১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:
১.১ বোঝাপড়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে-
(ক) পুনশ্চ
(খ) খেয়া
(গ) শেষলেখা
(ঘ) ক্ষণিকা
উত্তর: (ঘ) ক্ষণিকা
১.২ “অনেক __ কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরেতে” -শূন্যস্থানে বসবে-
(ক) ঝগড়া
(খ) শঙ্কা
(গ) ঝঞ্ঝা
অশ্রু
উত্তর: (গ) ঝঞ্ঝা
১.৩ “আকাশ তবু __ থাকে” শূন্যস্থানে বসবে-
(ক) ডাগর
(খ) সুনীল
(গ) আঁধার
(ঘ) মস্ত
উত্তর: (খ) সুনীল।
২. নিচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও:
২.১ ‘কতকটা এ ভবের গতিক’ ‘ভবের গতিক’টি কি?
উত্তর: ‘ভবের গতিক’ অর্থাৎ সংসারের রীতিটি হলো সবাই সবার জন্য নয়।
২.২ ‘চলে আসছে এমনি রকম’ -কোন সময়ের কথা কবি এক্ষেত্রে স্মরণ করেছেন?
উত্তর: কবি এক্ষেত্রে ‘মান্ধাতার আমল’ অর্থাৎ অতি প্রাচীন কালের কথা স্মরণ করেছেন।
২.৩ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ -কোন বিষয়টিকে সবার চেয়ে শ্রেয় মনে করা হয়েছে?
উত্তর: কারো সঙ্গে বিবাদ না করে- সমস্ত দুঃখ সহ্য করে টিকে থাকা কে সবার চেয়ে শ্রেয় বলা হয়েছে।
৩. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও:
৩.১ ‘তবু ভেবে দেখতে গেলে’ -কবি কি ভেবে দেখার কথা বলেছেন?
উত্তর: ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় কবি ভেবে দেখতে বলেছেন- সংসারে প্রত্যেকেই আলাদা, তবু একে অন্যকে ফেলে এগোতে চায়। অথচ হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায়, পাওয়া যায় পরম সুখ। সর্বাবস্থায় আকাশ সুনীল থাকে, ভোরের আলো মধুর হয়, এমনকি সহসা মরণ এলে, জীবনে বাঁচার ইচ্ছাই প্রবল হয়। যাকে ছাড়া জীবন শুন্য বলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে তাকে ছাড়াও পৃথিবী মনোরম।
৩.২ ‘শঙ্কা যেথায় করে না কেউ / সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি’ -উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বোঝাপড়া কবিতা থেকে সংকলিত আলোচ্য উদ্ধৃতাংশ টির মাধ্যমে কি বোঝাতে চেয়েছেন যে জীবনে চলার পথে আমরা অনেক বিষয়কে ভাবনা চিন্তার মধ্যে আনিনা। অনেক ঘটনাকে গভীর চিন্তা না করে অগ্রাহ্য ও অবহেলা করি। যার থেকে কোন ভয় নেই মনে করি দেখা যায় সেই আমাদের সমূহ বিপদের কারণ।
৩.৩ ‘দোহাই তবে এ কার্যটা / যত শীঘ্র পারো সারো’ -কবি কোন কাজটা দ্রুত সারতে বলেছেন?
উত্তর: জীবনে চলার পথে প্রয়োজনমতো মনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলে সহজ শক্তিকে মেনে নিয়ে আলোর প্রদীপ জ্বালানোর কথাই কবি এখানে বলেছেন। আসলে মনের দুঃখ গ্লানি সরিয়ে সানন্দে নিজের কাজ করে যাওয়াই কবির অভিপ্রায়। মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিজের সমূহ কর্তব্য সারার জন্যই কবি মনের সঙ্গে বোঝাপড়া ব্যাপারটি করতে বলেছেন।
৪. নিচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ:
‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে’।
পঙক্তিদুটি ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় কতবার ব্যবহার করা হয়েছে? এমন পুনরাবৃত্তির কারণ কবিতাটির বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:
আলোচ্য পঙক্তিটি ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় পাঁচবার ব্যবহার করা হয়েছে।
▣ জীবন চলার পথে মানুষকে হাজার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়- সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষকে আবার মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়। মনই মানুষকে চালিত করে। তাই সবার মনে রাখা দরকার, জগতে সবাইকে আমি যেমন ভালোবাসি না তেমনি আমাকেও সবাই ভালবাসবে না -মেনে নেবে না। কেউ সবকিছু বিকিয়ে দেয়, কেউ আবার কারো ধার ধারে না। আবার এমনও হয় যে মানুষ যেখানে সামান্য বিপদের আশংকা করে না হয়তো সেখান থেকেই বিপদ আসে। কিন্তু তাই বলে ভেঙে পড়া ঠিক নয়। বিধাতার সঙ্গে বিবাদ করাও উচিত নয়। মনের সঙ্গে বোঝাপড়া করে পার্থক্য দূর করতে হবে। তা না হলে জগতের সার্বিক আনন্দে শামিল হওয়া যাবে না। মনের সঙ্গে লড়াই করে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে চলতে হয়। সব ব্যাপারে মনের ভূমিকা সর্বাধিক বলেই কবি মনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পঙক্তিটির পুনরাবৃত্তি করেছেন।