Class 6 History Full Marks 50

Class 6 History Full Marks 50 Final Model Activity Task November

Class 6 History Full Marks 50 Final Model Activity Task Part- 8 November

১. সঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করাে :

১.১ এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরােনাে আদিম মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে ____________ (এশিয়াতে/পূর্ব আফ্রিকাতে/আমেরিকাতে)। 

উত্তর: পূর্ব আফ্রিকাতে

১.২ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ____________ (জাঁ ফ্রঁসােয়া জারিজ/চার্লস ম্যাসন/দয়ারাম সাহানি)।

উত্তর: জাঁ ফ্রঁসােয়া জারিজ ।

১.৩ হরপ্পা সভ্যতা ____________ যুগের সভ্যতা (প্রাক-ইতিহাস / প্রায়-ইতিহাস / ঐতিহাসিক)। 

উত্তর: প্রায়-ইতিহাস

২. ক – স্তম্ভের সাথে খ – স্তম্ভ মিলিয়ে লেখাে :

উত্তর:

ক – স্তম্ভখ – স্তম্ভ
বন্দর – নগরলােথাল
বৃহৎ স্নানাগারমহেনজোদাড়াে
উঁচু এলাকা সিটাডেল

৩. বেমানান শব্দটি খুঁজে লেখাে :

৩.১ সংহিতা, মহাকাব্য, আরণ্যক, উপনিষদ 

উত্তর: মহাকাব্য

৩.২ ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, ব্রাক্ষ্মণ

উত্তর: ব্রাক্ষ্মণ

৩.৩ বিদথ, সভা, সমিতি, রত্নিন 

উত্তর: রত্নিন 

৪. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :

৪.১ দক্ষিণ ভারতের একমাত্র মহাজনপদ ছিল অস্মক। 

উত্তর: সত্য 

৪.২ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শেষ জীবনে বৌদ্ধ হয়ে যান। 

উত্তর: মিথ্যা 

৪.৩ বিনয়পিটক গৌতম বুদ্ধের মূল কয়েকটি উপদেশের আলােচনা।

উত্তর: মিথ্যা 

৫. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ মেহেরগড় সভ্যতায় কোন কোন কৃষি পণ্য উৎপাদিত হত? 

উত্তর:  মেহেরগড় সভ্যতায় গম, যব, কার্পাস উদপাদিত হত।

৫.২ উপমহাদেশের পুরােনাে গুহা-বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি স্থানের নাম লেখাে। 

উত্তর:  পুরানো গুহা-বসতির প্রমাণ পাওয়া গেছে এরকম কয়েকটি উপমহাদেশের স্থানের নাম হল উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের সাংঘাও, কর্ণাটকের কুর্নুল ও মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা।

৫.৩ বেদের আরেক নাম শ্রুতি কেন?

উত্তর:  বেদ প্রথম দিকে লিখিত রুপে ছিল না। ঈশ্বরের মুখ নিঃসৃত বাণী ঋষিরা মনে রাখতেন এবং তাঁদের কাছ থেকে শিষ্যরা সেই বাণী শুনে শুনে মুখস্ত করে নিত, তাই বেদের আরেক নাম শ্রুতি।

৫.৪ জনপদ কী?

উত্তর:  প্রাচীন ভারতে গ্রামের থেকে বড়ো অঞ্চলকে জন বলা হতো। তাই জনগণ যেখানে পা বা পদ রাখত অথাৎ বাস করত সেই অঞ্চলকেই জনপদ বলা হয়।

৬. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

৬.১ মেগালিথ কী? 

উত্তর: বড়াে পাথবের সমাধিকে মেগালিথ বলে। বিভিন্ন অঞলের জনগােষ্ঠী বড়াে বড়াে পাথর দিয়ে পরিবারের মৃত ব্যক্তিদের সমাধি চিহ্নিত করত। পাথরগুলির আকারও ছিল বিভিন্ন। কোনােটি আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত , আবার কোনােটি বৃত্তাকার ছিল। এইসব সমাধিতে মানুষের কঙ্কাল ও তাদের ব্যবহারের জিনিস পাওয়া গেছে। তবে জিনিসের তফাত দেখে বােঝা যায় যে তৎকালীন সমাজে ধনী ও দরিদ্রের বিভেদ ছিল। কাশ্মীবের বুবজাহােম , রাজস্থানের ভরতপুর , মহারাষ্ট্রের ইনামগাঁও হলাে বিখ্যাত মেগালিথ কেন্দ্র।

৬.২ জাতকের গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী?

উত্তর: ত্রিপিটকের মধ্যে জাতক নামে কিছু গল্প রয়েছে। মনে করা হয় গৌতম বুদ্ধ আগেও নানান সময়ে জন্মেছিলেন। সেই আগের এক একটি জন্মের কথা জাতকের এক একটি গল্পে বলা হয়েছে প্রতিটি গল্পের মধ্যে কিছু না কিছু উপদেশ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মপ্রচারের জন্যই জাতকের গল্পগুলি ব্যবহার করা হতাে। পাঁচশােরও বেশি জাতকের গল্প রয়েছে। গল্পগুলি পালি ভাষায় বলা ও লেখা হতাে। মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিরাও জাতকের গল্পে চরিত্র হিসাবে উঠে এসেছে। জাতকের গল্পগুলি থেকে সেইসময়ের সমাজবিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারা যায়।

৬.৩ টীকা লেখাে : অর্থশাস্ত্র 

উত্তর: 

অর্থশাস্ত্র: প্রাচীন ভারতের একটি মূল্যবান গ্রন্থ যেটি বিষয়ের বৈচিত্র্য ও ব্যাপকতার জন্য সুপরিচিত। এতে একাধারে যেমন রয়েছে রাজনীতি ও রাষ্ট্রশাসন, প্রশাসন ব্যবস্থা, আর্থিক অবস্থা এবং সমাজ ও ধর্ম সম্পর্কিত নানান দিকের তাত্ত্বিক আলােচনা, তেমনি রয়েছে অন্যান্য বহুবিধ বিষয়, যেমন জীব ও উদ্ভিদ জগতের সাথে মানুষের সম্পর্ক, খনিজ পদার্থ ও বিভিন্ন ধাতুর ব্যবহার প্রক্রিয়া, ভূতত্ত্ব, কৃষি, এবং পশুপালন | গ্রন্থাকারের জ্ঞানের বিশাল পরিসর দেখে বিস্মিত হতে হয় | অর্থশাস্ত্র বহুবিধ বিষয়ের জ্ঞানের আধার এবং এটি প্রাচীন ভারতীয়দের জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রসরতার সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে

৬.৪ মৌর্য সম্রাটরা গুপ্তচর কেন নিয়ােগ করতেন?

উত্তর: সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে মৌর্যদের সেনাবাহিনীর দরকার ছিল। সেনাবাহিনীর ওপর সম্রাটের ক্ষমতা ছিল চূড়ান্ত। জানা যায় যে, মৌর্যদের সেনাবাহিনী ছিল বিরাট। ঘােড়া, রথ, হাতি, নৌকা প্রভৃতির ব্যবহার ছিল সেনাবাহিনীতে। সঙ্গে ছিল পদাতিক সেনা, যারা পায়ে হেঁটে যুদ্ধ করত। মৌর্য সম্রাটরাই প্রথম গুপ্তচরদের সাম্রাজ্যের খোঁজখবর আনতে কাজে লাগান। বিদেশি বা অচেনা সন্দেহজনক লােক সবার ওপরেই গুপ্তচরের নজর থাকত। রাজকর্মচারী এমনকি রাজপুত্ররাও গুপ্তচরদের নজরের বাইরে যেতে পারত না। সাম্রাজ্যের সব খবর চলে যেত সম্রাটের কাছে।

৬.৫ টীকা লেখাে : হর্ষচরিত 

উত্তর: 

হর্ষচরিত:  বানভট্ট হর্ষবর্ধনকে নিয়ে হর্ষচরিত কাব্য লেখেন। এটি আসলে একটি প্রশস্তি কাব্য। অর্থাৎ এই কাব্যে হর্ষের কেবল গুনােগান করা হয়েছে। পাশাপাশি পুষ্যভৃতি দের রাজত্ব ও তার ইতিহাস আলােচনা করেছেন বানভট্ট। হর্ষবর্ধনের গুনােগান করতে গিয়ে তার বিরােধীদের ছােট করেছেন বানভট্ট। যেমন রাজা শশাঙ্ককে অনেকভাবে খাটো করে দেখানাের চেষ্টা করেছেন। হর্ষবর্ধনের বােন রাজ্যশ্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হর্ষচরিত শেষ হয়েছে। হর্ষচরিত আসলে হর্ষবর্ধনের আংশিক জীবনী। তবে শুধু গুনােগান এর জন্য এটিকে নিরপেক্ষ বলে মেনে নেওয়া মুশকিল।

৭. আট-দশটি বাক্যে উত্তর দাও :

৭.১ তুমি কি মনে করাে, আগুনের ব্যবহার মানুষের ইতিহাসে জরুরি একটি পরিবর্তন? 

উত্তর:  আগুন ব্যবহার করতে শেখা মানুষের ইতিহাসে খুব জরুরি একটি পরিবর্তন। আগুন আবিষ্কারের পর আদিম মানুষের জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। প্রচন্ড শীতের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাত আগুন। পাশাপাশি বিভিন্ন হিংস্র জন্তুর আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্যও আগুনের ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়াও আগুনের ব্যবহার জানার পর মানুষের খাবার অভ্যাসেও পরিবর্তন আসে। এসময় মানুষ কাঁচা খাওয়ার বদলে খাবার ঝলসে খেতে শুরু করে। এরফলে চোয়াল ও দাঁতের জোর কম লাগত। ক্রমে চোয়াল শুরু ও সামনের দাঁত ছোটো হয়ে এলো এবং মানুষের চেহারায় পরিবর্তন ঘটলো।

৭.২ বৈদিক যুগের ব্যবসা বাণিজ্য কেমন ছিল? 

উত্তর:  আদি বৈদিক যুগে ব্যবসাবাণিজ্যের বিশেষ চলন ছিল না। সরাসরি সমুদ্র-বাণিজ্যের কথা ঋকবেদে নেই। পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে ব্যবসাবাণিজ্যের কথা বেশি পাওয়া যায়। তবে সমুদ্র-বাণিজ্য এই আমলেও ছিল কিনা নিশ্চিত জানা যায় না। বৈদিক যুগে জিনিসপত্র বিনিময় করা হতো। তবে মুদ্রার ব্যবহার ছিল বলে মনে হয় না। যদিও নিষ্ক, শতমান এগুলি হয়তো মুদ্রার মতো ব্যবহার হতো।

৭.৩ নব্যধর্ম আন্দোলন কেন গড়ে উঠেছিল?

উত্তর: জাতিভেদ প্রথা প্রবল হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ বৈদিক ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং সমাজে নতুন ধর্মমতের চাহিদা তৈরি হয়। ক্ষত্রিয়সহ সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ ব্রাহ্মণদের বিরোধিতা করতে শুরু করে এবং তাদের সমান ক্ষমতা দাবি করতে থাকে। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের বদলে নতুন সহজ সরল ধর্মের খোঁজ শুরু হয়। সেই চাহিদা পূরণ করেছিল বেশ কিছু ধর্ম, যার মধ্যে প্রধান দুটি হলো জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম। ব্রাহ্মণ্য ধর্মের যজ্ঞ ও আচার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে সহজ সরল জীবনযাপনের ওপরে জোর দিয়েছিল এইসব ধর্মের প্রচারকরা। এইভাবে নতুন এই ধর্মমতগুলিকেই নিয়েই গড়ে উঠেছিল নব্যধর্ম আন্দোলন।

☛ সমস্ত বিষয়ের উত্তর পেতে: Click Here

1. You may also like: Class 6 Model Activity Task 2021 All Subjects

2. You may also like: কীভাবে ‘Student Credit Card’ এর জন্য আবেদন করতে হবে।

Class 6 Model Activity Task History Part- 8 November

Official Website: Click Here

Class 6 History Model Activity Task 2021

Class 6 Model Activity Task History Part- 8 November

1 thought on “Class 6 History Full Marks 50”

Leave a Comment