Class-10 Bengali First-Unit-Test Question-2023

Class-10 Bengali First-Unit-Test Question

First Unit Test2023
দশম শ্রেণী
বিষয়: বাংলা
পূর্ণমান: 40 সময়: 90 মিনিট
কমবেশি ৬০ টি শব্দে উত্তর দাও (যেকোনো একটি): ৩×১=৩
‘কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল’- কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল এবং কেন? ‘মার্বেল হয়ে গেল’ কথাটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: তপনের ছোটোমাসির যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়, তিনি বই লেখেন এবং সেই বই ছাপানো হয়। মেসোর অনেক বই ছাপানো হয়েছে। তপনের মেসো একজন সত্যিকারের লেখক। জীবন্ত একজন লেখককে এত কাছ থেকে দেখা যায়, তপন এতদিন তা জানত না। মেসোমশাই একজন লেখক, একথা শুনেই তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল। ‘মার্বেল হয়ে গেল’ কথাটি অবাক হওয়া অর্থে ব্যবহার হয়েছে।

২. “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?” – কোন্ ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? কেন বলা হয়েছে?

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে যখন তপনের নতুন মেসো একসংখ্যা ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে এসেছিল, তখন তপনের এরকম মনে হয়েছিল।

তপন একজন প্রতিভাবান কিশোর লেখক। তপনের স্বপ্ন ছিল যে তার লেখা গল্প একদিন ছাপানো হবে। তবে, সেই স্বপ্ন যে এত সহজে পূরণ হওয়ার নয়, এটাও সে জানত। তার লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে, এটাই তপনের কাছে অলৌকিক ঘটনা বলে মনে হয়েছিল।

৩. “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”- উক্তিটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করো । কে, কখন একথা ভেবেছে?

উত্তর: ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন যে গল্পটি লিখেছিল, সেটি ছোটোমাসিকে পড়ে শোনায়। ছোটোমাসি সেই গল্পটি তার স্বামীকে পড়তে দেয়। তপনের মনে হয়েছে রত্নের প্রকৃত মূল্য যেমন জহুরি বুঝতে পারে, তেমনি তপনের গল্পটির প্রকৃত মূল্য কলেজের অধ্যাপক তথা লেখক মেসোমশাই বুঝতে পারবেন। তপনের গল্পটি ভালো না মন্দ একথা একমাত্র লেখক মেসোমশাই বলতে পারবেন। এ প্রসঙ্গেই উক্তিটি করা হয়েছে। তপন একথা ভেবেছিল যখন তার গল্পটি ছোটোমাসির হাতে পড়েছিল।

৪. “সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।” কোন্ কোন্ জিনিসের কথা বলা হয়েছে? এই পরিণতির কারণ কী?

উত্তর: পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যেসব জিনিস আগুনে নষ্ট হয়েছিল সেগুলি হল- কথকের মিষ্টি বাড়ি, বারান্দায় থাকা ঝুলন্ত বিছানা, চিমনি, জলতরঙ্গ এবং সেই গোলাপি গাছ যার পাতাগুলি ছিল ছড়ানো করতলের মত।
এই পরিণতির কারণ ছিল এক ভয়ানক যুদ্ধ যাকে কবি বলেছেন- “তারপর যুদ্ধ এল রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো”। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যেমন বহু জনপদ ধ্বংস হয়ে যায় তেমনই সেই ভয়াবহ যুদ্ধের ফলে শহরের করুণ পরিণতি হয়েছিল।

৫. আমরাও তবে এইভাবে/এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি?” – এমনটা মনে হচ্ছে কেন?

উত্তর: প্রশ্নোদ্ধৃতাংশ মন্তব্যটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় উল্লেখ করেছেন ।
চারপাশের অরাজকতা, ধর্ম কিংবা রাজনীতি —প্রতিটি ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণুতা, সাম্রাজ্যবাদের সীমাহীন লোভ পৃথিবী জুড়ে হত্যা আর ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে । বেঁচে থাকাটাই যেন এক বিস্ময় হয়ে উঠেছে । শিশুরা পর্যন্ত এই ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পাছে না । এই অবস্থায় প্রতিটি মানুষই যেন বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তায় ভুগছে । সর্বোপরি, এই পরিজনহীন অবস্থাতে বেঁচে থাকা যেন মৃত্যুর মতো যন্ত্রনাদায়ক । এ কারণেই কবি প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি করেছেন।

কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
১. “তপন আর পড়তে পারে না । বোবার মত বসে থাকে ।” -তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা কর।

উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর “জ্ঞান চক্ষু’ গল্পে তপন লেখক হতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তার ধারণা ছিল লেখকরা সাধারণ মানুষ নন, আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা । নতুন মেসোকে দেখে তপনের এই ধারণা দূর হয় । এবার তপন একটা গল্প লিখে ফেলে । মেসো প্রতিশ্রুতি দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তিনি সেটা ছাপিয়ে দেবেন । গল্প ছাপানো হলে ছাপানো গল্পটা পড়ে তপন হতবাক হয়র যায় । গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন ও আনকোরা । তার মধ্যে তপন নিজেকে একবারেই খুঁজে পায় না । তার মনে হয় গল্পটা তার নয় । নিজের লেখা গল্পের আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখ ও অপমানিত বোধ করে । নিজের প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে মেসোমশাই তার পুরোটাই কারেকশন করে দিয়েছেন , তখন সে আর পড়তে পারে না।

২. “যেখানে ছিল শহর/ সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা।”- ‘অসুখী একজন’ কবিতা অবলম্বনে শহরের এই পরিণতি কীভাবে হল লেখাে।
অথবা, ” তারপর যুদ্ধ এলো”- যুদ্ধ আসার আগের প্রেক্ষাপট এবং যুদ্ধের পরবর্তী অবস্থা কবিতা অনুসারে লেখো।

উত্তর: পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি অসাধারণ কবিতা। যুদ্ধকে বলা হয় মানবতার শত্রু। আলোচ্য কবিতাতে সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। যুদ্ধের নির্মম আঘাতে একটি প্রাণবন্ত শহর কীভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, কবি সেই কথাই তুলে ধরেছেন।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে শহরের অবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। এক জায়গায় উল্লেখ আছে- “একটা কুকুর চলে গেল, হেঁটে গেল গির্জার এক নান”। আরেক জায়গায় বলা হয়েছে- “ঘাস জন্মাল রাস্তায়”। এইসব দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে শহরে শান্তিপূর্ণ নীরবতা বজায় ছিল। কিন্তু যুদ্ধের পরে চেনা শহরের ছবিটা পাল্টে গিয়েছিল।
কবি যুদ্ধটাকে রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে যেমন মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, তেমনি যুদ্ধের ফলে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গেল, বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাল, এমনকি দেবতারাও টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ল মন্দির থেকে। আর, কথকের সেই মিষ্টি বাড়ি এবং তার প্রিয় জিনিসগুলি সব চূর্ণ হয়ে গেল। শহর জুড়ে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা এবং পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শহরের বুকে দগদগে ক্ষতের মতো ‘রক্তের একটা কালো দাগ’ এঁকে দিয়ে গেল।

৩. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার ভাববস্তু নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় অস্থির সময়ের রাহুগ্রাসে বিপন্ন প্রাণির টিকে থাকার কথা ব্যক্ত হয়েছে। আমাদের চলমান জীবনের সার্বিক সংকটের কথা বোঝাতে গিয়ে কবি লিখেছেন আমাদের ডান পাশে ধ্বস ,আমাদের বামে গিরিখাত আমাদের মাথায় বোমারু বিমান।
আলোচ্য কবিতায় প্রতিটি স্তবকে মানুষের অস্তিত্বের সংকট প্রকাশিত । রাজনৈতিক আদর্শহীনতা, সাম্রাজ্যবাদ, ধর্মান্ধতার মতো অসুখ সামাজিক অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে ।এই অস্থির সময়ে মানুষের বিপন্নতার ছবি তুলে ধরেছেন কবি শঙ্খ ঘোষ । অস্তিত্বের সংকটে বিপন্ন মানুষ। কবি বলেছেন-
“আমাদের পথ নেই কোনো
আমাদের ঘর গেছে উড়ে
আমাদের শিশুদের শব
ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে!”

এত হতাশার মাঝে বাঁচার একটাই পথ, তা হলো সংঘবদ্ধতা ।
এই ক্ষয়ে যাওয়া সমাজে সাধারণ মানুষের কোনো ইতিহাস নেই । যদিও- বা থেকে থাকে তবে তা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে পদানত হওয়ার ইতিহাস ।কিন্তু এতসব প্রতিকূল ও নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু মানুষ এখনও তাদের শুভবুদ্ধি বিবেকবোধ বিসর্জন দেননি । কবি তাঁদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন । তাঁরা যদি আরো সংঘবদ্ধভাবে থাকেন , তবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর কবিতার মাধ্যমে মানুষের কাছে এই বার্তায় পৌঁছে দিতে চেয়েছেন যে , প্রতিকূলতা ও অসহায়তা বঞ্চনা ও সংশয়ের মাঝেও সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে । কারণ একতা,সম্প্রীতি ও সম্মিলিত শক্তির কাছে উদ্ধত শক্তিকে নতজানু হতেই হয়- এটাই সভ্যতার ইতিহাস, এটাই বাস্তব।

৪. ‘শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন’ –কোনটি বক্তার দুঃখের মুহূর্ত এবং কেন? এই দুঃখবোধ থেকে বক্তা কী সংকল্প গ্রহণ করেছিল?


উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন ভাবত লেখকেরা অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন লেখক মেসোমশাইকে দেখে তার ওই ধারণা দূর হয় এবং সেও অনুপ্রাণিত হয়ে লিখে ফেলে একটা গল্প। তার লেখক মেসোমশাই একটু সংশোধন করে তার গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। বাড়ির লোকেরা তপনের লেখার প্রশংসা করেন। কিন্তু তপন যখন তার ছাপানো গল্পটি পড়া শেষ করে, সে উপলব্ধি করে তার লেখক মেসো সংশোধনের নামে পুরো গল্পটি সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের কাছে অপরিচিত এবং তার মধ্যে সে নিজেকে একেবারেই খুঁজে পায় না। অপমানিত, লজ্জিত তপন পত্রিকাটি রেখে ছাদে চলে যায়। চোখের জল মুছতে মুছতে সে উপলদ্ধি করে এটাই তার সবচেয়ে দুঃখের দিন।

এই দুঃখজনক ও অপমানকর অভিজ্ঞতা থেকে তপন শিক্ষালাভ করে যে সে কখনোই আর অন্যের কৃতিত্বের ভাগীদার হবে না। সে সংকল্প করে যদি সে কখনও তার লেখা ছাপাতে দেয় তাহলে সে নিজে পত্রিকার দপ্তরে গিয়ে দেবে। সেই কাঁচা লেখা বাতিল হলেও তপন দুঃখিত হবে না। কারণ তাকে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়তে হবে না।

৫. “এল ওরা লােহার হাতকড়ি নিয়ে, / নখ যাদের তীক্ষ্ম তােমার নেকড়ের চেয়ে,/ এল মানুষ-ধরার দল” –‘মানুষ-ধরার দল’ বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন? উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘মানুষ-ধরার দল’ বলতে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের বোঝানো হয়েছে।

গভীর অরণ্য বেষ্টিত হওয়ায় আফ্রিকা একসময় সভ্য জগতের কাছে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বিশ শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলি আফ্রিকার বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদের কথা জানতে পারে। এরপরেই আফ্রিকা সাম্রাজ্যবাদীদের কু’নজরে পড়েছিল।
বাইরের জগতের কাছে ইউরোপীয়রা সভ্য এবং শিক্ষিত বলেই পরিচিত। কিন্তু আফ্রিকায় এসেই তারা সভ্যতার মুখোশ খুলে ফেলল। তারা দেখিয়ে দিল যে তারা কতটা লোভী, কতটা বর্বর। আফ্রিকার অরণ্যে যে নেকড়ে থাকে তার থেকেও তীক্ষ্ণ নখবিশিষ্ট সাম্রাজ্যবাদীর দল ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আফ্রিকার উপর। দুহাত দিয়ে আফ্রিকার সম্পদ লুঠ করার পাশাপাশি তারা আফ্রিকার সহজসরল মানুষদেরকে অকথ্য অত্যাচার করতে লাগল। তাদের রক্তে এবং চোখের জলে আফ্রিকার মাটি কর্দমাক্ত হয়ে উঠল।
আফ্রিকায় আগত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে কবি বলেছেন “মানুষ ধরার দল”। সভ্যতার গর্বে অন্ধ হয়ে তারা ভুলে গেল সাধারণ মনুষ্যত্বের কথা। তারা ‘লোহার হাতকড়ি নিয়ে’ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের বন্দি বানিয়ে ক্রীতদাস হিসেবে ইউরোপে চালান করতে লাগল। এইভাবে সাম্রাজ্যবাদীরা আফ্রিকা এবং তার সন্তানদের উপর অত্যাচার করে আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত করেছিল।

৬. “চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তােমার অপমানিত ইতিহাসে।”— ‘তােমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার অপমানিত ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘তোমার’ বলতে আফ্রিকার কথা বলা হয়েছে।

সমুদ্রবেষ্টিত, অরণ্যঘেরা আফ্রিকা মহাদেশ বহুদিন বিশ্বের কাছে অপরিচিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত ছিল। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি সেই সম্পদের খোঁজ পেয়েই আফ্রিকার উপর আধিপত্যের থাবা বসায়। উপনিবেশ স্থাপনের লােভে পাশ্চাত্যের তথাকথিত সভ্য দেশগুলি আফ্রিকার মানুষের পায়ে লােহার শিকল পরিয়ে দেয়। আফ্রিকার প্রাচীন জাতি পরিণত হয় তথাকথিত সভ্য দেশগুলির দাসে। আফ্রিকার মুক্তবাজারে শুরু হয় দাস কেনা-বেচা। পাশ্চাত্য সভ্যতার গর্ব তাদের যেন আফ্রিকার ঘন গভীর অরণ্যের অন্ধকারের মতােই অন্ধ করে রেখেছিল। তাই তাদের নৃশংসতা তারা উপলব্ধি করতে পারছিল না। আফ্রিকাবাসীর উপর তাদের পাশবিক অত্যাচার যেন নেকড়ের চেয়েও হিংস্র হয়ে উঠেছিল। তাদের কাটা-লাগানাে জুতাের পদাঘাতে পিষ্ট হয়ে গিয়েছিল আফ্রিকার আদিম মানবগােষ্ঠী। তাই আফ্রিকার মানুষের রক্ত আর বেদনার অশ্রুতে পঙ্কিল হয়ে গিয়েছিল আফ্রিকার নিস্পাপ বনভূমি। সেই আঘাতের চিহ্ন মানবতাকে কালিমালিপ্ত করে আফ্রিকার ইতিহাসে অপমানের গ্লানি রেখে যায়।

কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
১. ফাউন্টেন পেন বাংলায় কি নামে পরিচিত? নামটি কার দেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে? ফাউন্টেন পেন এর জন্ম ইতিহাস লেখো।

উত্তর: ফাউন্টেন পেন বাংলায় ঝরনা কলম নামে পরিচিত ছিল।
‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ঝরনা কলম নামটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বলে উল্লেখ করেছেন।
ফাউন্টেন পেনের জনক হলেন লুইশ অ্যাডসন ওয়াটারম্যান। তিনি কর্মসুত্রে ছিলেন একজন ব্যবসায়ি, অন্যান্য ব্যবসায়ির মতো তিনিও ব্যবসার চুক্তির জন্য দোয়াত কলম ব্যবহার করতেন। কোনও একসময়ে চুক্তিপত্র সই করার সময়ে কালির দোয়াত পড়ে যায় এবং ওয়াটারম্যান সাহেবকে বাধ্য হয়ে নতুন কালির সন্ধানে যেতে হয়। কিন্তু তিনি আবার ফিরে এলে শোনেন যে ঐ চুক্তি অন্য কোনও ব্যবসায়ীর সাথে সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই জন্য তিনি একটি নতুন ধরণের কলম (যাতে কালি ভরে রাখা যায়) আবিষ্কার করেন। এইভাবে ফাউন্টেন পেন জন্ম নেয়।

২. “আশ্চর্য, সবই আজ অবলুপ্তির পথে।”- কোন্ জিনিস আজ অবলুপ্তির পথে? এই অবলুপ্তির কারণ কী? এ বিষয়ে লেখকের মতামত কী?

উত্তর: প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ তাঁর ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে কলম এবং লেখালেখির অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিস যেমন, নিব, কালি, দোয়াত ইত্যাদির অবলুপ্তির কথা বলেছেন।
লেখনী-যন্ত্র হিসেবে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহারই এই অবলুপ্তির কারণ।
কলমের মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়াতে লেখক বিপন্ন বোধ করেছেন। আসলে, তিনি সেই প্রজন্মের মানুষ যখন লেখার সরঞ্জামাদি ঘরেই প্রস্তুত করা হত। বাঁশের কঞ্চির কলম এবং বাড়িতে তৈরি করা কালি নিয়েই তাঁর শৈশব কেটেছে। পরে ফাউন্টেন পেন এবং বল পেনের ব্যবহারও তিনি করেছেন। তবে, ব্যক্তিগতভাবে তিনি ছিলেন ‘কালি-খেকো’ কলমের ভক্ত। যাইহোক, কর্মসূত্রেও কলমের সঙ্গে লেখকের বিশেষ যোগ ছিল কারণ তিনি যেখানে কাজ করতেন সেটা ছিল লেখালেখির অফিস। সেই অফিসেও এখন স্বমহিমায় জায়গা করে নিয়েছে কম্পিউটার। লেখক সেই অফিসে বসে যা লেখেন সেসব লেখাও তার সহকর্মীরা সাদরে টাইপ করে দেন। আর এইভাবে কলমের গুরুত্ব কমে যাওয়াতে লেখক মর্মাহত হয়েছেন। মানুষের হাত থেকে যদি কলম ছিনিয়ে নেওয়া হয়, মানুষের হাতের লেখা যদি চিরকালের মতো মুছে দেওয়া হয়, তাহলে তো দুঃখ লাগারই কথা।

কমবেশি ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
১. কোনি উপন্যাসে বারুণীর দিন গঙ্গার ঘাটের যে দৃশ্য ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।

উত্তর: মতি নন্দীর রচিত কোনি উপন্যাসের শুরু হয়েছে গঙ্গার ঘাটের একটি অসাধারণ দৃশ্য দিয়ে। কোনি উপন্যাসের শুরু হয় বিষ্টু ধর, ক্ষিতীশ সিংহ, মালিশ ওয়ালা এবং আরও কয়েকজনের হাত ধরে। বারুণীর দিন প্রত্যেকেরই তারা সেখানে নিজেদের কাজকর্মের জন্য গিয়েছিলেন। এবং এই তিনজন ছাড়াও আরও নানা চরিত্রের মধ্য দিয়ে আমরা কোনি উপন্যাসে বর্ণিত দিন গঙ্গার ঘাটে বারুণীর যে দৃশ্য ফুটে উঠেছিল তা দেখতে পাই। যেমন –

বারণী হলো হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব যেই ধর্মীয় উৎসবে হিন্দুরা বিশেষ করে বাঙালিরা গঙ্গার ঘাটে পুজো দিতে আসেন এবং পূজা দেওয়া শেষ হলে তারা দেবতাদের উদ্দেশ্য করে কাঁচা আম নদীতে ভাসিয়ে দেন।

কোনি উপন্যাসে আমরা বারুণীর সেই বৈশিষ্ট্যটি খুব ভালো করে লক্ষ্য করতে পারি যে, গঙ্গার ঘাটে পুণ্যার্থীরা যখন জলে ডুব দিয়ে দেবতাদের উদ্দেশ্য করে আম উৎসর্গ করেন, তখন একদল ছেলে ছোকরা সেই আমগুলি কুড়িয়ানার জন্য গঙ্গায় সাতার দেয় এবং আম সংগ্রহ করে এনে তা কোনো এক জায়গায় জমা করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেই আম তারা কম দামে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে।

আম উৎসর্গ এবং আম সংগ্রহের পরবর্তীতে আমরা যে দৃশ্যটি দৃশ্যটি রয়েছে তাহল গঙ্গা স্নান করার পুণ্যার্থীদের বেশ কিছুটা জায়গা কাদা মাড়িয়ে ডাঙায় আসতে হয়। এবং স্নান করার পর আবারও পায়ে কাদা লাগানোর বিষয়টি মোটেও পুণ্যার্থীদের খুব ভালো লাগে না। তাই তাদের মুখে দেখা যায় একরাশ বিরক্তি।

অনেকে আবার ঘাটের মাথায় বা ট্রেম লাইনের দিকে মুখ করে বসে থাকা বামুনের দিকে যায় কারণ তাদের কাছে রয়েছে সামান্য কিছু পয়সার বিনিময়ে জামাকাপড় রাখা, গায়ে মাখার তেল, কপালে চন্দনের ছাপ দেওয়া ইত্যাদির ব্যবস্থা।

সবশেষে আমরা দেখতে পাই পুণ্যার্থীরা রাস্তার ধারে দেবদেবীর মাথায় জল ঢালতে ঢালতে বাড়ি ফিরে যান এবং গঙ্গার ঘাট থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পথে তারা বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে আনেন। এবং সবশেষে তারা দ্রুত গতিতে বাড়ির দিকে রওনা হন।

কোনি উপন্যাসে মূলত আমরা হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব, বারুনিতে যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটে থাকে অথবা বারুণীর দিন যে সমস্ত ঘটনা গুলি ঘটতে দেখা যায়, সেই ঘটনাগুলির প্রায় সমস্ত ঘটনাই আমরা কোনি উপন্যাসের মধ্যে দেখতে পাই।

২. ‘কোনি’ উপন্যাস অবলম্বন সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উওর: বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র হলেন ক্ষিদ্দা অর্থাৎ ক্ষিতীশ সিংহ। কোনি উপন্যাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ক্ষিতীশ সিংহ অর্থাৎ ক্ষিদ্দাকে বিভিন্ন ভাবে দেখতে পাই। এই কোনি উপন্যাসের ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্রের নানা দিকে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। কোনি উপন্যাসে আমরা ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে জানতে পারি,,তা হল –

প্রকৃতশিক্ষক:
ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন একজন জাতশিক্ষক। তাই তিনি যেকোনো প্রকারে বা মূল্যে শুধুমাত্র কোনিকে স্বপ্ন পূরণের রাস্তায় তুলে দিয়েছিলেন তা নয়, কোনির আগে জুপিটার ক্লাবের প্রশিক্ষক পদে থাকার সময়ও তিনি নিজের ছাত্রদের সফলতার শিখরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতেন।

প্রতিভা চেনার ক্ষমতা:
ক্ষিদ্দার সবচাইতে বড় গুনো হলো, তারমধ্যে প্রতিভা চিনে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল যথেষ্ট পরিমান। এবং ক্ষিদ্দার মধ্যে প্রতিভা চিনে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল বলেই গঙ্গার ঘাটে পাওয়া মেয়েটির সুপ্ত প্রতিভাকে দেখতে পান ও তা বিকশিত করার চেষ্টা করেন।

স্নেহশীল:
ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন স্নেহশীল শিক্ষক। ক্ষিতীশ সিংহের নিজের কোন মেয়ে বা সন্তান না থাকায়, তিনি যখন কোনকে নিজের ছাত্রী হিসেবে পেয়েছিলেন,তখন তিনি কোনিকে নিজের ছাত্রী এবং মেয়ে দুই হিসাবেই দেখতেন। তাই তিনি কোনিকে মেয়ের মতো দেখতেন ও ভালোবাসতেন।

দায়িত্ববোধ:
একজন প্রকৃত শিক্ষক হিসেবে, ক্ষিদ্দার মধ্যে সেই পরিমাণ দ্বায়ীত্ববোধটুকু ছিল, যার একজন শিক্ষকের মধ্যে থাকা দরকার। কোনির শিক্ষক হওয়ায় তিনি কোনিকে নিজ খরচে, নিজ দায়িত্বে খাওয়াতেন, রাখতেন। এছাড়াও, তিনি যখন কোনির বাড়ির আর্থিক দুরবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে,তখন তিনি কোনির পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্যে করার জন্য, লীলাবতীর দোকানে কোনির কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন।

গরিব দরদি:
ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন একজন গরিব ও দরদি ব্যক্তি। তিনি গরীব মানুষের কাছে যেচে সাহায্যের হাত বাড়াতে দ্বিধা করতেন না। তাই ক্ষিতীশ সিংহের সেইরকম সামর্থ্য না থাকলেও, তিনি কোনিত পরিবারকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন।

সততা:
ক্ষিতীশ ছিলেন সৎ। তিনি জুপিটার থেকে বেরিয়ে আসার পরও জুপিটারের প্রতি তার ভালবাসা একটুকু কমাননি। তিনি তার জীবনে এই সততা বজায় রেখেছিলেন।

তীক্ষ্ণ বুদ্ধি:
ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী। তিনি কোনির মানসিক অবস্থা দেখে তাকে খাটানোর জন্য টোস্ট, রুটি ও কলার লোভ দেখান।

এছাড়াও, কোনি উপন্যাসে ক্ষিতীশ চরিত্র ছিল কোনি চরিত্রের পরিপূরক। কোনি সারাজীবন একজন শিক্ষক ও ক্ষিতীশ একজন ছাত্র বা ছাত্রীর খোঁজে জীবন অতিবাহিত করেছেন।
এইভাবে সমগ্র উপন্যাস জুড়ে আশা, নিরাশার দোলাচলে দুলতে দুলতে কল্পনা বাস্তবের সম্মুখ সফরে পড়ে জীবনের বিচিত্র স্বাদ লাভ করে উক্ত চরিত্রটি।

চলিত গদ্যে অনুবাদ করো:
১. Honesty is a great virtue. If you do not deceive others, if you do not tell a lie; if you are strictly just and fair in your dealings with others, you are an honest man.

উত্তর: সততা একটি মহান গুণ। আপনি যদি অন্যদের প্রতারিত না করেন, মিথ্যা কথা না বলেন; অন্যদের সাথে আপনার আচরণে কঠোরভাবে ন্যায়পরায়ণ হন তবে আপনি একজন সৎ মানুষ।

২. Student life is the stage of preparation for future. This is the most important period of life. A student is young today. But he will be man tomorrow. He has different duties. He should perform them well.

উত্তর: ছাত্রজীবন হল ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির পর্যায়। এটি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। একজন ছাত্র আজ তরুণ। কিন্তু আগামীকাল সে মানুষ হবে। তার বিভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে। তার উচিত সেগুলো ভালোভাবে পালন করা।

👉 সমস্ত বিষয়ের ইউনিট টেস্টের প্রশ্নপত্র : Click Here
👉 আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here

Class-10 Bengali First-Unit-Test Question-2023

Class 10 First Unit Test Bengali Question Paper Class 10 First Unit Test Bengali Suggestion Class 10 Second Unit Test Bengali Question Paper Class-10 Bengali First-Unit-Test Suggestion

WBBSE Class 10 Model Question Paper Unit Test Question Paper Life Science Class X Bengali First Unit Test Question Paper pdf Download Madhyamik Bengali Suggestion Class-10 Bengali First Unit Test Suggestion Class-10 Bengali First-Unit-Test Question-2023

Official Website: Click Here

দশম শ্রেণীর প্রথম ইউনিট টেস্টের বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র

Class-10 Bengali First-Unit-Test Question-2023 Class-10 Bengali First-Unit-Test Question-2023

মাধ্যমিক প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বাংলা সাজেশন

দশম শ্রেণী প্রথম পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৩ বাংলা সাজেশন

5 thoughts on “Class-10 Bengali First-Unit-Test Question-2023”

Leave a Comment