আমাদের বিদ্যালয় রচনা
আমাদের বিদ্যালয়
ভূমিকা:
শিক্ষা আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। শিক্ষাই আমাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে। আর শিক্ষা অর্জনের অন্যতম প্রধান ধাপ হল একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। আমরা বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করি। বিদ্যা শিক্ষার কেন্দ্র হল বিদ্যার আলয় অর্থাৎ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করে আমরা শিক্ষিত হই এবং জীবনে উন্নতি করি।
আমাদের বিদ্যালয়ের বর্ণনা:
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম ৩২ নং নিষাদবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমাদের গ্রামের এক প্রান্তে সবুজে ঘেরা পরিবেশে আমাদের বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টি পাকা, দুইতলা। প্রায় ১০ টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। দক্ষিণ দিকে খেলার মাঠ। সামনে ফুলবাগান। বিদ্যালয়টির চারপাশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বিদ্যালয়টির উত্তর দিকে সরকারি পাকা চওড়া রাস্তা। তার পাশে কৃষিক্ষেত। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়টির প্রকৃতি অপরূপ।
পঠন পাঠন:
আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষার ব্যবস্থা বেশ সুন্দর। এখানে চারজন শিক্ষক এবং তিনজন শিক্ষিকা আছেন। তারা যত্ন সহকারে আমাদের শিক্ষা দেন। বেলা ১১ টায় আমাদের পঠন-পাঠন শুরু হয় এবং ৪.৩০ টায় ছুটি হয়। মাঝে ৪৫ মিনিট টিফিন থাকে।
উপসংহার:
টিফিনে আমরা সকলে মিলে মিশে খাওয়া শেষ করি এবং বাড়তি সময় খেলাধুলা করি। শিক্ষক-শিক্ষিকা গণ যেমন আমাদের ভালোবাসেন তেমনি আমরাও শিক্ষক-শিক্ষিকা গনকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা করি।
আরও পড়ুন:
👉 সমস্ত রচনা দেখতে: Click Here
মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন: Click Here
Subscribe Our YouTube Channel: Click Here
আমাদের বিদ্যালয় রচনা
আমাদের বিদ্যালয় রচনা- ২
আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দির। এটি আমার খুব প্রিয় বিদ্যালয়, কারণ প্রতিদিন আমি এখানে পড়াশোনা করতে যাই। বিদ্যালয়ে আমি বন্ধুদের ভালোবাসা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্নেহ পাই। আমাদের বিদ্যালয়টি ঝাউগাছ দিয়ে ঘেরা, এবং একটি সুন্দর বাগান রয়েছে। বাগানের চারাগাছগুলোকে আমি টিফিনের সময় জল দিই। বিদ্যালয়ের চারপাশে একটি উঁচু প্রাচীর রয়েছে, আর প্রাচীরের পাশে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। বসন্তকালে কৃষ্ণচূড়া গাছে সুন্দর ফুল ফোটে, যা আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশকে আরও সুন্দর করে তোলে।
শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাদের পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি সহায়ক পাঠদানও করেন। বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড়ো মাঠ রয়েছে, যেখানে খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর শীতকালে বিদ্যালয়ের মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়, যেখানে অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
আমাদের বিদ্যালয়ে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ এবং একটি অফিস রুম রয়েছে। মিড ডে মিলের জন্য একটি বড়ো হলঘর রয়েছে, যেখানে আমরা সবাই মিলে ভদ্রভাবে বসে খাবার খাই। খাওয়ার পর টিফিনে আমরা খেলাধুলা করি।
প্রতিবছর আমাদের বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা নাটক, কবিতা, এবং গান পরিবেশন করে। আমাদের বিদ্যালয় সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে একটি পবিত্র স্থান, যা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এখানে নতুন ছাত্র-ছাত্রীরা আসবে, আবার কিছু ছাত্র-ছাত্রীরা চলে যাবে, কিন্তু বিদ্যালয়ের স্মৃতি আমাদের চিরকাল থাকবে।