Class-8 Bengali Bonvojoner-Byapar Question-Answer

বনভোজনের ব্যাপার প্রশ্ন উত্তর Class-8 Bengali Bonvojoner-Byapar Question-Answer

শ্রেণী: অষ্টম বিষয়: বাংলা
বনভোজনের ব্যাপার
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
পাঠ্য পুস্তকের প্রশ্নগুলির উত্তর:

১.১ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের কোন বিখ্যাত চরিত্রের সৃষ্টিকর্তা?
উত্তর: টেনিদা

১.২ তাঁর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: ‘উপনিবেশ’ ও ‘পদসঞ্চার’

২. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১ বনভােজনের উদ্যোগ কাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল ?
উত্তর: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছােটোগল্পকার ও ঔপন্যাসিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভােজনের ব্যাপার’ গল্পে টেনিদা, ক্যাবলা, হাবুল ও প্যালার মধ্যে বনভােজনের উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল।

২.২ বনভােজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল ?
উত্তর: বনভােজনের জায়গা ঠিক হয়েছিল বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পরে ক্যাবলার মামার বাড়ির কাছে এক বাগানবাড়িতে।

২.৩ বনভােজনের জায়গায় কীভাবে যাওয়া যাবে ?
উত্তর: বনভােজনের জায়গায় যেতে প্রথমে শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের রেলে চাপতে হবে। ওই ট্রেনে করে বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পার করে নামতে হবে। সেখান থেকে নেমে প্রায় মাইলখানেক রাস্তা হেঁটে গেলে বনভােজনের জায়গায় পৌঁছনাে যাবে।

২.৪ রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব কে নিয়েছিল ?
উত্তর: রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব প্যালা নিয়েছিল।

২.৫ বনভােজনের বেশিরভাগ সামগ্রী কারা সাবাড় করেছিল ?
উত্তর: বনভােজনের বেশিরভাগ সামগ্রী বানরের দল সাবাড় করেছিল।

২.৬ কোন খাবারের কারণে বনভােজন ফলভােজনে পরিণত হল ?
উত্তর: বাগানের একটি গাছে পেকে থাকা জলপাই খাওয়ার ফলে বনভােজন পরিণত হয় ফলভােজনে।

৩. নীচের শব্দগুলির সন্ধি বিচ্ছেদ করাে : মােগলাই, রান্না, বৃষ্টি, পরীক্ষা, আবিষ্কার।

উত্তর:
মােগলাই = মােগল+ আই।
রান্না =রাধ + না।
বৃষ্টি = বৃষ + তি।
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা।
আবিষ্কার = আবিঃ + কার।

৪. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করাে : বিচ্ছিরি, প্ল্যান-ট্যান, লিস্টি, ভদ্দর, ইস্টুপিড।

উত্তর:
বিচ্ছিরি = বিশ্রী > বিচ্ছিরি—সমীভবন।
প্ল্যান-ট্যান = অনুকার শব্দ।
লিস্ট > লিস্টি—ধ্বন্যাগম (‘ই’-স্বরধ্বনির আগমন)।
ভদ্দর = ভদ্র > ভদ্দর—সমীভবন।
ইস্টুপিড = স্টুপিড > ইস্টুপিড—আদি স্বরাগম (‘ই’ ধ্বনির)।

৫. নীচের বাক্যগুলি প্রত্যেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি খুঁজে নিয়ে লেখাে :

৫.১ আর সে গাট্টা, ঠাট্টার জিনিস নয়-জুতসই লাগলে স্রেফ গালপাট্টা উড়ে যাবে।
উত্তর: এই বাক্যে ‘ট্টা’ বর্ণটি একাধিকবার বাক্যে প্রযুক্ত হয়েছে। একে বৃত্তানুপ্রাস অলংকার বলে, যার প্রয়ােগ এখানে লক্ষণীয়।

৫.২ দ্রাক্ষাফল অতিশয় খাট্টা।
উত্তর: ‘খাট্টা’ শব্দটি হিন্দি শব্দ, যার প্রয়ােগ আলােচ্য বাক্যে লক্ষ করা যায়। একইসঙ্গে দুটি তৎসম শব্দ প্রয়ােগ করার ফলে বাংলা বাক্যে শব্দ প্রয়ােগের বৈচিত্র্য এসেছে।

৫.৩ আহা-হা চৈইত্যা যাইত্যাছ কেন ?
উত্তর: উদ্ধৃত বাক্যের ‘চৈইত্যা’ ও ‘যাইত্যাছ’ শব্দবন্ধে অপিনিহিতির প্রয়ােগ লক্ষ করা যায়। এই ধরনের বাক্য বঙ্গালি উপভাষায় বেশি প্রযুক্ত হতে দেখা যায়।

৫.৪ এক চড়ে গালের বােম্বা উড়িয়ে দেব।
উত্তর: এখানে ‘বােম্বা’ নামক প্রাদেশিক বা কথ্য ভাষার প্রয়ােগ দেখা যায়। এই বিশেষ লঘু শব্দটিকে আমরা অনেক সময় ‘রকের ভাষা’ বা ‘ছেলেছােকড়ার ভাষা বলে থাকি।

৬. ব্যাসবাক্য-সহ সমাসের নাম লেখাে : বনভােজন, দলপতি, বেরসিক, দ্রাক্ষাফল, রেলগাড়ি।

উত্তর:
বনভােজন = বনে ভােজন-অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস।
দলপতি = দলের পতি-সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
বেরসিক = বে (নয়) রসিক– নতৎপুরুষ সমাস।
দ্রাক্ষাফল = দ্রাক্ষা নামক ফল—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস।
রেলগাড়ি = রেল বাহিত গাড়ি—মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস।

৭. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করা :

৭.১ লাফিয়ে উঠে টেনিদা বাগানের দিকে ছুটল। (জটিল বাক্যে)
উত্তর: লাফিয়ে উঠে টেনিদা যেদিকে ছুটল সেদিকে বাগান।

৭.২ চোখের পলকে বানরগুলাে গাছের মাথায়। (জটিল বাক্যে) )
উত্তর: যেই-না চোখের পলক ফেলা, অমনি বানরগুলাে গাছের মাথায়।

৭.৩ দুপুর বেলায় আসিস। বাবা-মেজদা অফিসে যাওয়ার পরে। (একটি সরল বাক্যে)
উত্তর: দুপুর বেলায় বাবা-মেজদা অফিসে যাওয়ার পরে আসিস।

৭.৪ ইচ্ছে হয় নিজে বের করে নাও। (জটিল বাক্যে)
উত্তর: যদি ইচ্ছে হয় তাহলে নিজে বের করে নাও।

৭.৫ টেনিদা আর বলতে দিলে না। গাঁক গাঁক করে চেঁচিয়ে উঠল। (একটি সরল বাক্যে)
উত্তর: টেনিদা আর বলতে না-দিয়ে গাঁক গাঁক করে চেঁচিয়ে উঠল।

৮. নীচের শব্দগুলির সমার্থক প্রবচনগুলি খুঁজে বের করাে এবং তা দিয়ে বাক্যরচনা করাে : চুরি, নষ্ট হওয়া, পালানাে, গােলমাল করে ফেলা, লােভ দেওয়া, চুপ থাকা।

উত্তর:
চুরি—(হাত সাফাই করা) = হাবুল দিদিমার ঘর থেকে আমের আচার হাতসাফাই করেছিল। )

নষ্ট হওয়া –(বারােটা বাজা) = মহিম তার জল-খাবার নিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ায় জলখাবারের বারােটা বাজল।

পালানাে–(হাওয়া হওয়া)= কালীবাবুর বাগানের আম চুরি করে ধরা পড়ার ভয়ে বলাই সেই রাত্রে বাড়ি থেকে হাওয়া হল।

গােলমাল করে ফেলা—(তালগােল পাকানাে)= অর্পিতা টিভি দেখতে দেখতে অঙ্ক করতে গিয়ে সব তালগােল পাকিয়ে ফেলেছে।

লােভ দেওয়া —(নজর দেওয়া) = অপরের সম্পত্তিতে নজর দেওয়া ভালাে নয়।

চুপ থাকা—(মুখে কুলুপ আঁটা) = মার খাওয়ার ভয়ে ঈশান তার দাদার সামনে মুখে কুলুপ এটে রইল।

৯. টীকা লেখাে : কলম্বাস, লেডিকেনি, বিরিয়ানি, ইউরেকা।

উত্তর:

কলম্বাস: ক্রিস্টোফার কলম্বাস ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইউরোপীয় নাবিক, ১৪৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ইটালির জানোয়ায় তাঁর জন্ম হয়। পঞ্চদশ শতকে ইনি আমেরিকা আবিষ্কার করেন। ১৪৯২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতে আসার জন্য যাত্রা শুরু করেন। তিনি ভারতবর্ষে আসতে গিয়ে আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে জাহাজ নিয়ে পৌঁছেছিলেন এবং সেখানকার অধিবাসীদের নাম দিয়েছিলেন রেড ইন্ডিয়ান।

লেডিকেনি: ছােটো পানতুয়া বা পানতুয়ার মতাে মিঠাই-বিশেষ। কথিত আছে, লর্ড ক্যানিং তাঁর স্ত্রীকে খুশি করার জন্য কলকাতার প্রখ্যাত ময়রা নবীনচন্দ্রকে মিষ্টান্ন তৈরি করতে বললে, তিনি এমন এক মিষ্টান্ন উদ্ভাবন করেন। লেডি ক্যানিং এই জাতীয় মিষ্টি খুবই পছন্দ করতেন। তাই তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

বিরিয়ানি : মাংস বা মাছ সহযােগে প্রস্তুত পােলাও জাতীয় খাবার-বিশেষ। সুগন্ধি চাল, মাছ বা মাংস, গরম মশলা (দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, জাইফল, জয়িত্রী, কাবাব চিনি), ঘি, তেজপাতা, নুন, চিনি, গােলাপ জল, হলুদগুঁড়াে, লঙ্কাগুঁড়াে, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কা, সাদা তেল সহযােগে এই খাদ্য প্রস্তুত করা হয়। এটি প্রধানত মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত হলেও বর্তমানে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিশেষ প্রিয় খাদ্যরূপে মর্যাদা পেয়েছে। কথিত আছে, সুলতান রাজিয়া তাঁর সেনাদের জন্য এই খাদ্যের প্রচলন করেন ।

ইউরেকা: এটি একটি ইংরাজি শব্দ, এর অর্থ ‘পেয়েছি’। প্রসিদ্ধ গ্রিক গণিতবিদ আর্কিমিডিস বিভিন্ন সোনায় কতটা খাদ আছে তা পরীক্ষা করতে গিয়ে সফল হয়ে এই শব্দ ব্যবহার করে চিৎকার করে ওঠেন। সেই থেকে পৃথিবীর বহু দেশে ‘পেয়েছি’ অর্থে উল্লাস প্রকাশ করে “ইউরেকা” শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

১০. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও :
১০.১ বনভােজনের প্রথম তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল? তা বাতিল হল কেন?

উত্তর: বিখ্যাত ছােটোগল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত। ‘বনভােজনের ব্যাপার’ শীর্ষক ছােটোগল্পে উদ্ধৃত বনভােজনের প্রথম তালিকায় বিরিয়ানি, পােলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কাবাব (দু-রকম), মাছের চপ প্রভৃতি খাদ্যের উল্লেখ ছিল।
প্রথম তালিকায় যেমন খাদ্যের উল্লেখ করা হয়েছিল, তার খরচ নেহাত কম নয়। তারপর ক্যাবলা জানায় বাবুর্চি, চাকর, মােটগাড়ির জন্য আরও দু-শাে টাকা খরচা হবে। অথচ, তাদের চারজনের চাঁদাই উঠেছে। মাত্র দশ টাকা ছ-আনা। সুতরাং, ওসবের খরচ যােগাড় করা অসম্ভব। মূলত খরচা কমাতেই বনভােজনের খাদ্যের প্রথম তালিকা বাতিল করতে হল।

১০.২ বনভােজনের দ্বিতীয় তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল এবং কে, কী কাজের দায়িত্ব নিয়েছিল?

উত্তর: বনভােজনের দ্বিতীয় তালিকায় খিচুড়ি, আলুভাজা, পােনা মাছের কালিয়া, আমের আচার, রসগােল্লা, ও লেডিকেনির উল্লেখ ছিল। এছাড়াও ডিমের ডালনা লিস্টে ছিল।
প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল । ক্যাবলা নিয়েছিল আলু ভাজার দায়িত্ব, প্যালা নিয়েছিল পােনা মাছের কালিয়া রাধার দায়িত্ব এবং হাবুল দিদিমার ঘর থেকে আমের আচার সংগ্রহ করার দায়িত্ব নিয়েছিল।

১০.৩ প্যালার রাজহাঁসের ডিম আনার ঘটনাটির বর্ণনা দাও।

উত্তর: রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব পেয়েছিল প্যালা। ভন্টাদের বাড়ি থেকে প্যালা রাজহাঁসের ডিম চুরি করে আনতে গিয়েছিল, তাকে সাহায্য করেছিল ভন্টা। দুপুরে ভন্টার বাবা ও মেজদা অফিসে যাওয়ার পরে প্যালা ডিম আনতে গিয়েছিল। উঠানে সারি সারি কাঠের বাক্সের ভিতর রাজহাঁস রাখা হয়। ডিম বার করার জন্য প্যালা সেই বাক্সের মধ্যে হাত ঢোকানো মাত্র রাজহাঁস তার শক্ত ঠোট দিয়ে প্যালার হাত কামড়ে ধরে। প্রচণ্ড চিৎকার করে প্যালা লাফ দিয়ে কোনোরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। ফলে রাজহাঁসের ডিম তাদের আর নেওয়া হল না।

১০.৪ ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে গিয়ে তাদের কী কী বিপদ ঘটেছিল?

উত্তর: গল্পকার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভােজনের ব্যাপার’ গল্পে বনভােজনে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে নেমে বনভােজনের জিনিসপত্র নিয়ে হাবুল, ক্যাবলা, প্যালা ও টেনিদা এগােতে লাগল। তিন পা যেতে -যেতেই হাবুল আছাড় খেল ও তার হাতের ডিমের পুঁটলি কুঁকড়ে গিয়ে হলুদ রস পড়তে লাগল। এর পরেপরেই প্যালা ও টেনিদার মাটিতে পড়ে গিয়ে কাদামাখা অবস্থা হল এবং আমের আচার, রসগােল্লারা মাটিতে লুটোপুটি খেল। অবশিষ্ট রইল শুধু চাল-ডালের পুঁটলিটি ও পেপানামাছগুলি।
আগেরদিন বৃষ্টি হয়ে গ্রামের রাস্তা পিছল হয়ে যাওয়ায় তাদের বনভােজনের অধিকাংশ দ্রব্যই মাটিতে পড়ে অব্যবহার্য সামগ্রীতে পরিণত হয়েছিল এবং তারা হাঁটতে গিয়ে নিজেরা ও তাদের পরিধেয় বস্ত্রও কর্দমাক্ত হয়েছিল।

১০.৫ মাছের কালিয়ার তিনটে বেজে গেল’ মাছের কালিয়া সম্পর্কে এরকম বলার কারণ কী?

উত্তর: বনভোজনে গিয়ে প্যালা মাছের কালিয়া রান্না করার দায়িত্ব পেয়েছিল। কিন্তু সে রান্নার কিছু জানত না। সে মাছগুলি কেটে নুন ও হলুদ মাখিয়ে কড়াইতে থাকা কাঁচা তেলে ফেলে দেয়। তেল গরম না হওয়ায় সব মাছ ভেঙে তালগোল পাকিয়ে যায়। ফলে মাছের কালিয়া শেষ পর্যন্ত মাছের হালুয়া হয়ে যায়।

১১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১১.১ এই গল্পটির নাম ‘বনভােজন’ না-হয়ে বনভােজনের ব্যাপার হল কেন?

উত্তর: নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভোজনের ব্যাপার’ গল্পটি বনভোজনের পরিকল্পনা, বনভোজনের যাত্রাপথের বর্ণনা এবং মজাদার পরিবেশনে শেষ হয়েছে। নানারকমের খাবারের ব্যবস্থা করার আয়োজন এবং টেনিদা, প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা এই চারজনের ভাবনার বিষয় হল এই বনভোজন। টেনিদা পেটুক, অলস, ভীরু প্রকৃতির , কিন্তু সবার উপর খবরদারি করায় ওস্তাদ। ট্রেন থেকে নেমে জিনিসপত্র নিয়ে বনভোজনে যাওয়ার সময় নানা বিপদ ঘটে এবং ক্যাবলার মামার বাড়িতে পৌঁছে কীভাবে বনভোজন ফলভোজনে পরিণত হয় তার বর্ণনা গল্পে আছে। তাই গল্পের নাম বনভোজনের ব্যাপার হিসেবে সার্থক।

১১.২ এই গল্পে কটি চরিত্রের সঙ্গে তােমার দেখা হল? প্রত্যেকটি চরিত্র নিয়ে আলােচনা করাে।

উত্তর: কথাসাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত ‘বনভােজনের ব্যাপার’ নামাঙ্কিত গল্পটিতে হাবুল সেন, ক্যাবলা, টেনিদা, প্যালা প্রভৃতি চরিত্রের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়।

টেনিদা : কথাসাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি টেনিদা চরিত্রটি। টেনিদা আসলে সব জায়গায় দাদাগিরি দেখাতে চায়। তার আচরণের মধ্যে একটি ভারিক্কি ভাব বর্তমান। তার কাছে টাকা থাকলেও সে মুর্গ মুসল্লম, বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে। মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা খাওয়ার কথা বলে অথচ, চাঁদার সময় ছয় আনা দেয়। সে রকমারি রসভােগ্য খাদ্য খেতে চায়। অথচ সেই খাদ্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেয় অপরের ঘাড়ে। স্টেশন থেকে নেমে সঙ্গে নেওয়া খাদ্যের মধ্যে সবচেয়ে হালকা জিনিসটিই সে বহন করে। ট্রেনে চেপে লেডিকেনিগুলি তিনি একাই শেষ করে। অন্য কেউ পড়ে গিয়ে খাবার নষ্ট করলে তাকে সে শাস্তি দেয় কিন্তু নিজে পিছলে পড়ে রসগােল্লা নষ্ট করলে তখন চুপ থাকে। টেনিদা চরিত্রটি আমাদের বাংলা সাহিত্যের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্ট ‘নতুনদা’ চরিত্রটিকে স্মরণ করায়।

হাবুল সেন : হাবুল সেন ছিল ঢাকার বাঙাল। তাঁর উচ্চারনে তা স্পষ্ট বোঝা যায়। সে টেনিদাকে সন্তুষ্ট রাখতে চায়, আচরণে সে বন্ধুত্বপূর্ন ও খাদ্যরসিক।

ক্যাবলা: বনভোজনের ব্যাপার গল্পে এক মজাদার চরিত্র ক্যাবলা। তাঁর উচ্চারনে হিন্দি ঝোঁক আছে। তাঁর বাস্তববোধ ও টেনিদার চরিত্র সম্পর্কে ধারণা অন্য সকলের চেয়ে বেশি।

প্যালা: প্যালা অত্যন্ত সাধাসিধে ও নিরীহ ছেলে। সে সর্বদা পালাজ্বরে ভোগে ও শিঙি মাছের ঝোল খায়। মাঝে মধ্যে সে টেনিদার কাছে শাস্তি পেয়ে থাকে। দলে তার বিশেষ মর্যাদা ছিল না।

👉 অষ্টম শ্রেণী বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্নগুলির উত্তর: Click Here
আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here

You may also like: Class-8 Unit Test Question Papers

Class-8 Bengali Bonvojoner-Byapar Question-Answer


বনভোজনের ব্যাপার প্রশ্ন উত্তর mcq
Class-8 Bengali Bonovojoner Byapar Question-Answer

Class-8 Bengali Important Question Answer Class-8 Bengali Bonvojoner-Byapar Question-Answer Class-8 Bengali Bonvojoner-Byapar Question-Answer

অষ্টম শ্রেণী বাংলা বনভোজনের ব্যাপার প্রশ্ন উত্তর

Class-8 Bengali Bonvojoner-Byapar Question-Answer

Official Website: Click Here

অষ্টম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র

Leave a Comment

CLOSE