Class-7 History Chapter-3 Question Answer

Class-7 History Chapter-3 Question Answer

সপ্তম শ্রেণী
ইতিহাস
তৃতীয় অধ্যায়
ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা
(খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক)
পাঠ্য পুস্তকের প্রশ্নগুলির উত্তর

১। নীচের নামগুলির মধ্যে কোনটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না তার তলায় দাগ দাও:

(ক) নাড়ু, চোল, উর, নগরম।
উত্তর: চোল।
(ব্যাখ্যা: চল একটি রাজ্য আর বাকিগুলি চোলরাজ্যের পরিষদ)

(খ) ওদন্তপুরী, বিক্রমশীল, নালন্দা, জগদ্দল, লখনৌতি।
উত্তর: লখনৌতি
(ব্যাখ্যা: লখনৌতি ছাড়া বাকিগুলি বৌদ্ধবিহার)

(গ) জয়দেব, ধীমান, বীটপাল, সন্ধ্যাকর নন্দী, চক্রপাণিদত্ত।
উত্তর: জয়দেব
(ব্যাখ্যা: জয়দেব সেনযুগের কবি আর বাকিরা পালযুগের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ)

(ঘ) লুইপাদ, অশ্বঘোষ, সরহপাদ, কাহ্নপাদ।
উত্তর: অশ্বঘোষ
(ব্যাখ্যা: অশ্বঘোষ ছাড়া বাকিরা ছিলেন সিদ্ধাচার্য)

২। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি তোমার সবচেয়ে মানানসই বলে মনে হয়?


(ক) বিবৃতি : বাংলার অর্থনীতি পাল-সেন যুগে কৃষি নির্ভরর্ভ হয়ে পড়েছিল।
ব্যাখ্যা-১: পাল-সেন যুগে বাংলার মাটি আগের যুগের থেকে বেশি উর্বর হয়ে গিয়েছিল।
ব্যাখ্যা-২ : পাল-সেন যুগে ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপট বেড়ে গিয়েছিল।
ব্যাখ্যা-৩: পাল-সেন যুগে রাজারা কৃষকের উৎপন্ন ফসলের উপর কর নিতেন।
উত্তর: ব্যাখ্যা-২ : পাল-সেন যুগে ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপট বেড়ে গিয়েছিল।

(খ) বিবৃতি : দক্ষিণ ভারতের মন্দির ঘিরে লােকালয় ও বসবাস তৈরি হয়েছিল।
ব্যাখ্যা-১ : রাজা ও অভিজাতরা মন্দিরকে নিষ্কর জমি দান করতেন।
ব্যাখ্যা-২: নদী থেকে খাল কেটে সেচব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছিল।
ব্যাখ্যা-৩: দক্ষিণ ভারতে রাজারা অনেক মন্দির তৈরি করেছিলেন।
উত্তর: ব্যাখ্যা-১ : রাজা ও অভিজাতরামন্দিরকে নিষ্কর জমি দান করতেন।

(গ) বিবৃতি : সেন যুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার কমে গিয়েছিল।
ব্যাখ্যা-১: সেন রাজারা বৌদ্ধ ছিলেন।
ব্যাখ্যা-২: সেন রাজারা ব্রাহ্মণ্য ধর্মেকেই প্রাধান্য দিতেন।
ব্যাখ্যা-৩: সমাজে শূদ্রদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল।
উত্তর: ব্যাখ্যা-২: সেন রাজারা ব্রাহ্মণ্য ধর্মেকেই প্রাধান্য দিতেন।

৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও:

(ক) দক্ষিণ ভারতে খ্রিস্টীয় নবম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে বাণিজ্যের উন্নতি কেন ঘটেছিল?


উত্তর: খ্রিস্টীয় নবম থেকে একাদশ শতকের মধ্যে দক্ষিণ ভারতে বাণিজ্যে উন্নতির প্রধান কারণগুলি ছিল-
(i) দক্ষিণ ভারতের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বণিকদের উৎসাহিত করা হত। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও তাদের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ‘নগরম’ নামে একটি পরিষদ গঠন করা হয়েছিল।

(ii) দক্ষিণ ভারতের চোল রাজারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার সুবাদে সেইসব দেশের বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ভারতীয় বণিকদের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছিল।

(খ) পাল ও সেন যুগে বাংলায় কী কী ফসল উৎপন্ন হতো? সে ফসলগুলির কোন কোনটি এখনও চাষ করা হয়?


উত্তর: পাল যুগে অর্থনীতির অন্যতম মূল ভিত্তি ছিল কৃষি। এই যুগের প্রধান উৎপন্ন ফসলগুলি ছিল- ধান, সর্ষে এবং নানারকমের ফল যেমন আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া কার্পাস, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হতো। সেসময় বিভিন্ন শাক-সবজি যেমন বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কাঁকরোল, ডুমুর, কচু ইত্যাদিও উৎপন্ন হতো।
সেই ফসলগুলির মধ্যে অনেক ফসল এখনও উৎপন্ন হয়। যেমন ধান, সর্ষে, লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে, কচু ইত্যাদি।

(গ) রাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভার সাহিত্যচর্চার পরিচয় দাও।


উত্তর: সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণসেন সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকরা তাঁর রাজসভা অলংকৃত করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন-
জয়দেব: লক্ষ্মণসেনের রাজসভার সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যিক ছিলেন জয়দেব। তাঁর রচিত ‘গীতগোবিন্দম’ কাব্যের বিষয়বস্তু ছিল রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের কাহিনী।
পঞ্চরত্ন: জয়দেব সহ লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় আরও চারজন কবি ছিলেন ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর এবং শরণ। এই পাঁচজন কবি একসঙ্গে লক্ষ্মণসেনের রাজসভার পঞ্চরত্ন ছিলেন। ধোয়ী লিখেছিলেন পবনদূত কাব্য।

(ঘ) পাল শাসনের তুলনায় সেন শাসন কেন বাংলায় কম দিন স্থায়ী হয়েছিল?


উত্তর: বাংলায় পাল শাসন চারশো বছরেরও বেশি স্থায়ী হলেও সেন শাসন একশো বছরের মতো স্থায়ী হয়েছিল। সেন শাসনের কম স্থায়ী হওয়ার কারণগুলি ছিল-
(i) পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বিজয়সেন কোনো জনসমর্থন পাননি।
(ii) পাল শাসকেরা বাংলার সমাজে নিজেদের শাসনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারলেও সেন শাসকেরা পারেননি।
(iii) শিক্ষা-দীক্ষা, ধর্মচর্চা, শিল্পকলা প্রভৃতি দিক থেকে পাল শাসন সেন শাসনের তুলনায় অনেক এগিয়ে ছিল।

৪। বিশদে (১০০-১২০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর লেখো:

(ক) ভারতের সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে কেন তা একখানা ত্রিভুজের মতো দেখায়? এই ব্যবস্থার সামন্তরা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করত?


উত্তর: সামন্ত ব্যবস্থা বলতে এক বিশেষ ধরনের শাসনতান্ত্রিক কাঠামাে বােঝায় যেখানে কেন্দ্রীর শক্তির অধীনে বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির বিকাশ ঘটে এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পরিবর্তে স্থানীয় ভূস্বামীদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীভূত হয়ে থাকে। প্রাচীন এবং মধ্যযুগের ভারতে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে। সামন্ত ব্যবস্থায় সবার উপরে ছিলেন একজন রাজা। তার নীচে অল্প সংখ্যক মহাসামন্ত। মহাসামন্তের নীচে বেশ কিছু সামন্ত এবং সবার নীচে অনেক জনগণ। অর্থাৎ সামন্ত ব্যবস্থার ছবি আঁকতে গেলে উপর থেকে নীচের দিকটা আসতে আসতে চওড়া হতে হতে ত্রিভুজের আকার তৈরী হয়।

সামন্তরা কেউ পরিশ্রম করে উৎপাদন করতো না। অন্যের শ্রমে উৎপন্ন দ্রব্য বা রাজস্ব থেকে নিজেরা জীবিকা নির্বাহ করতো।


(খ) পাল ও সেন যুগের বাংলার বাণিজ্য ও কৃষির মধ্যে তুলনা করো।

উত্তর: পাল-সেন যুগে কৃষি, শিল্প এবং বাণিজ্যই ছিল বাংলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
পাল-সেন যুগের বাণিজ্য:
এই যুগে বাংলার অর্থনীতিতে বাণিজ্যের গুরুত্ব ক্রমশ কমে এসেছিল। ভারতের পশ্চিম দিকের সাগরে আরব বণিকদের দাপটের ফলে বাংলার বণিকরা পিছু হটেছিল এবং তাদের গুরুত্ব কমে গিয়েছিল। বাণিজ্যের অবনতির কারণে মুদ্রার ব্যবহার খুব কমে যায়। জিনিস কেনাবেচার প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে কড়ি।
পাল-সেন যুগের কৃষি:
এই যুগে বাণিজ্যের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় বাংলার অর্থনীতি হয়ে কৃষিনির্ভর হয়ে পড়েছিল। এই যুগে কৃষকদের অবহেলা না করলেও জমিতে মূল অধিকার ছিল রাষ্ট্র বা রাজার। রাজারা উৎপন্ন ফসলের এক-ষষ্ঠাংশ কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। এই যুগের প্রধান ফসলগুলি ছিল ধান, সরষে, নানারকম ফল যেমন আম, কাঁঠাল, কলা, ডালিম, খেজুর, নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া কার্পাস, পান, সুপুরি, এলাচ, মহুয়া ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হতো।


(গ) পাল আমলের বাংলার শিল্প ও স্থাপত্যের কী পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখো।

উত্তর: পাল শাসনকালে শিল্প ও স্থাপত্যের ক্ষেত্রে বাংলার ইতিহাস এক গৌরবজ্জ্বল অধ্যায়। পাল যুগে কারুশিল্পে, কাচশিল্পে, মৃৎশিল্পে ও ধাতুশিল্পে বাঙালিরা যথেষ্ট পারদর্শিতা লাভ করেছিল। পালযুগের শিল্পরীতিকে প্রাচ্য শিল্পরীতি বলা হয়। এ যুগে পাথর ও ধাতুশিল্পের যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে, সেগুলির বেশিরভাগ হল দেব-দেবীর মূর্তি।পালযুগে পোড়ামাটির শিল্প জনপ্রিয় ছিল। পাহাড়পুরের মন্দিরের গায়ে যে খোদাই করা পাথর ও পোড়ামাটির ফলক আছে তা পালযুগের ভাস্কর্য শিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এ যুগে ধীমান ও বিভপাল ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী। তাদের চেষ্টায় বাংলায় একটি শিল্পীসংঘ গড়ে উঠেছিল।
পাল আমলের স্থাপত্যের মধ্যে ছিল স্তূপ, বিহার ও মন্দির। পাল রাজত্বকালে তৈরি স্তূপগুলি শিখরের মতো দেখতে ছিল। বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার আসরফপুর গ্রামে, রাজশাহীর পাহাড়পুরে, চট্টগ্রামে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ভরতপুর গ্রামে বৌদ্ধ স্তূপ পাওয়া গেছে। তবে স্তূপ নির্মাণে ওই আমলে বাংলায় কোনো মৌলিক ভাবনার বিকাশ লক্ষ করা যায়নি।
এযুগে স্থাপত্য-শিল্পকলার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে বিক্রমশীল মহাবিহার ও সোমপুরী বিহারগুলি ছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বাসস্থান ও বৌদ্ধ জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। পাল সম্রাট ধর্মপাল খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে মগধের উত্তর ভাগে গঙ্গার তীরে আধুনিক ভাগলপুর শহরের কাছে বিক্রমশীল মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য সোমপুরী বিহারের ধ্বংসাবশেষ রাজশাহী জেলার অন্তর্গত পাহাড়পুরে পাওয়া গেছে। এই বিহারের আঙ্গিনাটি চতুষ্কোণ ও উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মন্দিরের মধ্যে সোমপুরী বিহারের মন্দিরই ছিল উল্লেখযোগ্য। চারকোণা এই মন্দিরে গর্ভগৃহ, প্রদক্ষিণ পথ, মণ্ডপ, সুউচ্চ স্তম্ভ ইত্যাদি ছিল।

(ঘ) পাল ও সেন যুগে সমাজ ও ধর্মের পরিচয় দাও।

উত্তর: বাংলায় পালযুগে বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির উল্লেখ পাওয়া যায়। যথা- ব্রাক্ষ্মণ, করণ-কায়স্থ, বৈদ্য, গন্ধবণিক, মালাকার, তন্তুবায় ইত্যাদি। তবে কায়স্থ, বৈদ্য ও অন্যান্য সংকর বর্ণ সবই ছিল শূদ্রবর্ণের অন্তর্ভুক্ত। পালযুগে বর্ণবিন্যাস সুস্পষ্টভাবে গড়ে ওঠেনি। তবে সমাজে ব্রাহ্মণদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল যথেষ্ট। প্রকৃতপক্ষে পালযুগের সামাজিক আদর্শ ছিল বৃহত্তর সামাজিক সমন্বয় ও স্বাঙ্গীকরণ। সমাজে ব্রাহ্মণদের পরেই ছিল কায়স্থদের স্থান। বৈদ্য শ্রেণিক আত্মপ্রকাশ ঘটে একেবারে পাল রাজত্বের শেষে। সমাজে এদের যথেষ্ট মর্যাদা ছিল।
সেন যুগে ব্রাহ্মণ্য সংস্কারের ফলে বর্ণভিত্তিক সমাজ গড়ে ওঠে। ব্রাহ্মণ্য ভিত্তিক সমাজে স্বভাবতই ব্রাহ্মণদের স্থান ছিল সবার উপরে। বাংলার হিন্দুসমাজে ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্য এই তিন শ্রেণির মধ্যে কৌলিন্য প্রথার প্রচলন হয়। অনেকের মতে রাজা বল্লালসেন কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক।পাল ও সেনযুগে সমাজে নারীর তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। একটিমাত্র স্ত্রী গ্রহণ করাই ছিল স্বাভাবিক প্রথা। তবে রাজারাজরা ও অভিজাতদের মধ্যে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করার রেওয়াজও ছিল। সে যুগে সতীদাহ প্রথা প্রচলিত ছিল। নাচগানে নারীদের অংশগ্রহণের উল্লেখ আছে।
পাল রাজারা ব্রাহ্মণ ছিলেন না, এরা ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক। বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রসারের উদ্দেশ্যে পালরাজারা অনেক বৌদ্ধ মঠ ও শিক্ষায়তনের প্রতিষ্ঠা করেন। পালযুগে মহাযান বৌদ্ধধর্মের সাথে অন্যান্য দার্শনিক চিন্তাধারা মিলে গিয়ে বজ্রযান বা তান্ত্রিক বৌদ্ধমতের জন্ম হয়। এই মতের নেতাদের বলা হত সিদ্ধাচার্য। তবে পালরাজারা বৌদ্ধধর্মের অনুগামী হলেও অন্যান্য ধর্মের প্রতি সমব্যবহার ও উদারতা দেখাতেন।
সেনযুগে পৌরাণিক ব্রাহ্মণ্য ধর্ম প্রবল হয়ে ওঠায় বাংলার বৌদ্ধধর্ম কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেন যুগে বিষ্ণু, শিব, পার্বতী প্রভৃতি দেব-দেবীর পূজা রীতিমত শুরু হয় এবং বহু মন্দির নির্মিত হয়। সেনযুগে শিবপূজার বিশেষ প্রচলন দেখা যায়। বিষ্ণু, শিব ও শক্তি ছাড়াও অনান্য পৌরাণিক দেব-দেবীর পূজাও বাংলায় প্রচলিত ছিল। অবশ্য এদের সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না।

☛ সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর পেতে: Click Here
আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here
সমস্ত বিষয়ের উত্তর পেতে: Click Here

Class-7 History Chapter-3 Question Answer

Class 7 History Important Questions and Answers

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নগুলির উত্তর

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের তৃতীয় অধ্যায়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির কয়েকটি ধারা প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment

CLOSE