলে।
যেমন- গ্রানাইট, ডোলেরাইট।
উদবেধী আগ্নেয় শিলাকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা- পাতালিক শিলা (যেমন- গ্রানাইট) ও উপপাতালিক শিলা (যেমন- ডোলেরাইট) ।

২. পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য লেখো। জীবাশ্ম কী?

উত্তর: পলি জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে সাধারণভাবে পাললিক শিলা বলে।
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য-
(১) জলস্রোতে পরিবাহিত দ্রবীভূত নুড়ি, কাঁকড়, বালি, খনিজ লবণ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক মাধ্যম দ্বারা বাহিত হয় সমুদ্র বা হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত ও জমাটবদ্ধ হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়।
(২) স্তরে স্তরে পলি রাশি সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয় বলে এই শিলার মধ্যে স্তর লক্ষ্য করা যায়।
(৩) সমুদ্র বা হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে পলি রাশি সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা সৃষ্টি হওয়ার সময় পলি রাশির মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ বা দেহাংশ চাপা পড়ে গিয়ে কালক্রমে তা অবিকৃত অবস্থায় জীবাশ্মে পরিণত হয় বলে এই শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়।
(৪) পলি দ্বারা গঠিত হয় বলে পাললিক শিলা আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলার থেকে নরম ও হালকা। তাই এই শিলা সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

জীবাশ্ম:
অনেক সময় উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহ পলির মধ্যে চাপা পড়ে ধীরে ধীরে প্রস্তরীভূত হয় এবং পাথরের মধ্যে তার ছাপ থেকে যায় । উদ্ভিদ বা প্রাণীর ছাপ যুক্ত সেই প্রস্তরকে জীবাশ্ম বলে । পাললিক শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায়।

৩. ভূমিকম্পের ফলাফল সম্বন্ধে যা জান লেখাে।

উত্তর: ভূমিকম্পের ফলাফল বা প্রভাবগুলি হল—

(1) জীবন ও সম্পত্তিহানি: ভূমিকম্প ঘটার ফলে অনেকসময় বাড়িঘর চাপা পড়ে বা ভেঙে যায়। এর ফলে অনেক মানুষ ও গৃহপালিত জন্তুর মৃত্যু হয় এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট হয়।

(2) পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়া: ভূমিকম্পের ফলে রাস্তাঘাট, রেললাইন বেঁকে যাওয়া, বসে যাওয়া এবং ধসের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

(3) জলাধার ভেঙে হঠাৎ বন্যার সম্ভাবনা: বড়াে জলাধারের বিপুল জলরাশির চাপে ভূমিকম্প হলে বাঁধ ভেঙে হঠাৎই বন্যা ঘটতে পারে। যেমন—মহারাষ্ট্রের কয়নাতে 1967 সালে এইভাবে ভূমিকম্প ও তার ফলে বন্যা হয়েছিল।

(4) সুনামির সৃষ্টি: সমুদ্র তলদেশে সৃষ্ট ভূমিকম্প প্রবল সামুদ্রিক ঢেউ সৃষ্টি করে। ওই ঢেউ উপকূলভাগে আছড়ে পড়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক জীবন ও সম্পত্তি হানি ঘটায়। যেমন- -2004 সালে। ভারত মহাসাগরের তলদেশে (সুমাত্রার নিকট) সৃষ্ট ভূমিকম্পে যে সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে 11 টি দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং প্রায় 3 লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হয়।

(5) নতুন ভূভাগ সৃষ্টি: অনেকসময় আন্তঃসাগরীয় এলাকা ভেসে উঠে নতুন ভূভাগ তৈরি করে। যেমন—সম্প্রতি 2013 সালে করাচির নিকট এরূপ একটি কাদার দ্বীপ তৈরি হয়েছে। :

(6) বন্দর গঠনে সহায়তা: ভূমিকম্পের ফলে উপকূলবর্তী ভূমিভাগ নিমজ্জিত হয়ে বন্দর গঠনের পক্ষে সাহায্য . অনেকসময় করে।

👉 সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্টের প্রশ্নপত্র : Click Here
👉 আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here

অষ্টম শ্রেণী ভূগোল প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৩
প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন অষ্টম শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন উত্তর
ফার্স্ট ইউনিট টেস্ট অষ্টম শ্রেণী ভূগোল প্রশ্ন

Class-8 Geography First-Unit-Test Question-2023

First Unit Test 2023 Class 8 Geography Question Answer

Class 8 Geography First Unit Test Question 2023 Class-8 Geography First-Unit-Test Question-2023

1 thought on “Class-8 Geography First-Unit-Test Question-2023”

Leave a Comment