Class-8 Bengali First-Unit-Test Question-2023

Class-8 Bengali First-Unit-Test Question-2023

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন: ২০২৩
অষ্টম শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
পূর্ণমান: ১৫ সময়: ৩০ মিনিট
প্রশ্নমান: ১

১. অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে কোন্ কোন সেনাপতির প্রসঙ্গ রয়েছে?
উত্তর: ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আরবসেনাপতি ও মুরসেনাপতির প্রসঙ্গ রয়েছে।

২. “জগতে একটা কীর্তি রেখে যেতে চাই”—বক্তা কীভাবে এই কীর্তি রেখে যেতে চান?
উত্তর: আলােচ্য উক্তিটির বক্তা ম্যাসিডনীয় সাম্রাজ্যের অধিপতি সেকেন্দার। তিনি বিচিত্র দেশ ভারতবর্ষের সৌম্য, গৌর, দীর্ঘকান্তি জাতির বৈচিত্র্যময় শৌর্যকে তাঁর মহানুভবতা, ক্ষমাধর্মের দ্বারা জয় করে একটি অক্ষয়কীর্তি রেখে যেতে চান।

৩. বনভােজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল?
উত্তর: বনভােজনের জায়গা ঠিক হয়েছিল বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পরে ক্যাবলার মামার বাড়ির কাছে এক বাগানবাড়িতে।

৪. রমা আকবরকে কোথায় পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল?
উত্তর: রমা আকবরকে দক্ষিণ ধারের বাঁধ পাহারা দেবার জন্য পাঠিয়েছিল।

৫. ‘বােধ করি এই কথাই হইতেছিল’-কোন্ কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ?
উত্তর: একশাে বিঘার মাঠের দক্ষিণ ধারের বাঁধ কেটে জল বার করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রজাদের আকুল আবেদনের কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে প্রজারা বেণীবাবুর কাছে অনুনয় বিনয় করে হাতে-পায়ে ধরে কান্নাকাটি করেও ফল পায়নি। বেণীবাবু কিছুতেই দুশাে টাকা লােকসান করতে রাজি হয়নি।

৬. সবুজ জামা আসলে কী?
উত্তর: সবুজ জামা আসলে সবুজ পাতার সমন্বয়, যা সব কিছুকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। অন্যভাবে বলা যায়, সবুজ জামা আসলে মনােরম, সুন্দর মন তথা মানুষের অফুরন্ত সীমাহীন প্রাণশক্তি।

৭. তােতাই সবুজ জামা পরলে কী কী ঘটনা ঘটবে?
উত্তর: তােতাই সবুজ জামা পরলে তবেই তার ডালে অর্থাৎ, হাতে প্রজাপতি এসে বসবে আর তার কোলে লাল, নীল ফুল নেমে আসবে।

👉 ছোটোদের পথের পাঁচালী প্রশ্ন উত্তর : Click Here
প্রশ্নমান: ২/৩
১. ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়।’ — কোনটি সবার চেয়ে শ্রেয়?

উত্তর: জীবনে দুঃখের সাগর পেরিয়েই সুখের কিনারায় উঠতে হয়। একাজে যে বিপদ আছে, তা মাথায় রেখেই বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হয়। নতুবা মুহূর্তের ভুলে সব কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার বা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সতর্ক হয়ে চলতে হবে, অন্যের সঙ্গে বিবাদ করে, সবার সাথে মিলে মিশে দুঃখ-সাগরে ভেসে থাকতে হবে। তাকে অবলম্বন করে টিকে থাকতে হবে। আর সেটিই হবে উপযুক্ত, সংগত ও শ্রেয়।

২. ‘ঘটনা সামান্য খুবই।” —কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: সামান্য ঘটনা বলতে, গভীর চিন্তা না-করে অগ্রাহ্য ও অবহেলার যােগ্য ঘটনাকে বােঝানাে হয়েছে। জীবনে চলার পথে আমরা অনেক বিষয়কে ভাবনা চিন্তার মধ্যে আনি না। যার থেকে কোনাে ভয় নেই মনে করি, দেখা যায়, সে-ই আমাদের সমূহ বিপত্তির কারণ। কবি সেই আপাত তুচ্ছ বলে বিবেচ্য বিষয়কেই সামান্য ঘটনা বলেছেন।

৩. সহসা আরবসেনাপতির মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল। -আরবসেনাপতির মুখ হঠাৎ বিবর্ণ হয়ে ওঠার কারণ কী?

উত্তর: আরবসেনাপতির আতিথ্যে মুরসেনাপতি খাদ্য-পানীয় পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তারা দুজনে বসে বন্ধুভাবে কথাবার্তা শুরু করেন। তারা পরস্পরের আলােচনায় নিজের ও নিজের পূর্বপুরুষদের সাহস, পরাক্রম ও যুদ্ধ-কৌশলের পরিচয় দিতে লাগলেন। মুরসেনাপতির কথা থেকে আরবসেনাপতি বুঝতে পারেন এই ব্যক্তিই তাঁর পিতার হত্যাকারী। তখনই তার মন খারাপ হয়ে যায়। পিতার হত্যাকারীকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন, অথচ আতিথ্যবােধের কারণে তিনি এই মুহূর্তে প্রতিশােধ নিতে অপারগ। পিতার হত্যাকারী, তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু তাঁর সামনে, অথচ তাঁর কিছুই করার নেই। এই তীব্র মানসিক যন্ত্রণাবােধেই হঠাৎ করে আরবসেনাপতির মুখ বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল।

৪. ‘কী বিচিত্র এই দেশ!’-বক্তার চোখে এই দেশের বৈচিত্র্য কীভাবে ধরা পড়েছে?

উত্তর: প্রখ্যাত নাটককার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত ‘চন্দ্রগুপ্ত নাটকের আলােচ্য উক্তিতে বক্তা সেকেন্দার ‘বিচিত্র দেশ’ ভারতবর্ষের প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ ও বিস্মিত। দিনে প্রচণ্ড সূর্য গাঢ় নীল আকাশকে দগ্ধ করে, আবার রাত্রে শুভ্র চাঁদ তার সমস্ত দগ্ধ জ্বালা নিবারণ করে স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নায় স্নান করিয়ে দেয়। অন্ধকার রাতে অগণ্য উজ্জ্বল জ্যোতিঃপুঞ্জে যখন আকাশ ঝলমল করে, তখন তিনি অবাক বিস্ময়ে তা দেখতে থাকেন। বর্ষাকালে ঘন-কালাে মেঘ গুরুগম্ভীর গর্জনে প্রকাণ্ড দৈত্যসেনার মতাে সমস্ত আকাশ ঢেকে দিলে তিনি নিশ্ৰুপ হয়ে তার সেই ভীষণ রূপ প্রত্যক্ষ করেন। এই দেশের বিশাল নদ- -নদী ফেনিল উচ্ছ্বাসে, উদ্দাম বেগে বয়ে চলেছে। এর মরুভূমি স্বেচ্ছাচারের মতাে তপ্ত বালুরাশি নিয়ে খেলা করছে। এইভাবে তিনি এ দেশের বৈচিত্র্যময় অপরূপ সৌন্দর্য দেখে বিস্মিত ও আনন্দ লাভ করেন।

👉 ছোটোদের পথের পাঁচালী প্রশ্ন উত্তর : Click Here
৫. বনভােজনের প্রথম তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল? তা বাতিল হল কেন?

উত্তর: বিখ্যাত ছােটোগল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত। ‘বনভােজনের ব্যাপার’ শীর্ষক ছােটোগল্পে উদ্ধৃত বনভােজনের প্রথম তালিকায় বিরিয়ানি, পােলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কাবাব (দু-রকম), মাছের চপ প্রভৃতি খাদ্যের উল্লেখ ছিল।
প্রথম তালিকায় যেমন খাদ্যের উল্লেখ করা হয়েছিল, তার খরচ নেহাত কম নয়। তারপর ক্যাবলা জানায় বাবুর্চি, চাকর, মােটগাড়ির জন্য আরও দু-শাে টাকা খরচা হবে। অথচ, তাদের চারজনের চাঁদাই উঠেছে। মাত্র দশ টাকা ছ-আনা। সুতরাং, ওসবের খরচ যােগাড় করা অসম্ভব। মূলত খরচা কমাতেই বনভােজনের খাদ্যের প্রথম তালিকা বাতিল করতে হল।

৬. বনভােজনের দ্বিতীয় তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল এবং কে, কী কাজের দায়িত্ব নিয়েছিল?

উত্তর: বনভােজনের দ্বিতীয় তালিকায় খিচুড়ি, আলুভাজা, পােনা মাছের কালিয়া, আমের আচার, রসগােল্লা, ও লেডিকেনির উল্লেখ ছিল। এছাড়াও ডিমের ডালনা লিস্টে ছিল।
প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল । ক্যাবলা নিয়েছিল আলু ভাজার দায়িত্ব, প্যালা নিয়েছিল পােনা মাছের কালিয়া রাধার দায়িত্ব এবং হাবুল দিদিমার ঘর থেকে আমের আচার সংগ্রহ করার দায়িত্ব নিয়েছিল।

৭. বেণী জল বার করতে চায়নি কেন?

উত্তর: বেণী জল বার করতে চায়নি প্রধানত দুটি কারণে। প্রথমত, বাঁধ কেটে জলার ওপর দিয়ে জল বের করতে দিলে জলার মাছ সব বেরিয়ে যাবে। জলা থেকে বছরে দুশাে টাকার মাছ বিক্রি হয়। সুতরাং, টাকাটা সে লােকসান করতে চায়নি। দ্বিতীয়ত, জল বার করতে দিলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে চাষিরা না খেতে পেয়ে বাধ্য হয়ে জমি বন্ধক রেখে তাদেরই কাছে। টাকা ধার চাইতে আসবে। এভাবেই সে পরের ক্ষতি করে নিজের স্বার্থ গােছাতে চেয়েছিল। বাড়াতে চেয়েছিল নিজের জমিদারী। তাই সে জল বার করতে চায়নি।

৮. মােরা নালিশ করতি পারব না’-কে এ কথা বলেছে ? সে নালিশ করতে পারবে না কেন?

উত্তর: রমাদের পিরপুরের প্রজা আকবর এ কথা বলেছে।
আকবর একজন প্রকৃত লাঠিয়াল। তার আত্মসম্মানবােধ প্রবল। সে জানে লাঠিতে জয়-পরাজয় আছেই। রমেশের লাঠির আঘাতে সে আহত হয়, তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরে, কিন্তু পাঁচখানা গাঁয়ের লােক তাকে সর্দার বলে মানে। তাই পরাজিত হলেও সে আত্মমর্যাদা হারাতে রাজি নয়। নালিশ করলে তার সম্মানহানি ঘটবে সে সর্দার হিসেবে অপমানিত হবে। তাছাড়া সর্দারের এই কথায় ছােটোবাবু রমেশের প্রতি শ্রদ্ধাও পরিস্ফুট হয় কারণ রমেশ নিজের স্বার্থে নয়, গ্রামবাসীদের স্বার্থে একশাে বিঘা জমি বাঁচাতে বাঁধ কাটার কাজে তাদের বিরুদ্ধে লাঠি ধরেছে তাই কোনােভাবে সে সদরে গিয়ে তার চোট দেখাতে পারবে না বা থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযােগও জানাতে পারবে না।

৯. “মানুষ বড়াে কাঁদছে”—কী কারণে কবি এই কথা বলেছেন?

উত্তর: সমগ্র পৃথিবী জুড়েই চলছে ক্ষমতার রাজনীতি। ফলে রাজনীতি, অর্থনীতি ও ক্ষমতায়নের খেলায় সময়ও অস্থির। দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধ, ঠান্ডা লড়াই, বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রপন্থী মানসিকতা মানুষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সমাজমনস্ক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় জীবনকে দেখেছেন কঠিন বাস্তবের মাটি থেকে। সেহেতু সমাজের বিকৃতি ও ব্যভিচার দেখে কবি মর্মাহত। সমাজের জটিল আবর্তে পড়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে স্বার্থান্বেষী মানুষরা মেতে উঠেছে অত্যাচার ও উৎপীড়নের খেলায় । তারা বিচ্ছিন্ন ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে জীবন যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ছে। এই সমস্ত মানুষদের জন্য কবি খুবই মর্মাহত হয়েছেন। তাই তিনি মানুষেরই কাছে। মানুষের কান্নার কথাকে তুলে ধরেছেন।

প্রশ্নমান: ৪/৫
১. “তেমন করে হাত বাড়ালে / সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।” —তেমন করে কথাটির অর্থ বুঝিয়ে দাও। এখানে কবি কী ধরনের সুখের ইঙ্গিত করেছেন লেখাে।

উত্তর: ‘তেমন করে কথাটির সাধারণ অর্থ সেই ভাবে। অন্যভাবে বলা যায় আন্তরিকভাবে। আসলে কবি বলতে চেয়েছেন আন্তরিকতার সঙ্গে, মনে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নারেখে যদি পারস্পরিক সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তবে অনেকটাই সুখ বা আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।
কবি এখানে মানসিক সুখ-শান্তির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, মানসিক সুখই জীবনকে সহজ-সাবলীল-ছন্দময় করে তােলে। পার্থিব সুখ তথা ধন-দৌলত-অর্থ প্রধান নয়। আসল হল- মানসিক প্রশান্তি। এই মানসিক প্রশান্তি লাভেই প্রকৃত সুখ মেলে। পাওয়া যায় অনেকটা স্বস্তি। জগৎ ও জীবনকে পরম সুখের ও আনন্দের বলে মনে হয়।

২. ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে কার আতিথেয়তার কথা রয়েছে? তিনি কীভাবে অতিথির আতিথেয়তা করেন? তার সেই আতিথেয়তাকে ‘অদ্ভুত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে কেন?

উত্তর: ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পে আরবসেনাপতির আতিথেয়তার কথা বলা হয়েছে।
আতিথেয়তা বিষয়ে আরবসেনাপতি এক অদ্ভুত দৃষ্টান্ত রেখেছেন। স্বভাবগুণে তিনি প্রথমে শরণাগতকে আশ্রয় দেন, তাঁর সার্বিক পরিচর্যা করেন, তার জন্য যথােপযুক্ত খাদ্য-পানীয়ের ব্যবস্থা করেন। তারপর কথােপকথনকালে যখন জানতে পারেন, এই ব্যক্তিই তাঁর পিতাকে হত্যা করেছেন, তখন সেই মুহূর্তে তাঁর প্রতি কোনাে বিরূপতা দেখাননি। এমনকি তাঁর ঘােড়ার অক্ষমতা দেখে তাঁর জন্য একটি সবল, সতেজ ঘােড়ার ব্যবস্থাও করেন। তাঁর সঙ্গে পরম বন্ধুত্বের আচরণ করেন। শেষ পর্যন্ত সম্যক বিষয় জানিয়ে তাঁকে চলে যাওয়ার সুযােগ করে দেন। এইভাবে পিতার হত্যাকারীর প্রতি পূর্ণ সৌজন্য দেখিয়ে আরবসেনাপতি আতিথেয়তা প্রদর্শন করেন।

এই আতিথেয়তা সত্যিই ‘অদ্ভুত। কারণ, আরবসেনাপতি তাঁর পিতার হত্যাকারীকে হত্যা করতে চান। আবার সেই মানুষটিই তাঁর শরণাগত, অতিথি। একদিকে প্রতিশােধস্পৃহা, অন্যদিকে অতিথিসেবা—এই দুই-এর টানাপােড়েনে সুযােগ পেয়েও আরবসেনাপতি অতিথির প্রতি সামান্যতম বিরূপতা দেখাননি। আবার বিদায়কালে তাঁর শপথ ও প্রতিজ্ঞার কথা বলে তাঁকে যথেষ্ট সতর্ক করেছেন। এভাবে মনের ইচ্ছাকে প্রকাশ করেও তিনি আতিথ্য দেখিয়েছেন বলে এই আতিথেয়তাকে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে।

৩. ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাট্যাংশ অবলম্বনে গ্রিক সম্রাট সেকেন্দারের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দাও।

উত্তর: নাটককার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাট্যাংশের একজন প্রধান চরিত্র হল, গ্রিক সম্রাট সেকেন্দার। নাট্যাংশ থেকে জানতে পারা যায়, তিনি ম্যাসিডনের রাজা। আলােচ্য নাট্যাংশে গ্রিক সম্রাটের একাধিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায়। নাটকের শুরুতেই দেখা গিয়েছে সেকেন্দারের মধ্যে এক ধরনের সৌন্দর্যপ্রিয়তা আছে। তাই তিনি ভারতবর্ষের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর চরিত্রে দিগবিজয়ের আকাঙ্ক্ষাও দেখা গিয়েছে। তাই তিনি সেলুকসকে বলেন, দিগবিজয় করে জগতে একটা কীর্তি রেখে যেতে চান। কিন্তু তিনি বাস্তববাদী ও পর্যবেক্ষণশীল। সেজন্যই তিনি সমগ্র এশিয়া জয় না করে অর্ধেক এশিয়া জয় করে ফিরে যেতে চেয়েছেন। পর্যবেক্ষণ শক্তি ছিল বলেই তিনি ভারতবর্ষের শাসকদের চরিত্রে শিশুর সারল্য, দেহে বজ্রের শক্তি, চোখে সূর্যের দীপ্তি, বক্ষের সাহস দেখে বিস্মিত হয়েছেন। তাঁর কাছে পরাজিত ও বন্দি বীর পুরুর নির্ভীক কথায় তিনি চমকে উঠেছেন। তিনি অর্ধেক এশিয়া জয় করে এসে ভারতবর্ষের রাজা পুরুর কাছেই প্রথম বাধা পেয়েছেন বলে মনে করেছেন। আবার পুরুকে তাঁর নিজ রাজ্য প্রত্যর্পণ করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। আবার গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত চন্দ্রগুপ্তের তিনি পরীক্ষা নিয়েছেন। চন্দ্রগুপ্তের সাহসিকতা ও সত্যবাদিতা দেখে তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আবার সৈন্যাধ্যক্ষের স্পর্ধিত আচরণের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করেছেন। সেনাপতিকে তাঁর আচরণের জন্য সাবধান করে দিয়েছেন। এইভাবে সমগ্র নাট্যাংশে নাটককার সম্রাট সেকেন্দারের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।

👉 ছোটোদের পথের পাঁচালী প্রশ্ন উত্তর : Click Here
৪. ‘রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া গেল’- রমেশের বিস্ময়ের কারণ কী ছিল?

উত্তর: রমেশ প্রজাদের ধান জমি রক্ষার জন্য বাঁধ কেটে জল বের করার ব্যাপারে বেণী ঘােষালের কাছে অনুরােধ করেও ব্যর্থ হয়। রমেশের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, রমা তার সঙ্গে সহমত পােষণ করবেই। তাই সে জলার তৃতীয় শরিক রমার কাছে যাওয়া স্থির করে। সে ভাবে, রমা রাজি হলে একা বেণীর আপত্তিতে কোনাে কাজ হবে না। কিন্তু রমাকে বিষয়টি জানাতেই সে প্রথমে মাছের বন্দোবস্তের কথা জিজ্ঞাসা করে। রমেশ তখন অত জলে মাছের বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয় এবং এই সামান্য ক্ষতিটুকুকে মেনে নিতে অনুরােধ জানালে রমা সােজাসুজি জানিয়ে দেয়, অতগুলাে টাকা সে লােকসান করতে পারবে না। রমার এই অপ্রত্যাশিত উত্তরে আর সেই সঙ্গে রমার অমানবিক, স্বার্থপর মনােভাবের পরিচয় পেয়ে সেইসঙ্গে নিজের ভাবনার চরম বৈপরীত্য উপলদ্ধি করে রমেশ বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হয়ে গেল।

৫. কবি কাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরােধ করছেন বলে তােমার মনে হয়?

উত্তর: প্রদত্ত কবিতাটিতে কবি মানুষকেই মনুষ্যত্ববােধ, শুভ চেতনা ইত্যাদি সদগুণগুলির জাগরণের মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে অনুরােধ করেছেন। এই বােধই পারে মানুষকে অমানুষিক তথা বর্বর আচরণ থেকে মুক্ত করতে। বর্তমান সময়ে কিছু মানুষ হিংসায় মত্ত হয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করতে কুণ্ঠিত হয়। না। সমাজ থেকে সত্য-সুন্দরকে তারা মুছে ফেলতে চায়। তাই কবি বিবেকবান মানুষকে সেই সমস্ত উৎপীড়িত অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ানাের আহ্বান জানিয়েছেন।

৬. ‘সবুজ জামা’ কবিতায় তােতাইয়ের সবুজ জামা চাওয়ার মাধ্যমে কবি কী বলতে চাইছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।

উত্তর: আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘সবুজ জামা’ কবিতায় শান্তিকামী, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা মানুষের শাশ্বত চাওয়াকে রূপ দিয়েছেন। কবিতায় উপলদ্ধির বিষয় হল, তােতাইবাবুর চাওয়া একটি সবুজ জামা। এই সবুজই শেষপর্যন্ত জগৎ ও জীবনের রক্ষক, ধারক ও প্রতিপালক হয়ে ওঠে।
‘সবুজ’ শব্দটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ‘সবুজ রং সজীবতা ও প্রাণসত্তার প্রতীক। গাছের ক্ষেত্রে সবুজ তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যে একাত্ম হয়ে থাকে। সেই গাছের সাপেক্ষে ‘কিন্তু ব্যবহার করে কথক যখন তােতাইবাবুকে ‘অ-আ-ক-খ শিখবি’ বলেন, তখন বুঝতে দেরি হয় না, শিশুর সহজাত বৈশিষ্ট্যকে এই জটিল পৃথিবীতে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। স্বার্থদুষ্ট সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সার্বিক সুস্থতা আনতে গাছের মতাে সবুজ, সতেজ ও মানবপ্রেমিক বন্ধু হতে হবে। এই সত্য আরও স্পষ্ট হয় কথক যখন বলেন—“দাদু যেন কেমন, চশমা ছাড়া চোখে দেখে না।” চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে গেলে তখনই দরকার হয় চশমার। জীবনের সমস্ত স্বাভাবিকতা, সহজতাকে বাঁচিয়ে রাখতে না-পারলে দাদুর মতাে যেন কেমন’-ই হয়ে উঠতে হবে যা আমাদের কাম্য নয়।
অন্যদিকে কবিতার শেষাংশে কবি যখন বলেন “তবেই না তার ডালে প্রজাপতি বসবে”। তখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে—প্রজাপতির আগমন প্রাকৃতিক এবং একই সঙ্গে সে বংশবিস্তারে সহযােগী একটি প্রজাতি পতঙ্গ। তার শারীরিক বর্ণগত বৈচিত্র্য মনকে প্রসারিত করে, উদার করে, সৌন্দর্যে ভরিয়ে দেয়। তােতাই-ও যদি সবুজ জামা পরে তবেই তার কোলের ওপর নেমে আসবে—“একটা, দুটো, তিনটে লাল-নীল ফুল। তার নিজের…”। এরকম স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলে শিশুর একদিন সুষম বিকাশ হবে। এই সত্যকেই কবি কবিতার মাধ্যমে বলতে চেয়েছেন।

👉 ছোটোদের পথের পাঁচালী প্রশ্ন উত্তর : Click Here
👉 সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্টের প্রশ্নপত্র : Click Here
আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here

Class-8 Bengali First-Unit-Test Question-2023

You may also like: Class VII Notes

Class 8 First Unit Test Bengali Question Paper Class 8 First Unit Test Bengali Suggestion Class 8 First Unit Test History Question Paper Class-8 Bengali First-Unit-Test Question-2023

WBBSE Class 8 Model Question Paper Unit Test Question Paper Bengali Class VIII Bengali first Unit Test Question Paper pdf Download Class-8 Bengali First-Unit-Test Question-2023

1st Unit Test Test Class 8 Bengali Question Answer 2023

Official Website: Click Here

অষ্টম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র

প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন: ২০২৩
অষ্টম শ্রেণী বিষয় বাংলা

2 thoughts on “Class-8 Bengali First-Unit-Test Question-2023”

  1. Name-_______________________.
    Class-_______. Sec-______.
    ————————————————————–
    1》
    (
    ক) চন্দ্রগুপত নাটকের সময় কাল হল।
    (a) সকল।
    (b)দুপুর ।
    (c)সন্ধ্যা।
    (d)বিকাল।

Leave a Comment