ওজন কমানোর উপায়

Categories: Uncategorized

ওজন কমানোর উপায়:

ওজন কমানো যতটা কঠিন মনে হয় ততটা কঠিন নয়। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি খুব সহজেই ওজন কমাতে পারেন। আপনাকে যা করতে হবে তা হল সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।

ওজন কমানোর পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি:

আপনার শরীরের ওজন বাড়া বা কমা নির্ভর করে আপনি কতটা পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করছেন এবং কতটা খরচ করছেন তার উপর।
সহজ ভাষায় বলা যায়, আপনি যদি যতটা ক্যালোরি করছেন তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ক্যালোরি খরচ করেন, তবে আপনার ওজন কমবে। যদি ক্যালোরি খরচ করার চেয়ে বেশি গ্রহণ করেন তবে আপনার ওজন বাড়বে।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ক্যালোরি কী?

ক্যালোরি হলো শক্তির পরিমাপ।
আমরা যখন কোনো খাবার খাই, তখন সেই খাবার আমাদের শরীরে হজম ও শোষণ হয় এবং শক্তির যোগান দেয়। খাবার থেকে পাওয়া এই শক্তির পরিমাপই হলো ক্যালোরি।

এখন প্রশ্ন হল, ক্যালরি গ্রহণ এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই কি ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট?
না! আপনি উচ্চ ক্যালোরি বিশিষ্ট কয়েকটি খাবার যেমন রসোগোল্লা, সিঙাড়া, পিজ্জা ইত্যাদি অল্প পরিমাণ খেয়ে সহজেই ১৫০০ ক্যালোরি পেয়ে যাবেন। কিন্তু নিয়মিত এই সমস্ত খাবার গ্রহণ করলে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
তাই ওজন কমানোর জন্য আমাদের সঠিক খাবার খাওয়া অর্থাৎ ডায়েট প্ল্যান মেনে চলা খুব জরুরি।

ওজন কমানোর জন্য শ্রেষ্ঠ ডায়েট প্ল্যান:

কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবার আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ক্যালোরি এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না।
তাই আমাদের ডায়েট প্ল্যান এমনভাবে তৈরী করতে হবে যাতে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ উপাদানসমূহ পেতে পারি এবং আমাদের ওজনও কমে।

ওজন কমানোর জন্য নিচের এই পাঁচটি খাবার গ্রহণ করতে হবে-

১. ফল ও শাকসবজি
২. ডালজাতীয় খাবার
৩. মাংস
৪. দুগ্ধজাত দ্রব্য
৫. ফ্যাট ও তেল

এই খাদ্যগুলি কখন এবং কতটা পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে সেটা অবশ্যই জানতে হবে।

Leave a Reply