Madhyamik Suggestion Bengali জ্ঞানচক্ষু
দশম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের “জ্ঞানচক্ষু” থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করা হলো। আশাকরি এই প্রশ্নগুলি তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সহায়ক হবে।
দশম শ্রেণী
বাংলা
জ্ঞানচক্ষু
আশাপূর্ণা দেবী
প্রশ্নমান: ৫
১. ‘শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন’ –কোনটি বক্তার দুঃখের মুহূর্ত এবং কেন? এই দুঃখবোধ থেকে বক্তা কী সংকল্প গ্রহণ করেছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন ভাবত লেখকেরা অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন লেখক মেসোমশাইকে দেখে তার ওই ধারণা দূর হয় এবং সেও অনুপ্রাণিত হয়ে লিখে ফেলে একটা গল্প। তার লেখক মেসোমশাই একটু সংশোধন করে তার গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। বাড়ির লোকেরা তপনের লেখার প্রশংসা করেন। কিন্তু তপন যখন তার ছাপানো গল্পটি পড়া শেষ করে, সে উপলব্ধি করে তার লেখক মেসো সংশোধনের নামে পুরো গল্পটি সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের কাছে অপরিচিত এবং তার মধ্যে সে নিজেকে একেবারেই খুঁজে পায় না। অপমানিত, লজ্জিত তপন পত্রিকাটি রেখে ছাদে চলে যায়। চোখের জল মুছতে মুছতে সে উপলদ্ধি করে এটাই তার সবচেয়ে দুঃখের দিন।
এই দুঃখজনক ও অপমানকর অভিজ্ঞতা থেকে তপন শিক্ষালাভ করে যে সে কখনোই আর অন্যের কৃতিত্বের ভাগীদার হবে না। সে সংকল্প করে যদি সে কখনও তার লেখা ছাপাতে দেয় তাহলে সে নিজে পত্রিকার দপ্তরে গিয়ে দেবে। সেই কাঁচা লেখা বাতিল হলেও তপন দুঃখিত হবে না। কারণ তাকে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়তে হবে না।
২. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন কীভাবে হয়েছে আলোচনা করো।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প একজন কিশোরের জ্ঞানচক্ষু অর্থাৎ অন্তর্দৃষ্টি জাগ্রত হওয়ার কাহিনী।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের এক কাল্পনিক ধারণা ছিল যে লেখকেরা ভিন গ্রহের মানুষ। এরপর ছোটো মাসির বিয়ে উপলক্ষে মামা বাড়িতে গিয়ে সে তার লেখক মেসোকে কাছ থেকে দেখে। তপন লক্ষ করে তার লেখক মেসোকে বাবা-কাকাদের মতোই স্নান করতে, দাঁড়ি কামাতে, ঘুমোতে, কাগজের বিষয় নিয়ে তর্ক করতে। তখন তপন বোঝে লেখকেরাও সাধারণ মানুষের মতোই। এইভাবে তার জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটে। যদিও তার জ্ঞানচক্ষুর প্রকৃত উন্মেষ ঘটে অনেক পরে।
‘লেখকেরাও সাধারণ মানুষ’ এই উপলব্ধির পর তপন লিখে ফেলে একটি গল্প। তার লেখক মেসো গল্পটি ‘কারেকশন’ করে তার পরিচিত সম্পাদককে দিয়ে ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন। বাড়ির লোকেরা তপনের প্রশংসা করলেও গল্প ছাপাতে সাহায্য করায় আসল কৃতিত্বের অধিকারী হন লেখক মেসোমশাই। এরপর ছাপানো লেখাটি পড়তে গিয়ে হতভম্ব হয় তপন। গল্পের নাম আর লেখকের নাম ছাড়া তার নিজের গল্পের সবটাই পরিবর্তিত। লেখক মেসো ‘কারেকশন’ এর নামে পুরো গল্পটাই পাল্টে ফেলেছেন। এই অভিজ্ঞতা থেকেই সে শিক্ষালাভ করে যে সে কখনই আর অন্যের কৃতিত্বের ভাগীদার হবে না। সে সংকল্প করে গল্প ছাপাতে দিলে সে নিজেই যাবে, অন্য কারও সহানুভূতি বা সাহায্যের অপেক্ষা করবে না। এভাবেই তপনের জ্ঞানচক্ষুর প্রকৃত উন্মীলন ঘটে।
৩. “তপন আর পড়তে পারে না। বােবার মতাে বসে থাকে।”- তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করাে।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র, তপন যখন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত নিজের লেখা গল্প পড়ছিল তখন তার ওইরকম অবস্থা হয়েছিল।
তপন ভাবত লেখকেরা অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু যখন ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষে মামাবাড়িতে এসে তপন জানতে পেরেছিল তার নতুন মেসো একজন লেখক তখন তাকে দেখেই জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল তপনের। সে ভাবে, নতুন মেসো যদি একজন লেখক হন তবে তপনের বা লেখক হতে বাধা নেই। এরপর সে হোমটাস্কের খাতায় একখানা গল্প লিখে ফেলে। সেই গল্প ছোটোমাসির হাত ধরে নতুন মেসোর কাছে পৌঁছায়। গল্প পড়ে লেখক মেসো তপনের অনেক প্রশংসা করেন এবং সেই গল্পটি কোনো পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তার লেখা গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে হাতে ঘুরবে- এই স্বপ্ন নিয়ে তপন অধীর আগ্রহে দিন গুনতে থাকে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর একদিন নতুন মেসো একসংখ্যা সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন। তপন বুঝতে পারে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
কিন্তু ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে তপন বুঝতে পারে সেই গল্পে তার হাতের ছোঁয়া নেই। নতুন মেসো সেই গল্পটা আগাগোড়া কারেকশন করে নতুন রূপ দিয়েছেন, যে গল্পের প্রতিটা লাইন তার কাছে অপরিচিত। এইজন্য তপন আর পড়তে পারে না, বােবার মতাে বসে ছিল।
☛ মাধ্যমিক বাংলা সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর: Click Here
You may also like: কীভাবে ‘Student Credit Card’ এর জন্য আবেদন করতে হবে।
Class 10 Bengali Important Question Answer Suggestion
Official Website: Click Here
Class 10 Bengali Suggestion
Class 10 Bengali Model Activity Task Part-9 January, 2022
Madhyamik Bengali suggestion 2023. Madhyamik 2021 Bengali Gyanchokhu
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বাংলা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
দশম শ্রেণীর জ্ঞানচক্ষু থেকে কিছু প্রশ্ন-উত্তর।