Class 7 History Chapter 7 জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর West Bengal Board

Categories: Uncategorized

Amazon থেকে কিনুন খুব কম দামে Smart Watch!

Smart Watch
Buy Now

Class 7 History Chapter 7 সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর

সপ্তম শ্রেণী
ইতিহাস
সপ্তম অধ্যায়
জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি: সুলতানি ও মুঘল যুগ

১। শূন্যস্থান পূরণ করো :

ক ) _______________ ( টালি এবং ইট / সিমেন্ট এবং বালি / শ্বেতপাথর ) ব্যবহার করে বাংলায় সুলতানি এবং মুঘল আমলে সাধারণ লোকের বাড়ি বানানো হতো।
উত্তর: টালি এবং ইট ।

খ ) কবিরের দুই পংক্তির কবিতা গুলিকে বলা হয় _______________ ( ভোজন / কথকথা / দোহা ) ।
উত্তর: দোহা ।

গ) সুফিরা গুরুকে মনে করত _________________ ( পির / মুরিদ / বে-শরা )।
উত্তর: পির ।

Amazon থেকে কিনুন সুন্দর প্লাস্টিক ফুল, আপনার ঘরকে সাজান এক নতুন রূপে!

Plastic Flowers
Buy Now

ঘ ) __________________ ( কলকাতা / নবদ্বীপ / মুর্শিদাবাদ ) ছিল চৈতন্য – আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র।
উত্তর: নবদ্বীপ ।

ঙ ) ________________ ( নানক / কবীর / মীরাবাঈ ) ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ বা গিরিধারীর সাধিকা।
উত্তর: মীরাবাঈ।

চ ) দীন – ই – ইলাহি – র বৈশিষ্ট ছিল মুঘল সম্রাট এবং তার অভিজাতদের মধ্যে ______________ ( গুরু – শিষ্যের / মালিক-শ্রমিকের / রাজা-প্রজার ) সম্পর্ক।
উত্তর: গুরু – শিষ্যের ।

ছ ) শ্বেতপাথরে রত্ন বসিয়ে কারুকার্যকে বলে ________________ ( চাহার বাগ / পিত্রেয়া দুরা / টেরাকোটা )।
উত্তর: পিত্রেয়া দুরা।

জ ) মহাভারতের ফরাসি অনুবাদের নাম _______________ ( হমজানামা / তুতিনামা/ রজমনামা )।
উত্তর: রজমনামা।

ঝ ) ( দশবন্ত / মির সঈদ আলি / অবদুস সামাদ ) ________________ পরিচিত ছিলেন ‘শিরিনকলম’ নামে।
উত্তর: অবদুস সামাদ।

Amazon থেকে কিনুন খুব কম দামে Smart Watch!

Smart Watch
Buy Now

ঞ ) জৌনপুরি রাগ তৈরী করেন ________________ ( বৈজু বাওরা / হোসেন শাহ শরকি / ইব্রাহিম শাহ শরকি )।
উত্তর: হোসেন শাহ শরকি।

ট ) শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের লেখকের নাম __________________ ( কাশীরাম দাস / কৃত্তিবাস ওঝা / মালাধর বসু )।
উত্তর: মালাধর বসু ।

ঠ ) ‘পারসিক চক্র’ কাজে লাগানো হতো ___________________ ( জল তোলার জন্য / কামানের গোলা ছোড়ার জন্য / বাগান বানানোর জন্য ) ।
উত্তর: জল তোলার জন্য।

২। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি তোমার সবচেয়ে মানানসই বলে মনে হয়?

ক) বিবৃতি : নদীর ধারে শিল্পগুলি তৈরি হতো।
ব্যাখ্যা-১: নদীর ধারে শিল্প তৈরি করলে কর লাগতো না।
ব্যাখ্যা-২: সেকালে সব মানুষই নদীর ধারে থাকতো।
ব্যাখ্যা-৩: কাঁচা মাল আমদানি এবং তৈরি মাল রপ্তানির সুবিধা হতো।

উত্তর: ব্যাখ্যা-৩: কাঁচা মাল আমদানি এবং তৈরি মাল রপ্তানির সুবিধা হতো।

খ) বিবৃতি : চৈতন্য বাংলা ভাষাকেই ভক্তি প্রচারের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।
ব্যাখ্যা-১: তিনি শুধু বাংলা ভাষাই জানতেন।
ব্যাখ্যা-২: সে কালের বাংলার সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা ।
ব্যাখ্যা-৩: ভক্তি বিষয়ক সব বই বাংলায় লেখা হয়েছিল।

Amazon থেকে কিনুন স্টাইলিশ স্কুল ব্যাগ, আপনার শিশুর প্রতিদিনের সঙ্গী!

Plastic Flowers
Buy Now

উত্তর: ব্যাখ্যা-২: সে কালের বাংলার সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা ছিল বাংলা ।

গ) বিবৃতি : চিশতি সুফিরা রাজনীতিতে যোগ দিতেন না।
ব্যাখ্যা-১: তারা বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লে ঈশ্বর-সাধনা সম্ভব নয়।
ব্যাখ্যা-২: তারা রাজনীতি বুঝতেন না ।
ব্যাখ্যা-৩: তাঁরা মানবদরদী ছিলেন।

উত্তর: ব্যাখ্যা-১: তারা বিশ্বাস করতেন যে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লে ঈশ্বর-সাধনা সম্ভব নয়।

ঘ) বিবৃতি: আকবর দীন-ই ইলাহি প্রবর্তন করেন।
ব্যাখ্যা-১ : তিনি বৌদ্ধ ধর্মের অনুরাগী ছিলেন।
ব্যাখ্যা-২: তিনি অনুগত গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ।
ব্যাখ্যা-৩ : তিনি যুদ্ধ করা ছেড়ে দিয়েছিলেন।

উত্তর: ব্যাখ্যা-২: তিনি অনুগত গোষ্ঠী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ।

ঙ) বিবৃতি : মুঘল সম্রাটরা দুর্গ বানাতে আগ্রহী ছিলেন।
ব্যাখ্যা-১: দুর্গ বানানোর খরচ ছিল কম।
ব্যাখ্যা-২: দুর্গ বানানো ছিল প্রাসাদ বানানোর চেয়ে সহজ।
ব্যাখ্যা-৩ : দুর্গ বানানোয় সাম্রাজ্য সুরক্ষিত হতো।

উত্তর: ব্যাখ্যা-৩ : দুর্গ বানানোয় সাম্রাজ্য সুরক্ষিত হতো।

চ) বিবৃতি : জাহাঙ্গিরের আমলে ইউরোপীয় ছবির প্রভাব মুঘল চিত্রশিল্পে পড়েছিল।
ব্যাখ্যা-১ : এই সময়ে ইউরোপীয় ছবি মুঘল দরবারে আসতে শুরু করেছিল।
ব্যাখ্যা-২: মুঘল শিল্পীরা সবাই ছিলেন ইউরোপীয়।
ব্যাখ্যা-৩ : ভারতীয় শিল্পীরা এই সময় ইউরোপ থেকে ছবি আঁকা শিখে এসেছিলেন ।

উত্তর: ব্যাখ্যা-১ : এই সময়ে ইউরোপীয় ছবি মুঘল দরবারে আসতে শুরু করেছিল।

ছ) বিবৃতি : মধ্য যুগের মণিপুরী নৃত্যে রাধা-কৃষ্ণ ছিলেন প্রধান চরিত্র।
ব্যাখ্যা-১: ভারতে নৃত্যের দেব-দেবী হলেন কৃষ্ণ এবং রাধা।
ব্যাখ্যা-২: এই সময় বৈষ্ণব ধর্ম মণিপুরে বিস্তার লাভ করেছিল।
ব্যাখ্যা-৩: চৈতন্যদেব ছিলেন মণিপুরের লোক।

উত্তর: ব্যাখ্যা-২: এই সময় বৈষ্ণব ধর্ম মণিপুরে বিস্তার লাভ করেছিল।

জ) বিবৃতি : ভারতে প্রাচীন কালে তালপাতার উপরে লেখা হতো।
ব্যাখ্যা-১: সে আমলে কাগজের ব্যবহার জানা ছিল না।
ব্যাখ্যা-২: সে আমলে ভারতে কাগজের দাম খুব বেশি ছিল।
ব্যাখ্যা-৩: সে আমলে ভারতীয়রা কাগজের উপরে লেখার কালি আবিষ্কার করতে পারেনি।

উত্তর: ব্যাখ্যা-১: সে আমলে কাগজের ব্যবহার জানা ছিল না।

৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

ক) সুলতানি ও মুঘল যুগে ভারতে কোন কোন ফল, সবজি এবং শস্যের চাষ সবচেয়ে বেশি হতো?

উত্তর: সুলতানি ও মুঘল যুগে যেসব ফল, সবজি ও শস্যের চাষ বেশি হত সেগুলি হল-
ফল- আম, জাম, কাঠাল, নারকেল, খেজুর, আঙুর প্রভৃতি।
সবজি- বেগুন, পটল, বিভিন্ন ধরনের শাক প্রভৃতি।
শস্য- গম, যব, ধান, সরিষা, মুসুর, মুগ প্রভৃতি।

Amazon থেকে কিনুন খুব কম দামে Smart Watch!

Smart Watch
Buy Now

খ) মধ্য যুগের ভারতে ভক্তি সাধক-সাধিকা কারা ছিলেন?

উত্তর: মধ্যযুগের ভারতে এক শ্রেণির সাধক-সাধিকারা ভগবানের প্রতি ভক্তির কথা প্রচার করেছিলেন, তাদের ভক্তিবাদী সাধক-সাধিকা বলা হয়।
ভক্তিবাদী সাধক- রামানন্দ, কবীর, নানক, শ্রীচৈতন্য প্রমুখ ।
ভক্তিবাদী সাধিকা- মীরাবাঈ। মীরাবাঈ ভক্তিমূলক ভজনের মাধ্যমে শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা করতেন।

গ) সিলসিলা কাকে বলে? চিশতি সুফিদের জীবনযাপন কেমন ছিল?

উত্তর: সুফিবাদের প্রচারকারী সম্প্রদায়গুলিকেই সিলসিলা বলা হত। সুফি আন্দোলনের প্রথম যুগে এই সিলসিলা বা সম্প্রদায়গুলি এই আন্দোলনকে দিয়েছিল স্থিতিশীলতা, রক্ষণশীলদের আক্রমণ প্রতিরোধের শক্তি এবং আধ্যাত্মিক প্রচার বিস্তারের সুযোগ।
চিশতি সুফিদের জীবন ছিল খোলামেলা। তারা ধর্ম আর ক্ষমতার মাপকাঠিতে মানুষকে বিচার করত না। চিশতি সুফিরা রাজনীতি ও রাজ-দরবারে থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখত। তাদের বিশ্বাস ছিল যে রাজ্য পরিচালনার কাজে জড়িয়ে পড়লে কোনোভাবেই ঈশ্বর সাধনা সম্ভব নয়। ভারতে চিশতি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মইনউদ্দিন চিশতি। শেখ নিজামউদ্দিন আউলিয়া বা বখতিয়ার কাফি ছিলেন এই গোষ্ঠী বা সিলসিলার অন্যতম সাধক।

ঘ) দীন-ই-ইলাহি-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কেমন ছিল?

উত্তর: মুঘল সম্রাট আকবর ‘দীন-ই ইলাহি’ মতাদর্শ চালু করেন।দীন-ই ইলাহি গ্রহণের শুরুতে শপথগ্রহণ করতে হত।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান: যিনি দীন-ই-ইলাহি গ্রহণ করতেন তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁর জীবন (জান), সম্পত্তি (মাস), ধর্ম (দীন) ও সম্মান (নামুস) বিসর্জন (কুরবান) দেওয়ার শপথ নিতেন। শিষ্য (মুরিদ) যেমন তার সুফি গুরুর (পীর) পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে, তাঁকেও তেমনই বাদশাহের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করতে হত। এরপর অনুষ্ঠান শেষ হলে বাদশাহ তাঁকে একটি নতুন পাগড়ি, সূর্যের একটি পদক ও পাগড়ির সামনে লাগানোর জন্য বাদশাহের নিজের ছোট্ট একটা ছবি দিতেন।

ঙ) স্থাপত্য হিসাবে আলাই দরওয়াজার বৈশিষ্ট্য কী ?

উত্তর: সুলতান আলাউদ্দিন খলজি কুতুবমিনারের চত্বরে যে দরওয়াজা নির্মাণ করিয়েছিলেন, তা ‘আলাই দরওয়াজা’ নামে পরিচিত।
আলাই দরওয়াজার বৈশিষ্ট্য-
(১) এটি লাল বেলেপাথরে তৈরি ।
(২) দরওয়াজার গায়ে আল্লার কথার পরিবর্তে
(৩) সুলতানের প্রশংসা খোদাই করা হয়েছে।
(৪) এটি কুতুবমিনারের চত্বরেই নির্মিত হয়েছে।

চ) ক্যালিগ্রাফি এবং মিনিয়েচার বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: ইংরাজি শব্দ ক্যালিগ্রাফি (calligraphy)-র বাংলা অর্থ হল হস্তলিপি বিদ্যা বা হস্তলিপি শিল্প। মধ্যযুগের ইতিহাসে ছাপাখানার রেওয়াজ আসেনি এবং তার অস্তিত্ব এই সময় ছিল না। তাই এই সময়ে সুন্দর হাতের লেখার শিল্প ভীষণ ভাবে চর্চা হত। এযুগে হাতে লেখা বইগুলিই ছিল শিল্পের নমুনা। অন্যদিকে ইংরেজি শব্দ মিনিয়েচার (Miniature) কথাটার বাংলা অর্থ হল অনুচিত্র। সম্রাট আকবরের সময় তুতিনামা, রাজমনামা (মহাভারতের ফারসি অনুবাদ) প্রভৃতি বই-এর মিনিয়েচার দেখা যায়। বইগুলিতে অলংকরণের জন্য সোনার রং ও অন্যান্য রঙের ব্যবহার হত। ফলে জ্বলজ্বল করত পৃষ্ঠাগুলি। লেখার চারপাশে নানারকম অলংকরণ করা হত।

(ছ) শিবায়ন কী? এর থেকে বাংলার কৃষকের জীবনের কী পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর: সুলতানি আমলে শিবকে নিয়েও সাহিত্য লেখা হয়েছে। সেই লেখাগুলিকে ‘শিবায়ন’ বলে। পুরাণে শিব বিষয়ে যে কাহিনি তার সঙ্গে শিব-দুর্গার ঘর-সংসারের কথা জুড়ে শিবায়ন কাব্যগুলি লেখা হয়েছে। শিবায়নে গরিব শিব-দুর্গা ও তাদের জীবনের কথা লেখা হয়েছে। শিব সেখানে চাষবাস করে রোজগারের চেষ্টা করে। এই লেখাগুলিতে সেই সময়ের বাংলাদেশের গরিব কৃষক পরিবার যেন শিব-দুর্গার পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে।

(জ) কাগজ কোথায় আবিষ্কার হয়েছিল? মধ্য যুগের ভারতে কাগজের ব্যবহার কেমন ছিল তা লেখো।

উত্তর: খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে চিনে প্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয়।
ব্যবহার- খ্রিস্টীয় এয়োদশ শতাব্দিতে ভারতে কাগজ তৈরি করার প্রযুক্তি চিন থেকে প্রথম নিয়ে আসে মধ্য এশিয়ার মোঙ্গলরা। কিছু দিনের মধ্যে ভারতে কাগজের ব্যবহার শুরু হয় ফলে লেখা পড়ার কাজ সহজ হয়। চতুর্দশ শতকে কাগজ সস্তা হলে ময়রা মিষ্টি দেবার জন্য কাগজের ব্যবহার করতো।

Amazon থেকে কিনুন সুন্দর প্লাস্টিক ফুল, আপনার ঘরকে সাজান এক নতুন রূপে!

Plastic Flowers
Buy Now

৪। বিশদে (১০০-১২০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

ক) মধ্য যুগের ভারতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল তা লেখো।

উত্তর: মধ্যযুগে ভারতের বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ গ্রামে বাস করত। সমাজ ছিল পরিবারভিত্তিক ।
(১)বাসস্থান- যে সব স্থানে পাতকুয়া, ডোবা বা পুকুর থাকত সাধারণ মানুষ সেখানেই বসতি গড়ে তুলত তারা গাছের গুড়ি, মাটি, খড়, টালি ও পাতা দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরি করত।
(২)জীবিকা- কৃষিকাজ ছিল তাদের প্রধান জীবিকা। খজনা দেওয়ার পর বাকি ফসলে তারা জীবন ধারণ করত। যাদের চাষবাস ছিল না, তারা কষ্ট করে জীবন কাটাতো ।
(৩) খদ্য- মধ্যমুগে ভারতের সাধারণমানুষে প্রধান খাদ্য শস্য ছিল ধান, গম, মুগ, মুসুর এবং বিভিন্ন সবজি। এদের খিচুরি ছিল প্রধীন খাদ্য। গরীর মানুষ একবার পেট ভরে খেত । এরা মাংসর খাদ প্রায় জানতই না।
(8) পোষক- এদের পোশাক ছিল অতন্ত নিন্মমানের ।
(৫) উৎসব- গ্রামের মানুষ বিভিন্ন পালাপার্বনে আনন্দ উৎসব পালন করত। কষ্টকর একঘেয়ে জীবনের মধ্যে উৎসব ছিল ব্যতিক্রম । উৎসবে লোকগান, নাচ, জাদুখেলা, কুস্তী, সাঁতার প্রতিযোগীতা প্রভৃতি ছিল সাধারণ মানুষের আনন্দের উৎস ।

খ) কবীরের ভক্তি ভাবনায় কীভাবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এক হয়ে গিয়েছিল বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর: মধ্যযুগে ভারতে ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সাধক ছিলেন কবির। তিনি ভক্তি আন্দোলনের পুরোধা রামানন্দের শিষ্য ছিলেন। ইসলামের একেশ্বরবাদের সাথে বৈয়ব, নাথ, যোগী এবং তান্ত্রিক বিশ্বাস এসে মিলেছিল কবিরের চিন্তাভাবনায়। তিনি দৃপ্তকণ্ঠে প্রচার করেছিলেন সব ধর্মই এক। সব ভগবানই এক। তার মতে রাম, হরি, আল্লাহ্ ইত্যাদি সবই ছিল একই ঈশ্বরের বিভিন্ন নাম। মানুষে মানুষে কোনো প্রভেদ নেই। কবিরের এই ভক্তি দর্শন তখনকার সমাজে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ ও বিরোধ মেটাতে খুবই সফল হয়েছিল।

কবির মনে করতেন যে মানুষ তার ভক্তি দিয়ে নিজের মনেই ঈশ্বর খুঁজে পাবে। তার জন্য তাকে মন্দির মসজিদে গিয়ে মূর্তি পূজা বা গঙ্গা স্নান বা নামাজ পড়ার কোনো দরকার নেই। তখনকার সামাজিক জীবনে কবিরের ভাবাদর্শের গুরুত্ব অপরিসীম। কবির তাঁর দোহাগুলির মাধ্যমে ধর্মের বহু জটিল তত্ত্ব অনেক সহজ ও সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছিলেন। কবিরের একটি দোহায় লিখিত আছে যে— ‘তিলের মধ্যে যেমন তেল আছে, চকমকি পাথরের মধ্যে যেমন আগুন আছে, তেমনি তোর ভগবান (সাঁই) তোর মধ্যে আছে। যদি ক্ষমতা থাকে তো জেগে ওঠ। কবিরের এই রূপ ভক্তিভাবনাই সকল ধর্মনির্বিশেষে মানুষকে এক করে দিয়েছিল।

গ) বাংলায় বৈষ্ণব আন্দোলনের ফলাফল কী হয়েছিল বিশ্লেষণ করো।

উত্তর শ্রী চৈতন্য দেবের নেতৃত্বে খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকে বাংলায় বৈষ্ণব আন্দোলনের প্রচার ও প্রসার ঘটে।
(১) বাংলায় বৈষ্ণবধর্মের প্রসার ভক্তি আন্দোলনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে। হাজার হাজার মানুষ চৈতন্যদেবের অনুগামী হয়, এবং বাঙালি এক অখণ্ড জাতিতে পরিণত হয়েছিল।
(২) চৈতন্যদেব ও তার অনুগামীরা জাতিভেদ প্রথার বিরোধী ছিলেন। তাই বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার ও প্রসারের ফলে বাংলার সমাজ থেকে জাতিভেদ প্রথা পুরোপুরি দূর না হলেও অনেকটাই কমে যায়। জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলে তার ধর্ম গ্রহণ করে।
(৩) চৈতন্যদেব বাংলা ভাষায় বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেন । বাংলা ভাষাতেই চৈতন্যদেবের জীবনী লেখা হয়। বৈষ্ণবধর্ম প্রচারের ফলে রাধা-কৃষ্ণের লীলা নিয়ে বহু কাব্য রচিত হয়। এর ফলে সামগ্রিক ভাবে বাংলা ও সাহিত্যের উন্নতি ঘটে ।
(৪) বাংলায় বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারের কীর্তনগানের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পায় ।
(৫) সমাজের সমস্ত মানুষকে ভক্তিধর্মের নির্মল ধারার সিক্ত করেন শ্রীচৈতন্যদেব । ফলে দ্বাদশ শতকের পর থেকে শুরু হওয়া মানুষের নৈতিক অধঃপতন অনেকটাই হৃাস পায়।

ঘ) বাদশাহ আকবরের দীন-ই ইলাহি সন্বন্ধে একটি টীকা লেখো।

উত্তর: ভারতের ইতিহাসে আকবরের সবচেয়ে কালজয়ী অবদান হল উদার ও বিচক্ষণ ধর্মনীতি। তিনি ভারতে এক জাতীয় রাষ্ট্র গঠনের রূপকার ছিলেন। ভারতের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সকল ধর্মের সারবস্তু নিয়ে ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ দীন-ই-ইলাহি নামে এক একেশ্বরবাদী ধর্মমত প্রবর্তন করেন। এই ধর্মমত সুলতানি শাসকের প্রচলিত হিন্দু বিদ্বেষী নীতির পরিবর্তে সম্প্রীতি ও গ্রহণযোগ্যতার নীতি গ্রহণে সচেষ্ট হয়। এই ধর্ম নিরামিষ ভোজন, দান, সম্রাটের জন্য সম্মান, জীবন, সম্পত্তি ত্যাগের অধিকার প্রভৃতির ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল।

আকবরের সমকালীন ঐতিহাসিক বদাউনি দীন-ই-ইলাহিকে বাদশাহ আকবর প্রচলিত নতুন এক ধর্মমত বলে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু তা ঠিক নয়। কেন না আকবর কখনও ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেননি। ইসলাম ধর্মের নানা ব্যাখ্যার মধ্যে থেকে তিনি সবচেয়ে যুক্তিগ্রাহ্য মতটি মেনে নিতেন।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক মনে করেন যে দীন-ই-ইলাহি আসলে ছিল আকবরের প্রতি চূড়ান্ত অনুগত অভিজাতদের মধ্যে প্রচারিত এক আদর্শ। আকবর নিজে তাঁদের বেছে নিতেন। ফলে এই ধর্মমত দরবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যা জনগণের মনে কোনো সাড়া জাগাতে পারেনি। ফলে ‘দীন-ই-ইলাহির উদ্দেশ্য অনেকটাই ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল।

(ঙ) মুঘল সম্রাটদের আমলে বাগান তৈরি এবং দুর্গনির্মাণ সম্বন্ধে আলোচনা করো।

উত্তর: মুঘলরা ষোড়শ শতকে (বাবরের সময়কালে) ভারতে বাগান তৈরির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন এক কৌশল ব্যবহার করতে থাকে। ফারসিতে এর নাম ‘চাহার বাগ’। হিন্দিতে চার ভাগ বলে। একটি বাগানকে জল দিয়ে চারটি সমান আয়তনের বর্গে ভাগ করা হত। তারপর গোটা বাগানটিতে নানারকম ফুল ফলের গাছ লাগিয়ে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হতো। পারস্য ও মধ্য এশিয়া থেকে এই বাগানরীতি মুঘল সম্রাট বাবর ভারতে নিয়ে আসেন। মুঘল বাদশাহদের মধ্যে বাগান করার ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ রাখতেন বাবর, জাহাঙ্গির ও শাহাজাহান। লাহোরের শালিমার বাগ, কাশ্মীরের নিসাত বাগ, দিল্লিতে হুমায়ুনের সমাধি ও আগ্রাতে তাজমহলে এই ‘চাহার বাগে’র নিদর্শন পাওয়া যায়।
মুঘল শাসকদের আমলে সাম্রাজ্যের সুরক্ষার কারণে দুর্গ শহর নির্মাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই দুর্গ নির্মাণের ফলে সাম্রাজ্যের সুরক্ষার পাশাপাশি স্থাপত্য শিল্পেরও বিকাশ ঘটেছিল। আগ্রা দুর্গ এর অন্যতম উদাহরণ। আজমের গড় লাহোর গড়, কাশ্মীরের ডাল হ্রদের গড়, এলাহাবাদ গড়গুলি আকবরের সময়কালে তৈরি হয়েছিল। সম্রাট শাহজাহান তাঁর নতুন শহর শাহজাহানাবাদের সুরক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে লালকেল্লা দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন আগ্রা দুর্গের অনুকরণে।

চ) মধ্য যুগের বাংলার স্থাপত্যরীতির পর্যায়গুলির মূল বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

উত্তর: মুসলমান শাসন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতকে। এই সময়ে বাংলায় কাঠামো নির্মাণের ‘মূল গঠনভঙ্গি ছিল, ইসলামি রীতি অনুসারে। আর বাইরের কারুকার্য ও কাঁচামাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলার লৌকিকারীতির ছাপ দেখা যায়।

(১) প্রথম পর্যায়- (১২০১ – ১৩৩৯ খ্রিস্টাব্দ) এই সময়ে স্থাপত্যের নিদর্শনগুলি হল বাংলার রাজধানী গৌড়, বসিরহাটের কিছু ভগ্নস্তূপ, ত্রিবেণীর জাফর খানের সমাধি ইত্যাদি ।
(২) দ্বিতীয় পর্যায়- (১৩৩৯-১৪৪২ খ্রিস্টাব্দ ) এই সময়ের স্থাপত্যগুলি হল পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ, গৌড়ের শেখ আকি সিরাজের সমধি, হুগলি জেলার ছোটো পাণ্ডুয়ার মিনার প্রভৃতি ।
(৩) তৃতীয় পর্যায়- (১৪৪২-১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দ) এই সময়ের স্থাপত্যের নিদর্শন গুলি হলো – পাণ্ডুয়ার একলাখি, গৌড়ের দাখিল দরওয়াজা, তাঁতিপাড়া মসজিদ, লোটেন মসজিদ, ফিরোজ মিনার, গৌড়ের বড়ো সোনা মসজিদ এবং ছোট সোনা মসজিদ ।

ইন্দো – ইসলামীয় স্থপত্য রীতির বৈশিষ্ট:
(i) চালাভিত্তিক মন্দির নির্মাণ করা হত। কোনো মন্দিরে একচালা, দো-চালা বা কখনও আট-চালা হ৩।
(ii) চালগুলির মাথায় মাঝে মধ্যে খিলান ও গম্বুজ বানানো হত।
(iii) ইমারতে ইটের ব্যবহার করা হতো।
(iv) মন্দিরগুলি ঢালু করে বানানো হত জলগড়িযে যাবার জন্য ।
(v) মন্দির নির্মাণে পোড়ামাটি বা টেরাকোটার ব্যবহার করা হত এই ধরণের মন্দির বিষ্ণপুর পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় দেখা যায়।
(vi) মন্দিরে সাদা ও নীল টালির ব্যবহার করা হতো ৷

(ছ) মুঘল চিত্রশিল্পের উন্নতিতে মুঘল বাদশাহের কী ভূমিকা ছিল?

উত্তর: সুলতানি চিত্রশিল্পের ধারা মুঘল যুগে আরও পরিণত ও উন্নত হয়। বইতে ছবি আঁকা বা অলংকরণ সম্রাট বাবরের সময়ে দেখা যায়। এ ব্যাপারে সম্রাট হুমায়ুনেরও খুব উৎসাহ ছিল। সম্রাট আকবরের সময়ে ছোটো ছবি বা মিনিয়েচার দিয়ে বই সাজানো হত। যেমনঃ তুতিনামা, রজমনামা ইত্যাদি।

মিনিয়েচারকে বাংলায় অনুচিত্র বলা যেতে পারে। বই অলংকরণের পাশাপাশি প্রতিচ্ছবি আঁকাও আকবরের থেকে শুরু হয়। আকবরের আমলে বহু চিত্রকর পরিচিতি পান। প্রতি সপ্তাহে দারোগা ও কেরানিরা সমস্ত চিত্রকারদের ছবি বাদশাহ কে দেখাত। তিনি শিল্পীর গুণের বিচার করে পুরস্কার ঘোষণা করতেন বা মাস মাইনে বাড়িয়ে দিতেন। জাহাঙ্গিরের আমলে তা আরও উন্নত হয়। সেসময় থেকেই ইউরোপীয় ছবি আঁকার রীতিনীতির ছাপ মুঘল চিত্রশিল্পে পড়েছিল। ছবিতে বাস্তবতা ও প্রকৃতিবাদ-এর ছাপ স্পষ্ট হতে থাকে। সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলেই শিল্পীরা প্রথম ছবিতে স্বাক্ষর করতে শুরু করেন। তাতে বোঝা যেত কোন ছবি কার আঁকা। বাদশাহি বা অভিজাত নারীরা অনেকেই ছবি আঁকার ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন। তবে বাইরের শিল্পীদের দিয়ে অন্দরমহলের মহিলাদের ছবি আঁকানোর রেওয়াজ খুব বেশি ছিল না। নাদিরাবানু, সাহিফাবানুর মতো মুঘল নারীরা নিজেরাও ছবি আঁকতেন। সম্রাট শাহজাহানের সময়ে ছবির মধ্যে কাছে-দূরে বোঝানোর পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়। পাদশাহনামা গ্রন্থের অলংকরণ এই সময়ের বিখ্যাত কাজ। এইসব ছবিগুলি শিল্প হিসাবে অসাধারণ। পাশাপাশি এই ছবিগুলি সমকালীন ইতিহাসের উপাদানও হয়ে উঠেছে। শাহজাহানের পর মুঘল চিত্রশিল্পের উন্নতি খুব একটা দেখা যায় না।

জ) মধ্য যুগের ভারতে কীভাবে ফারসি ভাষার ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বেড়েছিল তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: পণ্ডিতদের অনুমান, দশম শতাব্দীতে তুর্কিদের আসার পর থেকেই ভারতে ফরাসি ভাষার প্রচলন ঘটে। দিল্লির সুলতানরা ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন । ভারতে সুলতানি শাসনের হাত ধরেই ফরাসি সাহিত্যের চর্চা শুরু হয়। কুতুব উদ্দিন আইবক ইলতুৎমিস এবং খলজি বংশের সুলতানদের আমলে ফরাসি সাহিত্যের ব্যবহার বাড়তে থাকে। ফরাসি সাহিত্যিক ও দার্শনিক আমির খসরু ফরাসি লেখার নানা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। তিনি ফরাসি সাহিত্যের এক নতুন রচনা পদ্ধতি “সবক-ই-হিন্দ” আবিষ্কার করেন । এই সময় ফরাসী ভাষায় বিখ্যাত ঐতিহাসিকগণ মিনহাজ-ই- সিরাজ, জিয়াউদ্দিন বরনি, ইসামি । মুঘল যুগে আবুল ফজল, বদাউনি, নিজামউদ্দিন প্রমুখরা ফরাসি ভাষায় ইতিহাস লেখা শুরু করেন । জিয়ানকশাবি প্রথম সংস্কৃত গল্পমালাকে ফরাসিতে অনুবাদ করে নাম দেন “তুতিনামা” । কাশ্মীরের সুলতান জৈন-উল-আবেদিনের পৃষ্ঠপোষকতায় “মহাভারত” এবং কলহণের “রাজতরঙ্গিনী” ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করা হয় ।

ঝ) সুলতানি এবং মুঘল আমলে সামরিক এবং কৃষি প্রযুক্তিতে কী কী পরিবর্তন ঘটেছিল বলে তোমার মনে হয় ।

উত্তর:
সামরিক: সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই যুগে বড়ো রকমের একটা বদল দেখা যায়। চতুর্দশ শতকের প্রথমার্ধে বারুদ ব্যবহারকারী আগ্নেয়াস্ত্র চিন থেকে মোঙ্গলদের হাত ঘুরে প্রথমে ভারতে এসে পৌঁছায়। পরে ভারতের কিছু অঞ্চলে শুরু হয় বারুদ-চালিত রকেটের ব্যবহার। পঞ্চদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে চিন ও মামেলুক শাসিত মিশর থেকে বন্দুকের প্রযুক্তি আসে ভারতে। ষোড়শ শতকের গোড়ার দিকে পোর্তুগিজরা এই প্রযুক্তি দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে দেয়। এই সময়ের কাছাকাছি মুঘলরাও উত্তর ভারতে যুদ্ধে ব্যাপক হারে বন্দুক ও কামানের ব্যবহার চালু করে। ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধের সময় সৈনিকের পা রাখার পাদানি বা রেবকাবের ব্যবহার তুর্কি বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই সামরিক প্রযুক্তি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।

কৃষি: ত্রয়োদশ শতক নাগাদ পারস্য দেশ থেকে ভারতে আসে পারসি চক্র বা সাকিয়া। মাপের জলাধার খনন করে তার থেকে ছোটো নালা বা খালের মাধ্যমে চাষের জমিতে জল পৌঁছে দেওয়া হতো।

☛ সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের সকল অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর পেতে: Click Here
আমাদের YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো: Click Here
সমস্ত বিষয়ের উত্তর পেতে: Click Here

Class 7 History Chapter 7 জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর

Class 7 History Important Questions and Answers

সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর। সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নগুলির উত্তর

Class-7 History Chapter-7 Question-Answer Class 7 History Class 7 History Chapter 8 Question Answer | জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর Capter 7 Question Answer | জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর

সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের সপ্তম অধ্যায়ের অনুশীলনীর প্রশ্ন উত্তর
জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি সুলতানি ও মুঘল যুগ প্রশ্ন উত্তর

Amazon থেকে কিনুন স্টাইলিশ স্কুল ব্যাগ, আপনার শিশুর প্রতিদিনের সঙ্গী!

Plastic Flowers
Buy Now

Leave a Reply