Class-7 Bengali Atmokotha Question-Answer সপ্তম শ্রেণী আত্মকথা প্রশ্ন উত্তর
সপ্তম শ্রেণী বাংলা ‘আত্মকথা‘ প্রশ্ন ও উত্তর
সপ্তম শ্রেণী
আত্মকথা
পাঠ্য পুস্তকের প্রশ্নগুলির উত্তর
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১.১ রামকিঙ্করের প্রথম শিল্পের স্কুল বাড়ির পাশে—(কামারপাড়া / কুমোরপাড়া / পটুয়াপাড়া।)
উত্তর: কুমোরপাড়া।
১.২ ‘পোর্ট্রেট’ শব্দটির অর্থ হল—(প্রতিকৃতি / আত্ম-প্রতিকৃতি / প্রকৃতির ছবি।)
উত্তর: প্রতিকৃতি।
১.৩ ‘অয়েল পেন্টিং’ বলতে বোঝায়—–(জলরঙে আঁকা ছবি / মোমরঙে আঁকা ছবি / তেলরঙে আঁকা ছবি।)
উত্তর: তেলরঙে আঁকা ছবি।
১.৪ রামকিঙ্করের ছবি বা মূর্তির অধিকাংশ ক্যারেকটারই খুব – (অসাধারণ / সাধারণ/ নগণ্য।)
উত্তর: সাধারণ।
২. একই অর্থ-যুক্ত শব্দ রচনাংশ থেকে বেছে নিয়ে লেখো :
উত্তর:
বিনা ব্যয়ে – বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমার অঙ্কন-গুণটির জন্য স্কুলে আমি অবৈতনিক ছাত্র হিসেবে পড়াশুনার সুযোগ পেয়ে এসেছি।
অভ্যুত্থান – অয়েল পেন্টিং তখন শান্তিনিকেতনে কেউ করতেন না, আমিই প্রথম শুরু করি।
দরকার –রঙের প্রয়োজনও ছিল।
নিপুণ – এত বড়ো পেইন্টার, এত নিখুঁত স্ট্রোক।
সম্মানীয় – শিল্পী হিসেবে যেমন মর্যাদাবান, শিক্ষক হিসেবেও তেমনি।
৩. বিশেষ্য থেকে বিশেষণে এবং বিশেষণ থেকে বিশেষ্যে বদলাও :
উত্তর:
সার্থক (বিণ.) > সার্থকতা (বি.),
সুন্দর (বিণ.) > সৌন্দর্য (বি.),
মূর্তি (নি) > মূর্ত (বিণ),
চরিত্র (বি.) > চারিত্রিক (বিণ.),
উদ্ধৃতি (বি.) > উদ্ধৃত (বিণ.)।
৪. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
৪.১ কী কী দিয়ে শিল্পী রামকিঙ্কর রঙের প্রয়োজন মেটাতেন?
উত্তর: গাছের পাতার রস, বাটনা-বাটা শিলের হলুদ, মেয়েদের পায়ের আলতা ও মুড়ি-ভাজা খোলার চাঁছা ভুসোকালি দিয়ে শিল্পী রামকিঙ্কর রঙের প্রয়োজন মেটাতেন।
৪.২ কার সৌজন্যে রামকিঙ্করের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের যোগাযোগ হয়?
উত্তর: ‘প্রবাসী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে রামকিঙ্করের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের যোগাযোগ হয়।
৪.৩ শান্তিনিকেতনের আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে কেমন মনোভাব দেখাতেন?
উত্তর: শান্তিনিকেতনের কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসু কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে সবসময় আগ্রহী ছিলেন।
৪.৪ নন্দলাল বসুর কাজের কোন্ দিকটা শিল্পী রামকিঙ্করকে বেশি প্রভাবিত করেছিল?
উত্তর: নন্দলাল বসুর কাজের সাদামাটা সুরটাই শিল্পী রামকিঙ্করকে বেশি প্রভাবিত করেছিল।
৫. নিম্নলিখিত ব্যক্তি ও বিষয়গুলি নিয়ে দু-একটি বাক্য লেখো: নন্-কোঅপারেশন মুভমেন্ট, অয়েল পেন্টিং, আচার্য নন্দলাল বসু, ল্যান্ডস্কেপ।
উত্তর:
নন্-কোঅপারেশন মুভমেন্ট:
ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে নন্-কোঅপারেশন মুভমেন্ট বা অসহযোগ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে এই আন্দোলনের ডাক দেন।
অয়েলপেন্টিং:
অয়েলপেন্টিং-এর বাংলা প্রতিশব্দ হল তৈলচিত্র। রং ও তেল ব্যবহার করে এই ছবি আঁকা হয়। আচার্য নন্দলাল বসু: আচার্য নন্দলাল বসু হলেন ভারতবর্ষের বিখ্যাত এক ভাস্কর ও শিল্পী। তিনি শান্তিনিকেতনের কলাভবনের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁকে ওরিয়েন্টাল আর্টের পথপ্রদর্শক বলা হয়।
ল্যান্ডস্কেপ:
ল্যান্ডস্কেপ (Landscape) কথাটির অর্থ প্রাকৃতিক দৃশ্য। প্রকৃতির বিচিত্র রূপ শিল্পীর কল্পনায় ও নিপুণ তুলির টানে ক্যানভাসের ওপর যে দৃশ্যপট তৈরি করে, তাকেই সাধারণভাবে ল্যান্ডস্কেপ বলা হয়।
৬. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো।
৬.১ “ভিসুয়াল আর্টে আমার প্রথম বর্ণপরিচয়।”— শিল্পী রামকিঙ্করের ছবির সঙ্গে প্রথম বর্ণপরিচয় হয়েছিল কীভাবে?
উত্তর: নিজের আত্মকথায় শিল্পী রামকিঙ্কর জানান, শিশুকাল থেকেই তাঁর চোখে পড়ত তাঁদের বাড়িঘরের চারদিকের দেয়ালে টাঙানো নানান দেবদেবীর ছবি। তখন থেকেই ছবির প্রতি তাঁর আকর্ষণ। শৈশবে দেখা সেইসব ছবি তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ‘কপি’ করতেন। এইভাবেই ‘ভিসুয়াল আর্ট’ বা চিত্রকলার সঙ্গে রামকিঙ্করের প্রথম ‘বর্ণপরিচয়’।
৬.২ “জেনারেল লাইব্রেরির উপরতলায় কলাভবনে নিয়ে গেলেন”—কে কাকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তারপর কী ঘটেছিল?
উত্তর: ‘প্রবাসী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের জেনারেল লাইব্রেরির উপরতলায় কলাভবনে রামকিঙ্কর বেইজকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
তারপর রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় কলাভবনের আচার্য নন্দলাল বসুর সঙ্গে রামকিঙ্করের পরিচয় করিয়ে দেন। ।
৬.৩ যতদূর মনে হচ্ছে—গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ।” কার উক্তি? ‘গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ’ কীসের নাম? তিনি কীভাবে এ ধরনের কাজ শিখলেন?
উত্তর: আলোচ্য উক্তিটি শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের।
‘গার্ল অ্যান্ড দ্য ডগ’ হল রামকিঙ্কর বেইজের একটি বিখ্যাত অয়েলপেন্টিং বা তৈলচিত্রের নাম।
অয়েলপেন্টিং-এর কাজ শান্তিনিকেতনে রামকিঙ্করই প্রথম শুরু করেন। এই বিদ্যা বা ছবি আঁকার কৌশল তাঁকে হাতে ধরে কেউ শেখাননি। সম্পূর্ণ নিজে নিজেই এই কলা তিনি রপ্ত করেছিলেন। অয়েলপেন্টিং বা তেল রং কেনার জন্য তিনি যখন দোকানে যান তখন দোকানদার তাঁকে শুধু জানান, টিউবের রং ও পাত্রের তেলে তুলি ডুবিয়েই রং করতে হয়। এইভাবেই তিনি অয়েলপেন্টিং-এর কাজ শিখেছিলেন।
৬.৪ “এই সাদামাটা সুরটাই আমাকে ভীষণভাবে টানে।”—কাকে টানে? ‘সাদামাটা সুর’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন? তাঁকে এই সুর টানে কেন?
উত্তর:
আচার্য নন্দলালবসুর আঁকার ‘সাদামাটা সুরটাই’ লেখক রামকিঙ্কর বেইজকে টানে।
নন্দলাল বসু একেবারে সাধারণ চরিত্র, পরিচিত প্রকৃতি, গ্রামের পরিপূর্ণ রূপ দিয়ে অসাধারণ ছবি সৃষ্টি করতেন। আচার্য নন্দলালের ছবির এই বৈশিষ্ট্যটি রামকিঙ্করকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছিল। একেই রামকিঙ্কর ‘সাদামাটা সুর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
রামকিঙ্কর বলেছেন, নন্দলালের আঁকা ছবিগুলির ভেতর যে সাদামাটা সুর রয়েছে, সেই সুরটিই তাঁকে টানত। এর কারণ তাঁর সমস্ত ছবির প্রেক্ষাপটেই থাকত সাধারণ চরিত্র আর একেবারে ‘কমন ল্যান্ডস্কেপ’, যা দিয়ে গ্রামের সম্পূর্ণরূপ অতি অনায়াসে বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফুটে উঠত।
☛ সমস্ত অধ্যায়ের উত্তর পেতে: Click Here
👉 Subscribe Our YouTube Channel: Click Here
You may also like: সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়
Class-7 Bengali Atmokotha Question-Answer
Official Website: Click Here
Class-7 Bengali Atmokotha Question-Answer
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা আত্মকথা প্রশ্ন-উত্তর
Class-7 Bengali Atmokotha Question-Answer
আত্মকথা প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণী বাংলা রামকিঙ্কর বেইজ
Class-7 Bengali Atmokotha Question-Answer