গাছ আমাদের বন্ধু রচনা

Categories: Uncategorized

Amazon থেকে কিনুন খুব কম দামে Smart Watch!

Smart Watch
Buy Now

প্রবন্ধ রচনা: গাছ আমাদের বন্ধু

গাছ আমাদের বন্ধু

ভূমিকা:

পৃথিবীর বুকে প্রথম প্রাণের অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বৃক্ষ। ভূমি গর্ভের অন্ধকার বিদীর্ণ করে গাছই প্রথম প্রণাম জানিয়েছিল প্রভাত সূর্যকে। পৃথিবীর বন্ধ্যাদশা ঘুচিয়ে ধীরে ধীরে তার বক্ষকে সবুজায়িত করেছে বৃক্ষ। রবীন্দ্রনাথ বৃক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “মৃত্তিকার বীর সন্তান”। সৃষ্টির আদিলগ্নে যে উৎসব বনে বনে সকালে-সন্ধ্যায়, গ্রীষ্মে-বর্ষায়, শীতে-বসন্তে উদ্যাপিত হত, তাতে মানুষের তেমন ভূমিকা ছিল না। মানুষকে অন্যান্য বিভিন্ন জীবের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয়। যে জীব এর ওপর মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুইভাবেই সবথেকে বেশি নির্ভরশীল, তা হল উদ্ভিদ / গাছ।

👉 সমস্ত রচনা দেখতে: Click Here
মানব জীবনে গাছের ভূমিকা:

(i) মানুষ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না, শুধুমাত্র মানুষই নয় – পৃথিবীর কোন প্রাণীই নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। গাছ বা উদ্ভিদ হল একমাত্র জীব, যা নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে। উদ্ভিদ তার দেহের (মূলত পাতায়) ক্লোরোফিলযুক্ত সবুজ অংশে জল, খনিজ পদার্থ এবং সূর্যালোকের সহকারে খাদ্য তৈরি করে। আর, অন্যান্য প্রাণীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। অতএব আমাদের সকল খাদ্য মূল উৎস হল উদ্ভিদ।

(ii) খাদ্য ছাড়াও আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে উপাদানটি তা হল অক্সিজেন। গাছ সূর্যালোকের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করার সময় বাতাসে অক্সিজেন গ্যাস ত্যাগ করে। জীবনধারণের জন্য এই অক্সিজেন প্রাণীরা শ্বাসকার্য চালানোর প্রশ্বাস এর সঙ্গে গ্রহণ করে। আবার, নিঃশ্বাসের সঙ্গে প্রাণীরা বাতাসে যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ করে, উদ্ভিদকুল তা খাদ্য তৈরীর সময় গ্রহণ করে এবং পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এভাবেই উদ্ভিদ আমাদের পরিবেশকে নির্মল এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

Amazon থেকে কিনুন সুন্দর প্লাস্টিক ফুল, আপনার ঘরকে সাজান এক নতুন রূপে!

Plastic Flowers
Buy Now

(iii) শুধু অক্সিজেনই নয়, গাছ প্রাণীদের আরো অজস্র উপায়ে সাহায্য করে। গাছ থেকে মানুষ কাঠ পায়, যা থেকে সে তৈরি করে আসবাবপত্র (যেমন – খাট, টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ আলমারি, দরজা, জানলা প্রভৃতি)। এছাড়াও, গাছের শুকনো ডাল মানুষ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে।
গাছ থেকে মানুষ পায় ফুল, ফল। গাছের বিভিন্ন অংশ (যেমন শিকড়, ডালপালা, পাতা) ইত্যাদি থেকে অনেক দুর্মূল্য-জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে গাছপালা জরিবুটি ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন জটিল এবং দুরারোগ্য ব্যাধি চিকিৎসা করার রীতি চলে আসছে।

(iv) গাছের শিকড় মাটিকে আটকে রাখতে সাহায্য করে। যেসব জায়গায় বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয় এবং তার ফলে মৃত্তিকা ক্ষয় হয়, সেখানে গাছ লাগালে মৃত্তিকা ক্ষয় অনেকটাই কম করা যায়। পুরনো দিনে গ্রীষ্মকালে পথিকজন গাছের তলায় বিশ্রাম নিতেন, গাছের তলায় আশ্রয় নিয়ে তারা গ্রীষ্মের প্রখর সূর্যকিরণের হাত থেকে রক্ষা পেতেন।

(v) গাছ আবহাওয়াকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত করে। খাদ্য তৈরীর সময় গাছ পরিবেশে যে জলীয়বাষ্প ত্যাগ করে, তা বৃষ্টি হতে সাহায্য করে। গাছ শব্দদূষণের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।

উপসংহার:

মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে গাছের তুলনা নেই। গাছপালা না থাকলে পরিবেশ হয়ে উঠত উষ্ণ। পৃথিবী হয়ে উঠত মরুভূমি। মানুষের অস্তিত্ব হতো বিপন্ন। তাই ইচ্ছেমতো গাছ কাটা ও বন উজাড় করা ঠিক নয়। সর্বত্র গাছ লাগানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’ এই স্লোগানের যথার্থতা অনুধাবন করে আমরা গাছ লাগাব এবং পরিবেশ রক্ষায় সহায়তা করব। খুব দরকারে গাছ কাটতে হলে শুধুমাত্র বড় গাছ কাটতে হবে। একটি বড় গাছ কাটলে তার পরিবর্তে ১০ টি চারা গাছ লাগাতে হবে।
মনে রাখতে হবে –
“একটি গাছ একটি প্রাণ”

Subscribe Our YouTube Channel: Click Here

Amazon থেকে কিনুন স্টাইলিশ স্কুল ব্যাগ, আপনার শিশুর প্রতিদিনের সঙ্গী!

Plastic Flowers
Buy Now