Class 6 Bengali 2nd Series Model Activity Task 2021
এখানে শিক্ষাদপ্তর থেকে দেওয়া ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ‘Model Activity Task 2021 2nd Series’ এর প্রশ্নগুলির উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। তোমরা বিষয় ভিত্তিক খাতায় উত্তরগুলো তৈরি করো।
Class 6 Bengali 2nd Series Model Activity Task 2021

১. ‘ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য।’ – ‘মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।
উত্তর: ধান কাটার পর মাঠের চেহারা একেবারে আলাদা। সবুজ চেহারা মাঠটির আর থাকে না। যতদূর দৃষ্টি যায়, তা রুক্ষ। শুকনো কঙ্কালসার চেহারা। মাঠের আলগুলি — বুকের হাড়-পাঁজরার মতো। মাঠের ভেতর দিকে পায়ে চলার রাস্তা ফুটে ওঠে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে যাওয়ার। আকাশের রং তখন তামার হাঁড়ির মতো। রোদের দিকে তাকানো যায় না। গোরুর গাড়ির চাকায় মাটির ডেলাগুলি ভেঙে গুঁড়ো হয়ে তা ধুলোর মত ওড়ে। খাল বিল শুকিয়ে খাঁ খাঁ করতে থাকে। গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্ত কাল চলে গিয়ে দেখা দেয় গ্রীষ্ম ঋতু। প্রচণ্ড দাবদাহে পৃথিবী কানায় কানায় ছটফট করতে থাকে। জলের জন্য চারিদিকে হাহাকার পরে যায়। রাখালেরা বট অশত্থের ছায়ায় বসে থাকে। সহজে ছায়া খুঁজে পাওয়া যায় না। জল পিপাসায় গলা শুকিয়ে যায়। ধান কাটার পর এই গ্রীষ্মের রূপ ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে ওঠে।
২. দিন ও রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্র ‘হাট’ কবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।
উত্তর: কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তাঁর ‘হাট’ কবিতায় হাটের দিন ও রাতের চিত্র তুলে ধরেছেন। হাট বসার আগে সেখানে কোনো লোকজন থাকে না। সকালে সেখানে কেউ ঝাঁটও দেয় না। দিনের বেলায় সেখানে চেনা-অচেনা কত মানুষের ভিড়। জিনিসপত্র পছন্দ করা, দরদাম করা, কানাকড়ি নিয়ে কত টানাটানি। অবশেষে বিকেলবেলায় অবিক্রিত পসরা অল্প দামে বিক্রি হয়ে যায়। তারপর কেউ লাভ করে ঘরে ফেরে কেউবা লোকসান করে খালি হাতে ঘরে ফিরে আসে। হাট ভাঙার পর সবাই একে একে ঘরে ফেরে। সন্ধ্যার সময় ওখানে কেউ প্রদীপ জ্বালে না। হাটখানি অন্ধকারে পড়ে থাকে। একটি কাকের কা কা ডাকে নির্জন হাটের বুকে রাত্রি নামে। রাত্রিতে সেখানে নীরবতা।
৩. ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: সাঁওতালি দেয়ালচিত্রগুলি মূলত জ্যামিতিক আকার-আশ্রিত বর্ণ সমাবেশেই রচিত হয়। এতে যেমন দেখা যায় চওড়া রঙিন ফিতের মতো সমান্তরাল রেখা তেমনি থাকে চতুষ্কোণ ও ত্রিভুজের বাহুল্য। সাধারণত ঘরের চারপাশে ঘিরে থাকা মূল বেদিটি হয় কালো রঙের। তার সমান্তরালে টানা হয় চওড়া গেরুয়া রেখা আবার তার উপর সমান্তরালে টানা হয় চওড়া কালো রেখা। এর উপর নানা রঙের চতুষ্কোণ বা ত্রিভুজগুলি সাজানো থাকে। মাটি থেকে ছ-ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় চিত্রণটি বিস্তৃত হয়। দূর থেকে দেখা যাবে এমন দেয়ালই ছবির জন্য নির্বাচিত হয়।
৪. ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। — আলোচনা করো।
উত্তর: ‘পিঁপড়ে’ কবিতায় পিঁপড়ের প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। সারিবদ্ধ ছোটো পিঁপড়ের চলাফেরা কবি গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে লক্ষ করেছেন। আমাদের পরিবেশের চারিদিকে এ-জাতীয় পিঁপড়ে সারি দেখা যায়। কবি তাদের লক্ষ করলেও তাদের চলাফেরায় বাঁধা সৃষ্টি করতে চাননি। কারণ তাদের কাউকে বিচ্ছিন্ন করে দিলে তারা কষ্ট পাবে। তাদের চলাফেরার মধ্যে কবির প্রাণের সদাচঞ্চল স্পন্দন অনুভব করেছেন। আর ভেবেছেন বড়ো বড়ো পশুপাখির মতো এই পিঁপড়েও মাত্র দু-দিনের জন্য এই পৃথিবীকে ভালোবেসে, ভালোবাসা দিয়ে তাদের ভুবন গড়ে তোলে।
৫. ‘ফাঁকি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।’ উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থযোগ্য?
উত্তর: রাজকিশোর পট্টনায়কের লেখা ‘ফাঁকি’ গল্পে আমরা দেখি আমগাছ কোথায় লাগানো হবে এই নিয়ে গোপাল ও তার বাবার মতবিরোধ বাঁধে। অবশেষে দুজনের সহমতিতে বেড়ার একপাশে আমগাছটি লাগানো হয়। কারোর যত্ন ছাড়াই ধীরে ধীরে আমগাছটি বড়ো হয়ে ওঠে। গোপাল এখন গাছটিকে খুব আগলে রাখে। একসময় গাছে প্রচুর আম আসে। সেই আম পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে দেওয়া হলো। আস্তে আস্তে অবহেলিত গাছটি পরিবারেরই একজন হয়ে উঠলো। যুদ্ধের সময় আমগাছটির ওপর বিপদ নেমে এল। যেকোনো সময় গাছটির ওপর বোমা পড়তে পারে এই ভেবে আমগাছের গোড়া পর্যন্ত ট্রেঞ্চ খোড়া হল। সেই থেকে গাছটা পূর্বদিকে হেলে পড়ে। এখন গাছের প্রতি গোপালের খুব মায়া। সময় গড়িয়ে গোপাল এখন বৃদ্ধ। উই-এ সমস্ত গাছটা খেয়ে ফেলায় একদিন পুরো গাছটাই উপড়ে পড়ে গেল। গাছটা পড়লেও ঘর, বিজলি বাতি, কাকের বাসা কোনো কিছুরই কোনো ক্ষতি করেনি। বাড়ির এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাড়ির মানুষদের ফাঁকি দিয়ে চলে গেল। এভাবেই ‘ফাঁকি’ গল্পে নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছটি প্রধান চরিত্র হিসেবে ফুটে উঠেছে।
৬. ‘পৃথিবী সবারই হোক।’ — এই আশীর্বাণী ‘আশীর্বাদ’ গল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তর: বর্ষায় চারিদিক জলে থইথই করছে। এমত অবস্থায় একটি ঘাসের পাতাকে আঁকড়ে ধরে আশ্রয় নিয়েছে একটি পিঁপড়ে। চোখ বুজে পাতাতে দাঁত বসিয়ে পিঁপড়েটি ডুবু-ডুবু হয়ে ঝুলে রয়েছে। বৃষ্টি কমে এলে কামড় ছেড়ে, নিশ্বাস ছেড়ে পিঁপড়ে পাতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে পাতা ছিল বলেই আজ সে প্রাণে বেঁচে গেল। পাতা পিঁপড়ের হাতে হাত দিয়ে বলে ওটা কোনো কথা নয়, সে কাজের লোক এটাই আসল কথা। কাজের কথা শুনে পিঁপড়ে বলে, তারা সারাদিন খাটে ঠিকই, কিন্তু কাজ শেষে তারা আবার গর্তে গিয়ে ঢোকে। আর পাতা বরং পৃথিবীর উপর ফুল ফুটিয়ে হাসে। তাই পিঁপড়ের পৃথিবী নয়, আছে শুধু মাটি। তখন পাতা জানায় একথা ভুল, মাটি প্রত্যেকেরই। জলও মাটি ছাড়া চলতে পারে না।
পিঁপড়ের প্রচন্ড ভয় জলকে। কিন্তু পাতা কখনো জলকে ভয় পায় না। রোদ্দুর পোড়া, ধুলো মাখানো পাতা বৃষ্টির জন্যই আবার সবুজ হয়ে ওঠে। বৃষ্টি সবুজ ঘাসকে ডুবিয়ে, কাদায় লুটিয়ে দেয় ঠিকই। কিন্তু শরতে তাদেরই কাশবন হয়ে হাসতে দেখা যায়। ঘাসের পাতা পিঁপড়েকে আশ্বাস দিয়ে বলে বর্ষার পর শরৎ এলে পৃথিবী আবার তাদেরই হবে। এইভাবে লেখক ‘আশীর্বাদ’ গল্পে বোঝাতে চেয়েছেন, পৃথিবী সকলেরই।
৭. ‘ছোট্ট গাড়ির মধ্যে যতটা আরাম করে বসা যায় বসেছি।’ — এর পরবর্তী ঘটনাক্রম ‘এক ভুতুড়ে কাণ্ড’ গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তর: ছোট্ট বেবি অস্টিন গাড়ি খুব আস্তে আস্তে চলছিল। লেখক সেটিতে উঠে আরাম করে বসেন। কিন্তু গন্তব্য স্থান লালপুরার মোড়ে তিনি যে নামবেন সেকথা ড্রাইভারকে বলতে গিয়ে দেখলেন, ড্রাইভার নেই, গাড়ির মোটরও চলছে না। লেখক ভাবলেন নিশ্চয়ই তিনি ভুতের পাল্লায় পড়েছেন। এই কথা ভেবে লেখকের গলা শুকিয়ে গিয়ে, চোখ ঠিকরে বেরিয়ে এসে খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। ঘন্টা দুয়েক পরে গাড়িটি লেভেল ক্রসিং এ পৌঁছলে লেখক রেলগাড়ি আসার আওয়াজ শোনেন। কিন্তু গাড়ি থামবার কোনো লক্ষণ নেই। কোনোরকমে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়বার পর মুহূর্তের মধ্যেই ট্রেনটি চলে গেল। লেখক দেখলেন তিনি বেঁচে গেছেন এবং মোটরগাড়িটিরও কিছু হয়নি। কিছুক্ষণ পর লেখক দেখলেন পিছন থেকে একটি লোক এগিয়ে এসে তার কাছে সাহায্য চাইছেন, গাড়িটি ঠেলে নিয়ে যাবার জন্য। আট মাইল পথ তিনি গাড়িটিকে ঠেলে নিয়ে আসছেন। এইবার লেখক গাড়িটি ড্রাইভারহীন অবস্থায় কেন ছিল তা বুঝতে পারলেন।
৮. ‘এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ’ — ‘বাঘ’ কবিতা অনুসরণে তার কীর্তিকলাপের পরিচয় দাও।
উত্তর: পাখিরালয়ে ছোট্ট একটি হলুদ বাঘের ছানা বাস করতো। তার পেটে খুব খিদে। যখন সে ছোট্ট শরীর নিয়ে লাফিয়ে পাখির ছানা ধরতে যায়, তারা ডানা মেলে উড়ে পালায়। সে নদীর পাড়ে যায় খাবারের খোঁজে। কাঁকড়ার গর্তে থাবা ঢোকাতেই কাঁকড়াগুলো চিমটের মতো দাঁড় দিয়ে তাকে কামড়ে ধরে। সে ‘ওরে বাবা’ বলে কেঁদে ওঠে। তার বাবা এসে কাঁকড়ার দাঁড় ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। খিদে সহ্য করতে না পেরে বাঘের ছানা মেনিমৎস্য ধরতে কাদায় নামে। তখন বাঘজননী তাকে বলে তুই ভোঁদড় নোস, তুই একটা বাঘ। অবশেষে তার কীর্তিকলাপে লজ্জা পেয়ে তার বাবা-মা পাখিরালয় ছেড়ে চলে আসে সজনেখোলায়।
Class 6 Model Activity Task Answers 2021 2nd Series:-
ইংরেজী 2nd Series: Click Here
গণিত 2nd Series: Click Here
পরিবেশ ও বিজ্ঞান 2nd Series: Click Here
ভূগোল 2nd Series: Click Here
ইতিহাস 2nd Series: Click Here
1. You may also like: Class 6 Model Activity Task 2021 All Subjects 2nd Series
2. You may also like: কীভাবে ‘Student Credit Card’ এর জন্য আবেদন করতে হবে।
Class 6 English 2nd Series Model Activity Task 2021
Key words:
1. Class 6 Model Activity Task Bengali 2021
2. Class 6 Bengali Model Activity Task
3. Model Activity Task Class 6 Bengali
4. Class 6 Model Activity Task Bengali Part- 5
5. Class 6 Bengali 2nd Series Model Activity Task
6. Class 6 2nd Series Bengali Model Activity Task
7. Class 6 Bengali Model Activity Task Answers 2021
8. Class 6 Bengali Model Activity Task Answers 2nd Series Answers
ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ‘মডেল এক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ 2nd Series’ এর প্রশ্নগুলির উত্তর
Official Website: Click Here