Class-4 Bengali Narohori-Das Question-Answer
এখানে চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের “নরহরি দাস” থেকে পাঠ্য পুস্তকে দেওয়া প্রশ্নগুলির উত্তর করে দেওয়া হলো। আশাকরি তোমরা উপকৃত হবে।
চতুর্থ শ্রেণী
বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর
নরহরি দাস (উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী)
১. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা তোমার একটি প্রিয় বইয়ের নাম লিখ।
উত্তর: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর আমার প্রিয় একটি বইয়ের নাম টুনটুনির বই।
২. তার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি কোন সিনেমা তুমি দেখেছো?
উত্তর: তার লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি গুপী গায়েন বাঘা বায়েন সিনেমাটি আমি দেখেছি।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও:
৩.১ “হ্যাঁ গো তুমি কি খাও” -ছাগলছানা ষাঁড়কে কী ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল?
উত্তর: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত নরহরি দাস পাঠ্যাংশ ছাগলছানা ষাঁড়ের শিং আছে দেখে তাকে ছাগল ভেবে এমন প্রশ্ন করেছিল।
৩.২ গল্পে বাঘ হলো শিয়ালের মামা, আর ‘নরহরি দাস’, নিজেকে কার মামা বলে দাবি করল?
উত্তর: নরহরি দাস, নিজে কে সিংহের মামা হিসেবে দাবি করলো।
৩.৩ ছাগলছানা কেন ষাড়ের সঙ্গে বনে গিয়েছিল?
উত্তর: ছাগলছানা ভালো ঘাস খাওয়ার লোভে ষাড়ের সঙ্গে বনে গিয়েছিল।
৩.৪ ছাগলছানা সেদিন রাত্রে কেন বাড়ি ফিরতে পারেনি ?
উত্তর: ছাগলছানা সেদিন রাতে বনের মধ্যে ভালো ঘাস দেখে লোভ সামলাতে না পেরে এত ঘাস খেলো যে তার চলার শক্তি রইল না, তাই সেদিন রাতে সে বাড়ি ফিরতে পারেনি।
৩.৫ অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানা কে কি মনে করেছিল?
উত্তর: অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানা কে রাক্ষস, টাক্ষস মনে করছিল।
৩.৬ বাঘ শিয়ালকে ফিরতে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: বাঘের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেয়ে ফিরে যাবার পর আবার শিয়ালকে ফিরতে দেখে বাঘ আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছিল।
৩.৭ শিয়াল কোন শর্তে বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল?
উত্তর: বাঘ শিয়াল কে তার লাজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যাবে- এই শর্তে শিয়াল বাঘের সঙ্গে ফিরতে চেয়েছিল।
৩.৮ ছাগলের বুদ্ধির কাছে শিয়াল কীভাবে হার মানল?
উত্তর: বুদ্ধিমান ছাগলের কথায় বাঘ ভয় পেয়ে ভাবল শিয়াল তাকে ফাঁকি দিয়ে ছাগলের আহার্য বস্তু হিসেবে নিয়ে এসেছে- এভাবেই বাঘ ছাগলের বুদ্ধির কাছে হার মানল।
৪. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো:
উত্তর:
য়া ন ভ ক = ভয়ানক।
শ র্ব স না = সর্বনাশ।
ত রা রা সা = সারারাত।
র ন্ধ অ কা = অন্ধকার।
ম ণ নি ন্ত্র = নিমন্ত্রণ।
না গ ল ছা ছা = ছাগলছানা।
৫. নিজের ভাষায় বাক্য সম্পন্ন করো:
৫.১ সেখানে মাঠের পাশে বন আছে ______________
উত্তর: সেখানে মাঠের পাশে বোন আছে সেখানে মাঠের ধারে মস্ত পাহাড়ের গর্তের ভিতর একটি ছাগল ছানা থাকতো ।
৫.২ সেই বনের ভিতর ____________________
উত্তর: সেই বনের ভিতর খুব খাস ছিল।
৫.৩ ছাগলছানা টা __________
উত্তর: ছাগলছানা টা খুব বুদ্ধিমান ছিল।
৫.৪ বাঘ শিয়াল কে ____________
উত্তর: বাঘ শিয়াল কে নিজের লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে চলল।
৫.৫ বাঘ ভাবে _________________
উত্তর: বাঘ ভাবে শিয়াল তাকে মিথ্যা কথা বলে নরহরি দাসের খাবার হিসেবে নিয়ে এসেছে।
৬. একই অর্থের শব্দ পাশের শব্দ ঝুড়ি থেকে খুঁজে নিয়ে পাশাপাশি লেখ:
বন, ছাগল, আশ্চর্য, সাজা, তৃণ
উত্তর: বন = জঙ্গল
তৃণ = ঘাস
ছাগল = অজ
সাজা = শাস্তি
৭. বর্ণ বিশ্লেষণ করে নিচের ফাঁকা ঘর গুলি ভর্তি করো:
উত্তর:
পাহাড় = প+আ+হ+আ+ড় ।
মস্ত = ম+অ+স্+ত+অ।
সন্ধ্যে = স+অ+ন+ধ+য+এ।
অন্ধকার = অ+ন+ধ+অ+ক+আ+র।
পঞ্চাশ = প+অ+ন+চ+আ+শ।
ব্যস্ত = ব+য+অ+স+ত+অ।
নিশ্বাস = ন+ই+শ+ব+আ+স।
৮. নীচের কথাগুলির মধ্য কোনটি বাক্য কোনটি বাক্য নয় চিহ্নিত করো:
উত্তর: মাঠের পাশেই বন
তাও কি হয়
নরহরি দাস এসে
আমি সেখানে গেলে
ছাগলছানা বাড়ি ফিরে এলো
৯. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো:
৯.১ গর্তে থাকত একটা ভিতরে ছাগলছানা।
উত্তর: গর্তের ভিতর একটা ছাগলছানা থাকতো।
৯.২ করি বাঘের দশ দিলুম তোকে।
উত্তর: তোকে দশ বাঘের করি দিলুম।
৯.৩ কিছুতেই আর রাগ গেল সে না।
উত্তর: সে রাগ আর কিছুতেই গেল না।
৯.৪ লাফে এই দুই তুমি তাহলে পালাবে তো।
উত্তর: তাহলে তুমি তো দুই লাফে পালাবে।
৯.৫ সারা রাত সারা করে ছুটোছুটি এমনি করে হলো।
উত্তর: এমনি করে সারারাত ছুটোছুটি করে সারা গেল।
১০. বাক্য রচনা করো:
মস্ত- বাবা বাজার থেকে একটা মস্ত বড় কাতলা মাছ কিনে এনেছেন।
জন্তু- জন্তু জানোয়ারেরা জঙ্গলে থাকে।
চমৎকার- মামা আমার জন্য একটা চমৎকার পুতুল এনেছেন।
বুদ্ধিমান- বুদ্ধিমান ব্যক্তি জীবনের সাফল্য লাভ করেন।
নিমন্ত্রণ- রবিবার বুবুনের বাড়ি নিমন্ত্রণ আছে।
১১. এলোমেলো ঘটনাগুলিকে সাজিয়ে লেখ:
উত্তর: ১. ছাগলছানা সঙ্গে যেতে চাইলো।
২. একথা শুনে
তাকে নিয়ে গেল।
৩. খেয়ে তার পেট এমন ভারি হল যে সে আর চলতে পারে না।
৪. সেদিন রাতে একটা গর্তের ভিতরে একটা ছাগল ছানা থাকলো।
৫. সেই গর্তটা ছিল শিয়ালের।
৬. শিয়াল ফিরেছে গর্তে থেকে ঢুকেছে তা জানতে চাইল।
৭. ছাগলছানা ভারী বুদ্ধিমান ছিল, সে বললে পঞ্চাশ বাঘে মোর এক এক গ্রাস।
৮. শিয়াল গেল বাঘের কাছে নালিশ জানাতে।
৯. শিয়াল বাঘের সঙ্গেও সেই গর্তের কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল।
১০. বাঘ তো শিয়ালকে বেশ করে লেজে সঙ্গে বেঁধে নিয়েছে।
১২. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ:
১২.১ এই গল্পে কাকে তোমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে? তোমার এমন মনে হবার কারন কি?
উত্তর: উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রচিত নরহরি দাস পাঠ্যাংশ ছোট ছাগলছানা টিকেই আমার বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে। কারণ ছাগলছানা সেদিন রাত্রে শিয়াল ও বাঘের হাত থেকে বাঁচার জন্য শিয়াল ও বাঘকে নিজের বুদ্ধির জোরে নাজেহাল করে ছেড়েছিল। সে শিয়ালের গর্তে ঢুকে রাত কাটানোর জন্য শিয়ালকে ভয় দেখায় এই বলে যে সেএক গ্রাস পঞ্চাশটি বাঘ খেয়ে ফেলতে পারে। বাঘ একথা শোনার পর যখন শিয়াল কে সঙ্গে নিয়ে ছাগলছানা টির কাছে আসে, বুদ্ধিমান ছাগলছানা টি বাঘ কে ভয় দেখায়। বাঘ ও শিয়াল প্রচন্ড ভয় পেয়ে প্রাণপণে ছুটতে থাকে। শিয়াল মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাটার আছাড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে টক্কর খেয়ে কোনমতে বাড়ি ফেরে। ছোট ছাগলছানা এভাবে নিজের বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে শিয়াল ও বাঘের হাত থেকে রক্ষা পায়। তার এই আচরন প্রশংসার দাবি রাখে।
১২.২ বুদ্ধি যার বল তার- এই কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এই গল্পে? এরকম অন্য কোন গল্প তোমার জানা থাকলে লেখ।
উত্তর: একদিন দুজন বন্ধু ঘুরতে ঘুরতে বনের মধ্যে প্রবেশ করে। বনের ভেতর কিছুদূর যেতেই হঠাত একটি ভাল্লুক তাদের সামনে এসে পড়ে। দুই বন্ধুর মধ্যে একজন ভাল্লুক এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চটপট গাছে উঠে পড়ল। কিন্তু অপর জন গাছে চড়তে জানতো না। সে তখন তার বুদ্ধির জোরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে মাটিতে শুয়ে পড়ল। কারন সে জানতো ভাল্লুক মরা মানুষ ছোয না। ভাল্লুক টি তার কাছে এসে কিছুক্ষণ পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ভেবে চলে গেল। এভাবেই সে ভালুকের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। গল্পটির মাধ্যমে জানা যায়, বুদ্ধি যার বল তার অর্থাৎ বুদ্ধি থাকলে এই অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করা যায়।
১৩. গল্প থেকে অন্তত পাঁচটি সর্বনাম খুঁজে নিয়ে লেখ এবং সেগুলি ব্যবহার করে বাক্য লিখ।
উত্তর: পাঁচটি সর্বনাম হলো- সে, তার, তুমি, তোমার, তোকে।
সে- সে এমন একটা কান্ড করলো যে সবাই হা হয়ে গেল।
তার- বাবা তার শখের ঘড়ি টা আমায় উপহার দিলেন।
তুমি- তুমি যদি সত্যি কথা বল তোমায় তাহলে ছেড়ে দেব।
আমার: আমার জীবনে আমার মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি।
তোকে: তোকে কাজটা বারবার বারণ করা সত্ত্বেও করলি?
১৪. কারণ কি লেখ:
১৪.১ ছাগলছানা গর্তের ভিতর যেতে পেত না।
উত্তর: কারণ, ছাগলছানা তখনও বড় হয়নি।
১৪.২ ষাঁড় এসে বলল, ‘এখন চলো বাড়ি যাই।’
উত্তর: কারণ তখন সন্ধ্যে হয়ে এসেছিলো।
১৪.৩ সে ভাবলো বুঝি রাক্ষস রাক্ষস হবে।
উত্তর: কারণ ,শিয়াল অন্ধকারের ভিতর ভালো করে ছাগলছানা টিকে দেখতে পেল না।
১৪.৪ বাবা গো! বলে সেখান থেকে দে ছুট।
উত্তর: কারণ, ছাগলছানাটি নিজেকে সিংগের মামা বলে পরিচয় দিয়ে এক গ্রাস পঞ্চাশ টিখাওয়ার কথা বলেছিল।
১৪.৫ বাঘ ভয়ানক রেগে বললো, বটে ,এত বড় আস্পর্ধা !
উত্তর: কারণ শিয়াল তার মামা বাঘকে গিয়ে ছাগল ছানার পঞ্চাশ টি বাঘ খাওয়ার কথা জানিয়েছেন এক গ্রাসে খাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১৫. নীচের বাক্য গুলি তে কি কি ভাব প্রকাশ পেয়েছে তা লেখ:(বিস্ময়/ইচ্ছা/প্রশ্ন/বিবেক/উপদেশ/পরামর্শ বা নির্দেশ/ভয়)
১৫.১ হ্যাঁ গো তুমি কি খাও?
উত্তর: প্রশ্ন।
১৫.২ আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে?
উত্তর: ইচ্ছা।
১৫.৩ যাসনে! ভাল্লুক কে ধরবে ,বাঘে নিয়ে যাবে, সিঙ্গে খেয়ে ফেলবে।
উত্তর: পরামর্শ ও নির্দেশ।
১৫.৪ এখন চলো বাড়ি যাই!
উত্তর: নির্দেশ।
১৫.৫ শুনেই তো শিয়াল, বাবাগো! বলেই সেখান থেকে দে ছুট!
উত্তর: ভয়।
১৫.৬ কি ভাগ্নে এই গেলে,আবার এক্ষনি এত ব্যস্ত হয়ে ফিরলো যে!
উত্তর: বিস্ময়।
১৬. গল্পটিতে কে কি কাজের সঙ্গে যুক্ত তা লিখ:
উত্তর:
ছাগলছানা মা- ছাগলছানা টিকে বাইরের বিপদ থেকে রক্ষার জন্য পরামর্শ দানের কাজ।
ছাগলছানা- আত্মরক্ষার জন্য বাঘ শিয়াল কে ভয় দেখানো।
ষাঁড়- ছাগলছানা কে ভালো ঘাস খাওয়ানোর জন্য বনে নিয়ে যাওয়ার কাজে।
বাঘ- শিয়ালের সঙ্গী হওয়া এবং কথা শুনে ভয় পেয়ে পালান।
১৭. শক্তি, বুদ্ধি ও কাজের বিচারে বাঘ, শিয়াল ও ছাগলছানার আচরন কেমন তা লেখ।
উত্তর:
বাঘ: বুদ্ধি ও কাজের বিচার বাঘ অত্যান্ত ভীরু ছিল। তাই সে যেতে চায়নি ছাগলছানার কাছে। কিন্তু তার শক্তি ছিল।
শিয়াল: শক্তিতে শিয়াল ছাগলের থেকে বড় কিন্তু বুদ্ধিতে নয়। তাই বুদ্ধি ও সেই অনুযায়ী কাজের ক্ষেত্রে ছাগলের তুলনায় সে ভীরু।
ছাগলছানা: শক্তির বিচারে সে বাঘ ও শিয়ালের থেকে কম। কিন্তু বুদ্ধির বিচারে সে বাঘ ও শিয়ালের থেকে এগিয়ে।
১৮. নিম্নলিখিত অংশে উপযুক্ত ছেদ ও যতি চিহ্ন বসাও:
উত্তর: খেয়ে তার পেট এমন ভারি হলো যে, সে আর চলতে পারে না। সন্ধে হলে ষাঁড় এসে বলল, “এখন চলো বাড়ি যাই”। কিন্তু ছাগলছানা কি করে বাড়ি যাবে? সে চলতেই পারে না। তাই সে বললে, “তুমি যাও, আমি কাল যাব”।
১৯. নিচের শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লিখ:
লম্বা, মস্ত, বাইরে, ব্যস্ত, নিঃশ্বাস, সর্বনাশ, দূর।
উত্তর:
মস্ত = ছোট।
লম্বা = খাটো/বেটে।
নিঃশ্বাস = প্রশ্বাস।
দূরে = কাছে।
বাইরে = ভিতরে।
ব্যস্ত =স্থির।
সর্বনাশ = সাফল্য।
২০. এই গল্পে শিয়ালকে নাকাল হতে দেখা গেছে। তুমি আরো এমন দুটি গল্প সংগ্রহ করো যেখানে একটিতে শিয়াল তার বুদ্ধির জোরে জিতে গেছে এবং অন্যটিতে সে পারেনি।
উত্তর:
গল্প ১. এক বনে খুব চালাক এক শিয়াল এবং এক বোকা কুমির বাস করত। শিয়াল ছিল পন্ডিত মশাই। তার পাঠশালায় কুমির নিজের সাতটি বাচ্চাকে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়েছিল। শিয়াল সেই সাতটি বাচ্চা কে পড়ানোর নাম করে দিনের পর দিন নিজের কাছে রেখে দিত এবং প্রতিদিন একটি করে কুমির বাচ্চাকে আহার হিসাবে গ্রহণ করত। কুমির প্রতিদিন তার বাচ্চাদের দেখতে চাইলে বুদ্ধিমান শিয়াল একটি বাচ্চাকে সাতবার ঘুরে ফিরে দেখাতো। এই ভাবে একে একে শিয়াল বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল। অষ্টম দিন যখন কুমির তার বাচ্চাদের খোঁজে এলো তখন শিয়াল পণ্ডিতের আর কোনো হদিস পাওয়া গেল না। এইভাবে শিয়াল নিজের বুদ্ধির জোরে কুমির কে বোকা বানিয়ে দিতে পেরেছিল।
গল্প ২.
এক জঙ্গলে একটি কাক ও একটি হরিণ বাস করত। তাদের মধ্যে খুব বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু একদিন হরিণকে দেখে এক শিয়ালের খুব লোভ হলো।
হরিণ ও তার প্রশংসায় খুব খুশি হলো এবং শিয়ালকে বন্ধুত্ব হিসাবে মেনে নিল। কিন্তু কাক শিয়ালের ফন্দি বুঝতে পেরে হরিণকে সাবধান করে বলেছিল অচেনা কারো সাথে বন্ধুত্ব পাতাতে নেই। হরিণ কাকের কথায় কান দিল না। একদিন হরিণকে ভালো ঘাস খাওয়ার লোভ দেখিয়ে এক কৃষকের জমিতে নিয়ে যায়। হরিণটি সেখানে মনের আনন্দে ঘাস খেতে থাকে। হঠাৎ জমির মালিক দেখতে পেয়ে জালের মধ্যে বন্দি করে ফেলে। ঝোপের মধ্যে থেকে শিয়াল সব লক্ষ্য করছিল। সে এটাই চেয়েছিল। সে ভেবেছিল হরিণটি মারা গেলে তাকে আহার হিসাবে গ্রহণ করবে।
তাই হরিণ যখন জাল থেকে মুক্ত করার কথা বলে তখন শিয়াল তাকে বলে- সে জীবজন্তুর নাড়িভুঁড়ি সেদিন স্পর্শ করে না। এই সময় হরিণের বন্ধু কাক কোথা থেকে উড়ে এসে হরিণকে পরামর্শ দেয় যে পরের দিন যখন জমির মালিক জমিতে আসবে তখন সে যেন মরার মত পড়ে থাকে। শিয়াল এ খবর জানতো না, পরেরদিন জমির মালিক হরিণটিকে মৃত ভেবে হরিণটিকে জাল থেকে মুক্ত করে দিল হরিণটি দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। জমির মালিক হরিণটিকে মারতে লাঠি ছুড়ে দিয়ে সেই লাঠি গিয়ে লাগে ঝোপে থাকা শিয়ালের গায়ে।
২১. গল্পে কোন কোন প্রাণীর নাম খুঁজে পেল? এদের খাদ্য ও বাসস্থান এবং স্বভাব উল্লেখ করো।
উত্তর: গল্পে ছাগল,ষাঁড়, শিয়াল আর বাঘের নাম খুঁজে পেলাম।
প্রাণীর নাম: ছাগল
খাদ্য: ঘাস, গাছের পাতা,
বাসস্থান: খামার ,বাড়ি
স্বভাব: শান্ত।
প্রাণীর নাম: ষাঁড়
খাদ্য: ঘাস, খড়
বাসস্থান: খামার ,বাড়ি
স্বভাব: ক্রোধী।
প্রাণীর নাম: শিয়াল
খাদ্য: ফল, মাংস।
বাসস্থান: জঙ্গল
স্বভাব: ধূর্ত।
প্রাণীর নাম: বাঘ
খাদ্য: মাংস।
বাসস্থান: জঙ্গল।
স্বভাব: হিংস্র।
২২. নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ:
২২.১ ছাগলছানার মা তাকে কিভাবে সাবধান করত? তার ভয় কাটল কিভাবে?
উত্তর: ছাগলছানার মা তাকে বাইরে বেরোলে বাঘ, সিংহের ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সাবধান করত।
ছাগলছানা একদিন মায়ের কথা অমান্য করে গর্তের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং নিজ বুদ্ধির জোরে বাঘ ও শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পায়। তার চালাকিতে বাঘ ও শিয়াল ভয়ে পালিয়ে যায়। এভাবেই ছাগলছানা টির ভয় কেটে যায়।
২২.২ বনে সন্ধ্যে হয়ে গেলে সেখানে কোন পরিস্থিতি তৈরি হল?
উত্তর: বনে সন্ধ্যে হয়ে এলে ছাগলছানা পেটভর্তি ঘাস খেয়ে আর চলতে পারল না। তাই সে রাতে সে শিয়ালের গর্তে প্রবেশ করলো। কিন্তু শিয়াল তাকে রাক্ষস ভেবে ভয় পেয়ে বাঘের কাছে তার নামে নালিশ জানাতে গেল।
২২.৩ ছাগলছানা কে শিয়াল ভয় পেলো কেন?
উত্তর: অন্ধকারে শিয়াল ছাগলছানাটিকে রাক্ষস টাক্ষস ভেবে ভয়ে ভয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে ছাগলছানা নিজেকে সিংহের মামা বলে পরিচয় দেয়। আরো জানায় যে সে এক গ্রাসে পঞ্চাশটি বাঘ খেয়ে ফেলতে পারে। ছাগলছানাটির এই কথা শুনে শিয়াল ভয় পেয়ে গেল।
২২.৪ বাঘের ওপর শিয়ালের রাগ হওয়ার কারণ লিখ?
উত্তর: বাঘ শিয়ালকে নিজের লেজের সঙ্গে বেঁধে নিয়ে ছাগল ছানার কাছে গেলেও ছাগল ছানার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য পচিঁশ হাত লম্বা লাফ দিয়ে শেয়াল শুদ্ধ দৌড়তে লাগলো। ফলে শিয়াল আছাড় খেয়ে, কাটার আছাড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠক্কর খেয়ে প্রায় আধমরা হয়ে পড়েছিল। এই কারণ বাঘ ওপর শিয়াল গিয়েছিল।
☛ সমস্ত অধ্যায়ের উত্তর পেতে: Click Here
1. You may also like: Class 4 Model Activity Task 2021 All Subjects
2. You may also like: কীভাবে ‘Student Credit Card’ এর জন্য আবেদন করতে হবে।
Class 4 Model Bengali 2022
Class 4 Bengali Model Activity Task Answer
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা
Class 4 বাংলা
Official Website: Click Here
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
Class 4 Bengali Model Activity Task Part- 10 2022
চতুর্থ শ্রেণী বাংলা নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
Class-4 Bengali Narohori-Das Question-Answer
নরহরি দাস প্রশ্ন উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বসু সমাধান
Class-4 Bengali Narohori-Das Question-Answer
West Bengali Class 4 Bengali Question Answer
Class 4 Bangla Prosno Uttor
WBBSE Class 4 Bengali Book Pdf