এখানে শিক্ষাদপ্তর থেকে দেওয়া সপ্তম শ্রেণীর ‘বাংলা’ বিষয়ের ‘Model Activity Task Part-9 January, 2022’ এর প্রশ্নগুলির উত্তর আলোচনা করা হয়েছে। তোমরা বিষয় ভিত্তিক খাতায় উত্তরগুলো তৈরি করো।
১. ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ ছন্দে বাঁধা –
(ক) পাখির ডাক
(খ) রাত্রি-দিন
(গ) ঘড়ির কাঁটা
(ঘ) নৌকা জাহাজ
উত্তর: (খ) রাত্রি-দিন।
১.২ জীবন হবে __ – শূন্যস্থানে হবে
(ক) স্বপ্নময়
(খ) দ্বন্ধময়
(গ) কাব্যময়
(ঘ) পদ্যময়
উত্তর: (ঘ) পদ্যময়।
১.৩ ‘দিন দুপুরে __ ডাকে’ – শূন্যস্থানে হবে
(ক) ঝিঁঝির
(খ) পাখির
(গ) গাড়ির
(ঘ) ঝড়ের
উত্তর: (খ) পাখির।
২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি কোন্ কথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন?
উত্তর: ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি মন্দ কথায় কান দিতে নিষেধ করেছেন।
২.২ ‘ছন্দ শোনা যায় নাকো।’ – কখন ছন্দ শোনা যায় না?
উত্তর: মন্দ কথায়, দ্বন্দ্বে মেতে থাকলে এমনকি মন সংযোগ না ঘটালে প্রকৃত ছন্দ শোনা যায় না।
২.৩ ‘কেউ লেখেনি আর কোথাও।’ – কোন্ প্রসঙ্গে কবি একথা বলেছেন?
উত্তর: নদীর স্রোতেরও যে আপন ছন্দ আছে তা কবি উপলব্ধি করে একথা বলেছেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৩.১ ‘মনের মাঝে জমবে মজা।’ – মনের মধ্যে কীভাবে মজা জমে ওঠে?
উত্তর: প্রকৃতি ও প্রাণের বহিঃ অন্তজগৎ ছন্দময়। মন ও কান পেতে শুনলেই ছন্দের গতিপ্রকৃতি অনুভব করা যায়। চিনে নেওয়া যায় ছন্দ সুরের সংকেত সমগ্র ভুবনটাকে। সঠিকভাবে ছন্দ বজায় রাখলে মনের মাঝে জমে ওঠে আনন্দ বা মজা।
৩.২ ‘পদ্য লেখা সহজ নয়’ – পদ্য লেখা কখন কঠিন হয়ে ওঠে?
উত্তর: আমাদের সমগ্র বিশ্বজগৎ ছান্দিক গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রকৃতি ও প্রাণের মধ্যে ছন্দ তার আপন গতিতে চলছে। আমরা যদি মন ও কান পেতে সঠিকভাবে ছন্দটাকে চিনে নিতে পারি, তাহলে পদ্য লেখার কাজটিও সহজ হয়ে ওঠে।
৩.৩ ‘চিনবে তার ভুবনটাকে’ – কীভাবে ভুবনকে চেনা সম্ভব হবে?
উত্তর: সকল ছন্দ যারা কান পেতে ও মন দিয়ে শুনবে, তারাই ভুবনটাকে সঠিকভাবে জানতে পারবে, চিনতে পারবে। কেননা, সমগ্র বিশ্ব চরাচর ছন্দে-তালে গতিশীল। প্রকৃতি ও প্রাণের ছন্দটা যদি ধরতে না পারা যায় তাহলে ভুবনটাকে ও চেনা শক্ত হয়ে ওঠে।
৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
কিচ্ছুটি নয় ছন্দহীন।’ – ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় কবি সমস্ত কিছুর মধ্যে কীভাবে ছন্দের সন্ধান পেয়েছেন তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: প্রখ্যাত কিশোর সাহিত্যিক অজিত দত্ত তার ‘ছন্দে শুধু কান রাখো’ কবিতায় জীবন ও প্রকৃতির সব কিছুর মধ্যেই যে তিনি ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন তা অতি সহজ ও সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
যেমন ঝড়-বৃষ্টিতে, জ্যোৎস্না রাতে, দুপুর বেলার পাখি ডাকে, নিঝুম রাতের শিশির ডাকেও তিনি ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন। নদীর কলকল ধ্বনিতে, মোটরগাড়ি ও রেল গাড়ির চাকার শব্দ, নৌকা জাহাজের ভেসে চলার তালে তালে, ঘড়ির কাটার অবিরাম ঘুরে চলা এবং দিন ও রাত্রির আসা-যাওয়ার মধ্যেও নিজস্ব একরকমের ছন্দ তিনি খুঁজে পেয়েছেন।
কবি কবিতার শুরুতেই আমাদের বিশেষ ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মন্দ কোথায় মন না দিয়ে, দ্বন্দ্ব ভুলে মন সংযোগ স্থাপন করলেই সঠিক ছন্দ অনুধাবন করা যায়।