১. তোত্তো চান শব্দটির অর্থ কি?
উত্তর: তোত্তো চান শব্দটির অর্থ ছোট্ট খুকু।
২. তোত্তো চান বইটির লেখিকার নাম কি?
উত্তর: তোত্তো চান বইটির লেখক এর নাম….………..
৩. নিচের এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো:
উত্তর: পালোয়ান, হলঘর,যথারীতি, টেলিভিশন ,অনেকক্ষণ।
৪. বন্ধনীর থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লিখ:
৪.১ তোত্তো চান তার বন্ধুকে (খাবার খাওয়া/বাড়িতে যাওয়া/গাছের চড়া/দোলনায় ওঠা) – নিমন্ত্রণ করেছিল।
উত্তর: তোত্তো চান তার বন্ধুকে গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করেছিল।
৪.২ তোত্তো চানের গাছটা ছিল- (রাস্তার মাঝখানে/বাড়ির উঠোনে/বেড়ার ধারে/বাগানের মধ্যে)।
উত্তর: তোত্তো চানের গাছটা ছিল বেড়ার ধারে।
৪.৩ তোত্তো চান গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল- (রকি/বাবা/দারোয়ান/ইয়াহু আঁকি চান) কে।
উত্তর: তোত্তো চান গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল ইয়াঃশুয়া কি কে।
৪.৪ তোত্তো চান মই নিয়ে এসেছিল(বাড়ি/দারোয়ানের ঘর/দোকান/শ্রেণীকক্ষ) থেকে।
উত্তর: তোত্তো চান মই নিয়ে এসেছিল দারোয়ানের ঘর থেকে।
৪.৫ ইয়াসুআঁকি চানের(পোলিওর/টাইফয়েডের/নিউমোনিয়া/জন্ডিসের) জন্য গাছে চড়ার অসুবিধা ছিল।
উত্তর: ইয়াস ওয়াকি চানের পোলিওর জন্য গাছে চড়ার অসুবিধা ছিল।
৫. কোনটি বেমানান চিহ্নিত করো:
৫.১ (গাছ/ডাল/পাতা/রাস্তা)
উত্তর: রাস্তা।
৫.২ হলঘর/কলরব/উঠোন/চিলেকোঠা
উত্তর: চিলেকোঠা।
৫.৩ সিরি/মই/তাবু/ধাপ
উত্তর: তাবু।
৫.৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র/জাপান/বাংলাদেশ/পশ্চিমবঙ্গ
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ।
৫.৫ সুমো/বক্সিং/ব্যাডমিন্টন/ক্যারাটে
উত্তর: ব্যাডমিন্টন।
৭. শব্দ ঝুড়ি থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
শব্দ ঝুড়ি: সুমো, বেরা, তুমি, পোলিও, বাক্স
৭.১…………….. তে সবার একটা করে গাছ ছিল।
উত্তর: তোমায়।
৭.২ তোত্তো চানের গাছটা ছিল……………… র ধারে।
উত্তর: বেরা
৭.৩ ইয়াঃশুয়া কি চানের………….. র জন্য পায়ে অসুবিধা হত।
উত্তর: পোলিওর
৭.৪ টেলিভিশন নাকি একটা…….. …. মতন।
উত্তর: বাক্স
৭.৫ তারমধ্যে ইয়া বড় বড়……….. পালোয়ান।
উত্তর: সুমো
৮. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
৮.১ তোত্তো-চান কাকে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল?
উত্তর: তোত্তো চান তার বন্ধু ইয়াঃশুয়া কি চাঁদকে চান কে গাছে চড়ার নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল।
৮.২ গাছে চড়ার কথা কারা জানতেন না?
উত্তর: গাছে চড়ার কথা তেতো চান ও ইয়া চুয়া কি চানের বাবা মা জানতো না।
৮.৩ কোথায় সবার একটা করে গাছ ছিল?
উত্তর: তুমি নামক স্থানে অর্থাৎ স্কুল চত্বরে সবার একটা করে গাছ ছিল।
৮.৪ স্কুল চত্বরে কারা কারা গাছগুলোর দখল নিয়ে ছিল?
উত্তর: স্কুল চত্বরে ছেলেমেয়েরা অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীরা গাছগুলো দখল নিয়েছিল।
৮.৫ টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তোত্তো চান কি করত?
উত্তর: টিফিনের সময় বা ছুটির পরে তোত্তো চান নিজের গাছে চড়ে নিচের লোকজন আর উপরের আকাশ টা দেখতো।
৮.৬ ইয়াহিয়া কি চান এর পায়ে কি অসুবিধা ছিল?
উত্তর: ইয়াহিয়া কি চান এর পায়ে পোলিওর জন্য অসুবিধা ছিল।
৮.৭ তোত্তো চান মাকে কি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল?
উত্তর: তোত্তো চান ইয়াস ওয়াকি চানের বাড়ি যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল।
৮.৮ স্কুলে গিয়ে তোত্তো চান কি দেখেছিল?
উত্তর: স্কুলে গিয়ে তোত্তো চান দেখেছিল ইয়াঃশুয়া কি চান ফুল গাছগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
৮.৯ তোত্তো চান কোথা থেকে মই সংগ্রহ করেছিল?
উত্তর: তোত্তো চান দারোয়ানের ঘর থেকে মই সংগ্রহ করেছিল।
৮.১০ মই এর মাথায় পৌঁছেও ইয়াঃশুয়া কি চান গাছের উপর উঠতে পারছিল না কেন?
উত্তর: পোলিও তে হাতের আঙুলগুলো দলা পাকিয়ে যাওয়ায় এবং অসুবিধে জন্য মই এরমাথায় পৌঁছেও ইয়াহিয়া কি চান গাছের ওপর উঠতে পারছিল না।।
৮.১১ ইয়াহিয়া কি চান এর হাত টা কেমন ছিল?
উত্তর: ইয়াহিয়া কি চান এর হাতের আঙুলগুলো পোলিও তে দলা পাকিয়ে গিয়েছিল, তবুও তেতো চান এর তুলনায় তার হাতের আঙুলগুলো বড় ছিল।
৯. নিচের বাক্যগুলি উত্তর নিজের ভাষায় লেখ:
৯.১ তোত্তো চান কিভাবে গাছের উপর উঠে সময় কাটাতো?
উত্তর: তোত্তো চানের গাছটা পিছল হলেও মাটি থেকে 6 ফুট উপরে অবস্থিত। দু’ভাগে বিভক্ত ডাল টি কে দোলনার মত মনে করে তেতো চান তাতে চেপে বসতো। সেখানে উঠে টিফিনের সময় বা ছুটির পর। নিচের লোকজন ও উপরের আকাশটা দেখতে দেখতে সময় কাটতো।
৯.২ ছেলে মেয়েরা কিভাবে গাছগুলোকে আপন করে নিয়েছিল?
উত্তর: স্কুল চত্বরে ছেলেমেয়েদের এক একটি গাছ ছিল সম্পত্তি। তাই কারো গাছে ওঠার আগে তার অনুমতি নিতে হতো। এ ভাবেই গাছগুলোকে ছেলেমেয়েরা আপন করে নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো সেখানে সময় কাটাতো।
৯.৩ বন্ধুকে কিভাবে গাছে ওঠা বে বলে তোত্তো চান পরিকল্পনা করেছিল?
উত্তর: ইয়াঃশুয়া কি চানের পোলিওতে হাত পা অবস থাকায় তার নিজস্ব কোন গাছ ছিল না। তাই তোত্তো চান তাকে নিজের গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানিয়ে ছিল। সে ইয়াঃশুয়া কিষাণের অবস্থা জানতো। সেই কারণে সে দারোয়ানের ঘর থেকে মই নিয়ে এসে ইয়াঃশুয়া কি চান কে গাছে চড়া সাহায্য করার পরিকল্পনা করেছিল।
৯.৪ টেলিভিশনে গল্প শুনে তোত্তো চান কি ভেবেছিল?
উত্তর: টেলিভিশনে গল্প শুনে তোত্তো চান ভেবেছিল একটা ঘরের মধ্যে একটা বাক্সের মধ্যে জাপানের বড় বড় সুমো পালোয়ান কিভাবে ধরবে? যদি এটা সত্যি হয় তাহলে ব্যাপারটা বেশ ভালো হবে।
৯.৫ এই প্রথম তেতো চান বুঝতে পারল…..- তোত্তো চান কি বুঝতে পারল? কাজটা কেন সহজ ছিল না, লেখ।
উত্তর: তেট সুকু কুরোয়ানাগি রচিত তোত্তো চানার এডভেঞ্চার গল্পে ইয়াঃশুয়া কি চান কে তোত্তো চান নিজের গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ জানালেও গাছে ওঠার সময় জানতে পারল ইয়াঃশুয়া কি চা নের পক্ষে মই বেয়ে গাছে ওঠা সহজ হবে না।
ইয়াঃশুয়া কি চান দুটি পা-ই ছিল অবস। মই তেওঠার জন্য পায়ে যে জোর প্রয়োজন হয় তা তার ছিল না। তাই অন্য সবার মতো তরতর করে মই বেয়ে ওপরে ওঠা সহজ ছিল না।
৯.৬ তোত্তো চান তার বন্ধু ইয়াঃশুয়া কি চান কে গাছে ওঠার নিয়ন্ত্রণ করেছিল কেন?
উত্তর: তোমায় তে অর্থাৎ স্কুল চত্বরে প্রত্যেক ছেলে মেয়েদের একটি করে গাছ ছিল। কিন্তু ইয়া সোয়া কি চানের পোলিওতে দুটি পা অবশ থাকায় গাছে উঠায়ে অসুবিধা ছিল। তাই সবার মতো নিজস্ব কোন গাছ ছিল না। তাই তার বন্ধু তোত্তো চান তাকে গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করেছিল।
৯.৭ দুই বন্ধু গাছের উপর বসে টেলিভিশন নিয়ে কি গল্প আলোচনা করছিল?
উত্তর: তোত্তো চানের গাছে চড়ার পর ইয়াঃশুয়া কি চান তাকে নিজের আমেরিকাবাসী দিদির বাড়ির টেলিভিশনের গল্প করছিল। টেলিভিশন একটি বাক্সের মতো। জাপানে যখন এই টেলিভিশন আসবে তখন বাড়িতে বসে টেলিভিশনে সুমো পালোয়ান দের দেখা যাবে। কিন্তু তোত্তো চান এরূপ অদ্ভুত যন্ত্রটার অর্থ বুঝতে পারেনি।
৯.৮ তুমি তোমার প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে যে ধরনের গল্প নিয়ে করো তা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখ?
উত্তর: আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে পড়াশোনা, খেলাধুলা, ঘুরতে যাওয়া আরো নানা রকম নিয়ে গল্প করি। পরীক্ষার আগে আমরা সময় পেলেই কার কত দূর পড়াশোনা এগুলো কিংবা কার প্রস্তুতি ভালো হয়েছে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আবার কখনো কখনো পরীক্ষা শেষ হলে বেড়াতে যাব। কিকি কিনবো এসব কথা হয়। আবার অবসর সময় বা ছুটির দিনগুলো কীভাবে কাটালাম তা একে অপরকে না বলতে পারলে রাতে ঘুম হয় না। সবমিলিয়ে আমি আমার বন্ধু এই সকল আলোচনার মাধ্যমে যেমন একে অপরের মতামত জেনে ভুলগুলি শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি, তেমনি অনেক অজানা বিষয় আমাদের জানা হয়ে যায়।
৯.৯ বাড়ি বা স্কুলের কোন গাছ টা তোমার একেবারে নিজের বলে মনে হয়? সেই বন্ধুর যত্ন তুমি কি করে করো?
উত্তর: আমার বাড়ির বাগানের গোলাপ গাছ টা আমার একেবারে নিজের বলে মনে হয়। গাছটাতে আমি রোজ স্কুল থেকে ফিরে জল দেই। ছুটির দিনে গাছের টবের মাটি আবার নিচে পড়ে থাকা আগাছা পরিষ্কার করি। যখন গাছটিতে ফুল ফোটে তখন আমার দেখতে খুব ভালো লাগে, প্রতি দিনের বিকেলবেলা টা আমি বাগানের মধ্যে কাটাই। গোলাপ গাছ টি আমার একান্ত বন্ধু হয়ে গেছে।
৯.১০ গাছে যদি তোমার একটি বাড়ি থাকতো, তুমি সেখানে কিভাবে সময় কাটাতে কয়েকটি বাক্যে লেখ?
উত্তর: মানুষের মতো গাছেরও প্রাণ আছে। গাছ থেকে প্রাপ্ত অক্সিজেনের দাঁড়ায় মানুষ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে। তাই গাছ মানুষের ঘরবাড়ি হলে, মানুষের অনেক বেশি উপকার হত, কারণ তখন খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রাথমিকভাবে গাছের ওপর নির্ভর করেই চলতে। গাছ থেকে প্রাপ্ত ফল তখন মানুষের খাদ্যের অভাব পূরণ করত। রোদ, ঝড় ,বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেত। সর্বোপরি বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এর কোন অভাব থাকতো না। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে গাছ মানুষের বাড়িঘরের প্রয়োজন পরোক্ষভাবে মেটাতে সাহায্য করে। কেননা গাছের ফল যেমন আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি, তেমনি পথে হেঁটে ক্লান্ত,শান্ত হলে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারি। সুতরাং গাছে যদি আমাদের একটি বাড়ি থাকতো তাহলে আমি গাছেদের আপনজন হিসাবে সময় কাটাতাম।
১০. প্রতিশব্দ লেখ:
গাছ, মাটি, সূর্য, রাস্তা, আকাশ
উত্তর: গাছ- বৃক্ষ, তরু।
মাটি- মৃত্তিকা, ভূমি, ভু।
সূর্য- তপন, দিবাকর, দিনমণি।
রাস্তা- সড়ক, পথ, মার্গ।
আকাশ- গগন, অম্বর, খ
১১. বর্ণ বিশ্লেষণ করো:
তরতর ,ছোটখাটো, ভয়ানক,লাজুক ,অ্যাডভেঞ্চার।
উত্তর: তরতর- ত+অ+র+ত+অ+র।
ছোটখাটো- ছ+ও+ট+ও+খ+a+ট+এ।
ভয়ানক- ভ+অ+য়+আ+ন+অ+ক।
লাজুক- ল+আ+জ+উ+ক।
অ্যাডভেঞ্চার- অ+য+আ+ড+ভ+এ+চ+র+আ।
১২. নিচের গদ্যরীতিতে যতি চিহ্ন ব্যবহার করো।
উত্তর: তোত্তো চান ঘামে ভেজা চুল মুখের উপর থেকে সরিয়ে মাথা নিচু করে আমন্ত্রণ জানালো: স্বাগতম। গাছের গায়ে পিঠ ঠেকিয়ে লাজুক ভাবে হেসে বলল, আসতে পারি ভিতরে? ও তো কখনো এমন দৃশ্য দেখি নি, এর আগে। গাছে ওঠা ব্যাপারটা তাহলে এরকম বলে ও হাসল।
১৩. নিচের একেকটি বিষয় নিয়ে কমপক্ষে পাঁচটি বাক্য লিখ: খেলা, গাছ, নেমন্তন্ন।
উত্তর: খেলা: খেলা আমাদের বিনোদনের একটি মাধ্যম। খেলা অনেক প্রকারের হয়। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, কবাডি, খো খো ইত্যাদি খেলার সঙ্গে পরিচিত। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। ক্রিকেট খেলা ও আমার ভালো লাগে।
গাছ: গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। গাছ আমাদের ছায়া দেয় ও অনেক পশুপাখি গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে। গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন যোগান দেয়। পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে এবং ভূমিক্ষয় রোধের জন্য গাছ আমাদের পরম উপকারী সাথী।
নেমন্তন্ন- আমাদের সামাজিক জীবনে নেমন্তন্ন এক বহুদিনের প্রথা। আমরা আনন্দের দিনে খুশি ভাগ করে নিতে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় পরিজনদের নেমন্তন্ন করে থাকি। নেমন্তন্নের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। নাচ গান হই হুল্লোর এর মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের নেমন্তন্ন উপভোগ করি। নেমন্তন্ন রক্ষা করাও আমাদের সামাজিকতার এক অঙ্গ।