শিক্ষক দিবস রচনা
শিক্ষক দিবস
আমাদের দেশে নানা রকম দিবস পালন করা হয় যেমন শিশু দিবস, পরিবেশ দিবস, নারী দিবস, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস ইত্যাদি। এগুলির মত শিক্ষক দিবস ও একটি স্মরণীয় দিন।
শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির সর্বাঙ্গীণ উন্নতি সম্ভব নয়। সেই শিক্ষার ভার যাদের হাতে তারা সকলের শ্রদ্ধেয়। শিক্ষকগণ দেশ ও জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষক কুল মানুষ গড়ার কারিগর। অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করে তারাই শিক্ষার্থীদের নিয়ে যান জ্ঞান লোকের পরম তীর্থে। শুধু পুথিগত শিক্ষায় দেন না, তাদের মধ্যে জাগিয়ে তোলেন নীতিবোধ, মার্জিত করে তোলেন তাদের রুচি, তাদের সামনে তুলে ধরেন পরিপূর্ণ আদর্শ।
শিক্ষকদের এই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমাদের দেশের একজন বিখ্যাত দার্শনিক ও মহান শিক্ষক ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে প্রত্যেক বছর ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই আদর্শ শিক্ষক জন্মগ্রহণ করেছিলেন তামিলনাড়ুর তিরুতানিতে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন তার লেখা প্রথম গ্রন্থ “THE PHOLOSOPHY OF RABINDRANATH TAGORE”
তিনি বলেছিলেন –
“দেশের সব থেকে সেরা মস্তিষ্কের অধিকারী হলেন একজন শিক্ষক। শিক্ষকরাই তৈরি করেন আগামী ভবিষ্যৎ, এক উন্নত দেশ।”
শিক্ষকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এই দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষকদের সম্মানিত করা হয় এবং সরকারি উদ্যোগে নানা পুরস্কার দেওয়া হয়।
শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে আমাদের অন্যতম প্রারম্ভিক শিক্ষক তথা গুরু হিসাবে বাবা ও মা কে আমাদের সম্মান শ্রদ্ধা জানানো উচিত। তাদের স্নেহে, প্রশ্রয়ে, শিক্ষায়, সহমর্মিতায়, ভালোবাসায় আমারাএকটু একটু করে হাটতে শিখেছি। শিখেছি আমাদের পছন্দ, অপছন্দ, বিশ্বাস, গুরুজনদের সম্মান জানানো, রক্ষণশীলতাকে টিকিয়ে রাখা পারিবারিক রীতিনীতি ইত্যাদি। তবে আজ আর কেবল শিক্ষক দিবস উদযাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। এখন আমাদের দেশে অনেক মানুষ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তাই শিক্ষক দিবসকে স্বাভাবিক শিক্ষা প্রসারের সংকল্প দিবস হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুন: